তথ্য ব্যবহারে বিজ্ঞাপনদাতাদের কড়া নিষেধাজ্ঞা মেটার
নির্দিষ্ট তথ্য ব্যবহারের ওপর ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামের বিজ্ঞাপনদাতাদের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট মেটা। নতুন এই নিষেধাজ্ঞার ফলে বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলো কিশোর কিশোরী ব্যবহারকারীদের কোনো তথ্য পাবে না। এতদিন সংস্থাগুলো তাদের টার্গেট করেই বিজ্ঞাপন ক্যাম্পেইন চালাতো।
মেটা এক ব্লগ পোস্টে জানায়, নতুন এই নিষেধাজ্ঞার কারণে সংস্থাগুলো সামনের মাস থেকে ব্যবহারকারীর লিঙ্গ সম্পর্কে জানার সুযোগ পাবে না। ফলে ব্যবহারকারী নারী নাকি পুরুষ সেই বিষয়ে কোনো তথ্য পাবে না তারা। মূলত বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলো এই তথ্যের ভিত্তিতে খুব সহজেই তাদের টার্গেট করে বিজ্ঞাপন তৈরি করত।
ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা আরও জানায়, আগামী মার্চ থেকে ফেসবুকে নতুন এই সংযোজন আসবে। এতে টিনএজরা কোনো বিজ্ঞাপন দেখতে না চাইলে সেটিও ব্লক করতে পারবে। এমনকি কোনো ধরনের বিজ্ঞাপন কম দেখতে চাইলে, কম দেখার অপশন বেছে নিতে পারবে।
এর আগেও মেটা বিজ্ঞাপনদাতাদের কিশোর-কিশোরীদের আগ্রহ এবং ক্রিয়াকলাপের উপর ভিত্তি করে বিজ্ঞাপন দিতে নিষেধ করেছিল। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি এ নিয়ে বিস্তর গবেষণার মাধ্যমে নতুন কয়েকটি পরিবর্তন বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কিশোর কিশোরীদের তথ্য যেকারণে ব্যবহার বন্ধ করা গুরুত্বপূর্ণ
বিভিন্ন অনলাইন নিরাপত্তা বিষয়ক ক্যাম্পেইনররা সোশ্যাল মিডিয়াতে কমবয়সীদের জন্য বিজ্ঞাপন প্রচারের কোনো নিয়ন্ত্রণ না থাকায় সমালোচনা করেছেন। তাদের মতে, আপত্তিকর কোনো পোস্ট বা বিজ্ঞাপন অল্পবয়সীদের মানসিক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
মেটাকে এর আগেও কমবয়সীদের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে জানানো হয়েছে। ২০২০ সালে আইরিশ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইন্সটাগ্রামের ওপর দুই বছর ধরে একটি তদন্ত চালায়। এতে তারা দেখতে পান ইন্সটাগ্রামে কমবয়সীরাও বিজনেস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করছে। পরে এই সোশ্যাল প্লাটফর্মকে জেনারেল ডাটা প্রটেকশন আইন লঙ্ঘনের দায়ে ৪৯২ মিলিয়ন ডলার জরিমানা করা হয়।