ডার্ক ওয়েব কী? ইন্টারনেটে নিরাপদ থাকবেন যেভাবে
এক গভীর সমুদ্রের নাম ইন্টারনেট। প্রতিদিন ইন্টারনেটে যা করি তাকে সমুদ্রপৃষ্ঠের সঙ্গে তুলনা করা যায়। ইন্টারনেটে ওয়েবসাইটগুলো বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে যুক্ত থাকে। এই অংশকে বলা হয় সার্ফেস ওয়েব।
যে কোন ওয়েব ব্রাউজার থেকে এই সব ওয়েবসাইট খোলা যায়। এর নিচেই থাকে ডিপ ওয়েব। যেখানকার ওয়েবসাইটগুলো যে কোন ওয়েব ব্রাউজারের মাধ্যমে খোলা গেলেও সার্চ রেজাল্টে এর কনটেন্ট দেয়া যায় না। এর নিচেই রয়েছে মহাসাগরের অতল গভীর। যা সাধারণ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী কখনও ব্যবহার করতে পারেন না। ইন্টারনেটের এই অংশকে বলা হয় ডার্ক ওয়েব।
মূলত পরিচয় গোপন রেখে ইন্টারনেট ব্যবহারের কথা চিন্তায় রেখে শুরু হয়েছিল ডার্ক ওয়েব। যা একসময় অপরাধমূলক কাজের নিরাপদ জায়গা হয়ে উঠে। এখান ভার্চুয়ালে যে কোন বড় অপরাধমূলক কাজের পেছনে ডার্ক ওয়েব ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া যায়।
শুধু অপরাধমূলক কাজ নয়, পরিচয় গোপন রাখতে অনেক সাংবাদিক নিয়মিত ডার্ক ওয়েব ব্যবহার করেন।
ডার্ক ওয়েবে সামান্য ভুলে আপনার জীবনে অন্ধকার নেমে আসতে পারে। সঠিক তথ্য না জেনে ডার্ক ওয়েব ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ডার্ক ওয়েবে বেআইনি হ্যাকার ও অপরাধীদের আনাগোনা সর্বত্র। তাই কৌতূহলের বশতও ইন্টারনেটের এই অংশ ওপেন করা উচিত নয়।
সাধারণ ওয়েব ব্রাউজার ব্যবহার করে ডার্ক ওয়েব ভিজিট করা যায় না। ডার্ক ওয়েব ব্যবহারের জন্য চাই বিশেষ ওয়েব ব্রাউজার। এই জন্য ব্যবহার করতে হবে টর ব্রাউজার। এই ব্রাউজার ব্যবহারে করলে আপনার আইপি অ্যাড্রেস গোপন থাকবে। তবে টর ব্রাউজার ব্যবহার করলে ইন্টারনেট খুব ধীর গতিতে চলবে।
ডার্ক ওয়েব থেকে নিরাপদ থাকবেন যেভাবে
টর ব্রাউজার থেকে ডার্ক ওয়েব ব্যবহার করা সম্ভব। তবে নিজের কম্পিউটার অথবা মোবাইলে এই ব্রাউজার ইনস্টল না করাই ভালো। ডার্ক ওয়েব সম্পর্কে বিস্তারিত না জানলে এই ব্রাউজার কখনও নিজের ডিভাইসে ইনস্টল করবেন না। আপনাকে কেউ ফোন করে টর ব্রাউজার ইনস্টল করতে বললেও তা এড়িয়ে চলুন। এমন কোন ওয়েবসাইট ওয়েবসাইট ওপেন না করাই ভালো যা গুগল সার্চ রেজাল্টে দেখায় না।
এই সময় থেকে এএ