দূরের যাত্রীদের কারপুলিং সেবা দেবে জিগজ্যাগ কার
দীর্ঘ দূরত্বের যাত্রীদের জন্য দেশে প্রথম অ্যাপভিত্তিক কারপুলিং সেবা নিয়ে এলো জিগজ্যাগ কার। এ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে একই রুটে কাছাকাছি গন্তব্যের কয়েকজন যাত্রী মিলে একটি গাড়ি শেয়ার করতে পারবেন।
গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম (জিপিএস) ব্যবহার করে একই রুটে চালক ও যাত্রীদের যুক্ত করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক অ্যাপটি । গাড়িটি প্রতি যাত্রীকে তুলে নেবে তার অবস্থান থেকে ।
রাইডশেয়ারিং থেকে কারপুলিংয়ের ধারণাটি একটু ভিন্ন। এর রয়েছে পরিবেশগত সুফল। মধ্যপ্রাচ্য, ভারতসহ বিশ্বের অনেক দেশেই অনলাইন কারপুলিং ধারণাটি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
জিগজ্যাগকারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কেএম আমিনুর রহমান বলেন, নির্দিষ্ট রুটে আরামদায়ক ভ্রমণ নিশ্চিতে অ্যাপের মধ্যেই বুকিং এবং ভাড়া পরিশোধের সুবিধা যুক্ত থাকবে। চালক-যাত্রীদের ডিজিটালভাবে যাচাই করা হবে। এ ছাড়া অ্যাপটিতে থাকবে সামাজিকমাধ্যমের সংযোগ। দেশের বর্তমান গাড়িগুলোর ‘সর্বোচ্চ ব্যবহার’ নিশ্চিত করবে জিগজ্যাগ কার।
শুরু থেকেই চালক-যাত্রীদের জন্য বিমা সেবার আওতায় রাখার কথা বলছে জিগজ্যাগ কার। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের দাবি, বাংলাদেশে গণপরিবহন খুবই ব্যয়বহুল। বাস, ট্রেনের আসন যখন দুর্লভ, তখন দীর্ঘ দূরত্বে স্বস্তিদায়ক ও নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করবে জিগজ্যাগ কার। সাম্প্রতিক সময়ে জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধিতে মানুষ যখন মুদ্রাস্ফীতির চাপে, তখন যাতায়াতকে সাশ্রয়ী করবে জিগজ্যাগ কার।
যেভাবে কাজ করবে জিগজ্যাগ কার
একই বা কাছাকাছি গন্তব্যে যাবেন— এমন যাত্রীদের এক করবে জিগজ্যাগ অ্যাপ। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, একজন চালক প্রথমে অ্যাপে পোস্ট করবেন তিনি কোথায়-কবে-কখন যাবেন। যাত্রী সার্চ কবেন তিনি কোথায় যেতে চান কোন জায়গা থেকে। সার্চ করলে কাঙ্ক্ষিত রুটে চালকের পোস্ট পাবেন এবং একক সিট বুক করতে পারবেন। যাত্রার সময় চালক যাত্রীকে তুলে নিয়ে গন্তব্যে পৌঁছে দেবেন। এক্ষেত্রে গাড়ির চালক ও যাত্রীদের মধ্যে সংযোগকারীর ভূমিকায় থাকবে জিগজ্যাগ অ্যাপ।
অ্যাপটির সহপ্রতিষ্ঠাতা আমিনুর বলেন, ডোর-টু-ডোর ভ্রমণে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে জিগজ্যাগ কার। চালক ও যাত্রী উভয়ের জন্য একটি অনন্য মার্কেটপ্লেস হয়ে উঠবে এটি ৷ সামাজিকমাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে পরিচিতও হওয়া যাবে এ প্ল্যাটফর্ম থেকে।
জিগজ্যাগ কারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা স্বপ্ন দেখেন, বাংলাদেশ থেকে এমন একটি প্লাটফর্ম তৈরি করতে, যা অদূর ভবিষ্যতে বৈশ্বিকভাবে কাজ করবে।
আরএইচ