হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেই লুকিয়ে আছে প্রতারক!
হোয়াটসঅ্যাপের ব্যবহার বাড়ছেই। জনপ্রিয় এই মেসেজিং অ্যাপের প্রতি যেমন মানুষের নির্ভরশীলতা বাড়ছে তেমনি সুযোগ নিয়ে ওৎ পেতে আছে দুষ্ট চক্র। তথ্যপ্রযুক্তির ভাষায় যাদের হ্যাকার নামে চিনি।
জেনে হতাশ হতে পারেন, আপনার হোয়াটসঅ্যাপ নির্ভরশীলতাকে কাজে লাগিয়ে নিত্যনতুন ফাঁদ পেতে যাচ্ছেন তারা। এতে নিজের অজান্তেই হয়ত হয়ে পড়ছেন প্রতারণার শিকার। তাই তো বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন ব্যবহারকারীদের। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপকে কাজে লাগিয়ে প্রতারক কিংবা হ্যাকাররা কীভাবে মানুষকে ফাঁদে ফেলে নিঃস্ব করার চেষ্টা করছে, তা ব্যবহারকারীদের জানিয়ে সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা।
জেনে রাখা ভালো, পৃথিবীতে প্রায় ২০০ কোটিরও বেশি ইউজার রয়েছে হোয়াটসঅ্যাপে। এতে যে হ্যাকাররা সুযোগ নেবে তা পরিস্কার। ব্রিটিশ ন্যাশনাল সাইবারক্রাইম সেন্টার এক সতর্ক বার্তায় বলেছে, ইতোমধ্যে এ বছর প্রায় সাড়ে ছয়শো প্রতারণার ঘটনা সামনে এসেছে, যেসব প্রতারণার ঘটনাগুলো হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপকে নিশানা করা হয়েছিল। যেখানে প্রতারকরা 'বৈধ' সদস্য হওয়ার ভান করে ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে 'সংবেদনশীল' তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে।
তাই তো বিশেষজ্ঞরা কোনো ধরনের সন্দেহজনক মেসেজ থেকে দূরে থাকতে সকলকে সতর্ক করে দিয়েছেন। কেউ যদি অযাচিত কোনও উপদেশ দিতে চায় তাহলেও সাবধান। হতেই পারে সেটা একটা ফাঁদ। এবং এই ধরনের ক্ষেত্রে দ্রুত কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাতে হবে, যাতে তথ্য চুরি ঠেকানো যায়।
কী ধরনের ফাঁদ পাতেন হ্যাকাররা?
সাধারণত দেখা যায় কোনো গ্রুপের সদস্য একটি হোয়াটসঅ্যাপ অডিও কল পেলেন। সেখানে তাকে বলা হয়, ফোনের ওপারের ব্যক্তিও ওই গ্রুপের একজন সদস্য। এরপর তাকে একটি ওয়ান টাইম পাসকোড পাঠিয়ে ভিডিও কলে যোগ দিতে বলা হয়।
আসলে ওই কোড রিসিভ করলেই ব্যবহারকারীর হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে হ্যাকারদের কাছে। আর তারপরই একটি টু-স্টেপ ভ্যারিফিকেশনের সাহায্যে সেই অ্যাকাউন্টকে অনায়াসে হাতিয়ে নেওয়া হয়। তখন সেই ব্যবহারকারী হাজার চেষ্টা করলেও আর সেই অ্যাকাউন্ট ফেরত পাবেন না। এবার হ্যাকাররা গ্রুপের সদস্য বা ওই ব্যবহারকারীর ফোনবুকে থাকা অন্যদের থেকেও একই প্রক্রিয়ায় টাকা হাতানোর ছক কষে।
এই পরিস্থিতিতে সতর্ক থাকার বার্তাই দিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ। তাইতো কোনও ধরনের সন্দেহজনক কল বা মেসেজ রিসিভ না করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।