চালকবিহীন পাবলিক বাসের যুগে যুক্তরাজ্য
প্রথমবারের মতো রাস্তায় চালকবিহীন পাবলিক বাসে ভ্রমণ করেছেন যুক্তরাজ্যের যাত্রীরা। পরীক্ষামূলকভাবে যাত্রীদের স্টেজকোচ সিঙ্গেল-ডেকারের বাসে করে ফোর্থ রোড ব্রিজের উপর দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় এডিনবার্গে।
রাজধানী ও ফিফেতে পাঁচটি চালকবিহীন বাস চালানোর একটি প্রকল্প হতে নিয়েছে দেশটির সরকার। তারই অংশ হিসেবে এই পরীক্ষা চালানো হয়।
আগামী মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে এই পরিষেবা চালু পরিকল্পনা ছিল স্টেজকোচের। এটি সেই পরিকল্পনার প্রাথমিক পরীক্ষা যা সফল হয়েছে।
চালকবিহীন বাসে চড়ার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেনে ফ্লেউর ডাইকম্যান নামের এক যাত্রী। তিনি বলেন, আমি এ নিয়ে মোটেও উদ্বিগ্ন ছিলাম না। আপনি ড্রাইভিং দেখে এর সঙ্গে সাধারণ বাসের কোনো পার্থক্যই বুঝতে পারবেন না।
ডিপো, ট্র্যাক টেস্টিং এবং ভার্চুয়াল সিমুলেশনে ট্রায়ালটি সফল হয়েছে।
এই বাসগুলো ২২ কিলোমিটার মিক্সড ট্রাফিক রুটে ৮০ কিলোমিটার বেগে চলাচল করতে পারবে এবং প্রতি সপ্তাহে ১০ হাজার যাত্রী পরিবহন করতে পারবে।
বাসগুলোতে এমন কিছু সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছে যার মাধ্যমে এইগুলো পূর্ব-নির্ধারিত গন্তব্যে চালক ছাড়াই চলাচল করতে সক্ষম।
পরিষেবাটি সম্পূর্ণরূপে চালু হলে, প্রতিটি বাসের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করার জন্য একজন বাস ক্যাপ্টেন থাকবেন যিনি যাত্রীদের বোর্ডিং এবং টিকিট কেনার ক্ষেত্রে সহায়তা করবেন।
এই প্রকল্পটি ফিউশন প্রসেসিং, আলেকজান্ডার ডেনিস এবং ট্রান্সপোর্ট স্কটল্যান্ডের পার্টনারশিপে স্টেজকোচ দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।
যুক্তরাজ্য সরকারের সেন্টার ফর কানেক্টেড অ্যান্ড অটোনোমাস ভেইকেলসও এই প্রকল্পে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে।
এ বিষয়ে স্কটিশ সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী ইভান ম্যাককি বলেন, এটি সিএভিফোর্থ প্রকল্পের জন্য আরেকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ যা আমাদের পরিষেবাগুলোকে স্বায়ত্তশাসিত যানবাহনের কাছাকাছি নিয়ে আসছে।
স্টেজকোচের অপারেশন ডিরেক্টর এবং সিএভিফোর্থের লিড প্রজেক্ট ম্যানেজার লুইস সিম্পসন বলেন, পরীক্ষাটি সফল হয়েছে এবং সংস্থাটি মার্চ থেকে মে এর মধ্যে স্বায়ত্তশাসিত এই পরিষেবা চালুর লক্ষ্য নিয়েছে।