হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল কীভাবে ব্যবহার করবেন?
বিশ্বের ১৫০ দেশে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল চালু করল মেটা। ব্যবহারকারীরা ব্যক্তিগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ আপডেট পেতে পারবেন এর মাধ্যমে। এটির সব থেকে ভালো দিকটা হলো─ ব্যবহারকারী যাকে ফলো করবে, তা অন্য ফলোয়াররা দেখতে পাবেন না। এছাড়াও এটি ব্যবহারকারী এবং ফলোয়ার উভয়েরই ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখবে বলে দাবি সংস্থাটির।
হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল কীভাবে ব্যবহার করবেন?
হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলগুলো ব্যবহারকারী দেখতে পাবেন ‘আপডেট’ নামক একটি নতুন ট্যাবে। এখানেই তারা সেই সব চ্যানেল এবং তাদের পোস্ট দেখতে পাবেন, যাদের তারা ফলো করেন বা ফলো করতে চান। হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল ব্যবহারের পদ্ধতি হলো –
১) প্রথমেই আপনাকে হোয়াটসঅ্যাপের লেটেস্ট ভার্সনটি আপডেট করে নিতে হবে। ফিচারটির মধ্যেই অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস-এ চলে এসেছে।
২) হোয়াটসঅ্যাপ খুলতে হবে। স্ক্রিনের ঠিক উপরের দিকে ‘আপডেটস’ ট্যাবটি দেখতে পাবেন। সেখানে ট্যাব করলেই দেখতে পাবেন একাধিক চ্যানেলের তালিকা, যেগুলো আপনি ফলো করতে চান।
৩) একটা চ্যানেল ফলো করতে গেলে আপনাকে প্রথমে ‘+’ বাটনে ক্লিক করতে হবে, যা আপনি চ্যানেলের নামের পাশেই দেখতে পাবেন।
৪) প্রোফাইলটি দেখতে চাইলেও এই চ্যানেলের নামে ট্যাপ করলেই হবে।
৫) চ্যানেলের যেকোনো আপডেটে আপনি রিঅ্যাক্ট করতে পারেন। তার জন্য একটা মেসেজ প্রেস করে হোল্ড করতে হবে।
চ্যানেলের মধ্যে দিয়ে কী করতে চাইছে হোয়াটসঅ্যাপ?
চ্যানেলগুলো মধ্যে দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ চাইছে একটা প্রাইভেট ব্রডকাস্ট সার্ভিস ব্যবহারকারীদের জন্য নিয়ে আসা। অর্থাৎ টিভিতে ব্যবহারকারী যেমন চ্যানেল দেখেন ব্যাপারটা কিছুটা সেরকমই। কিন্তু তা অত্যন্ত গোপনীয় এবং হোয়াটসঅ্যাপের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। ক্যাটরিনা কাইফ, অক্ষয় কুমার, বিজয়, দিলজিৎ দোসাঞ্জ, নেহা কক্কর এবং আরও অনেকের মতো সেলেব্রিটিরা ইতিমধ্যেই তাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল চালু করেছেন।
এ বিষয়ে মার্ক জাকারবার্গ বলছেন, ‘আপনাদের সকলকে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলের সঙ্গে পরিচয় করাতে পেরে আমি খুবই উত্তেজিত। কোনো এক ব্যক্তি বা সংস্থার থেকে বিভিন্ন আপডেট পেতে তাদের ফলো করার অত্যন্ত গোপনীয় এবং ব্যক্তিগত উপায় হলো একটা চ্যানেল। আমি এই চ্যানেলটি শুরু করেছি, মেটা নিউজ এবং আপডেট শেয়ার করার জন্য। এর মাধ্যমে সারা বিশ্ব আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে।’
হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল : জরুরি আপডেট
১) এনহ্যান্সড ডিরেক্টরি – আপনি যেকোনো খুঁজে নিতে পারবেন, যেগুলো আপনার দেশের এবং অটোমেটিক্যালি ফিল্টার করা হবে। তার পাশাপাশি আপনি সেই সব চ্যানেলও ফলো করতে পারবেন, যেগুলো অধিক সক্রিয় এবং বেশি ফলোয়ারের ভিত্তিতে জনপ্রিয়ও বটে।
২) রিঅ্যাকশনস – বিভিন্ন চ্যানেলের বিভিন্ন আপডেটে ইমোজি রিঅ্যাক্ট করে নিজের ফিডব্যাক জানাতে পারবেন। তবে আপনার সেই রিঅ্যাকশন অন্যদের কাছে দৃশ্যমান হবে না।
3) এডিটিং – একটা চ্যানেলের অ্যাডমিন তার আপডেটের পরিবর্তন করতে পারবেন ৩০ দিন পর্যন্ত। তারপরে তা অটোমেটিক্যালি সার্ভার থেকে ডিলিট হয়ে যাবে।
4) ফরোওয়ার্ডিং – আপনি যখনই কোনো আপডেট ফরোয়ার্ড করবেন কোনো চ্যাট বা গ্রুপে, সেই চ্যানেলের একটা লিঙ্কও তাতে থাকবে, যাতে ব্যবহারকারীরা সেই বিষয় ও চ্যানেল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারেন।
এমএ