পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় : দ্বিতীয় অধ্যায় (২য় পর্ব)
সুপ্রিয় পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী বন্ধুরা, শুভেচ্ছা নিয়ো। আজ তোমাদের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের ‘দ্বিতীয় অধ্যায় : ব্রিটিশ শাসন’ থেকে আরো ৩টি যোগ্যতাভিত্তিক কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করব। তোমরা পুরো পাঠ্যবইটি মনোযোগসহকারে পড়বে তাহলে পরীক্ষায় যোগ্যতাভিত্তিক কাঠামোবদ্ধ প্রশ্নের উত্তর সহজে করতে পারবে।
প্রশ্ন : ব্রিটিশ শাসনের দু’টি ভালো ও তিনটি খারাপ দিক লিখ।
উত্তর : ব্রিটিশ শাসনের দু’টি ভালো দিক হলো-
১. নতুন নতুন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও ছাপাখানা প্রতিষ্ঠার ফলে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি হয়।
২. শিক্ষা ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির ফলে বাংলায় নবজাগরণ ঘটে।
ব্রিটিশ শাসনের তিনটি খারাপ দিক হলো-
১. ‘ভাগ করো শাসন করো’ নীতির ফলে এদেশের মানুষের মধ্যে ধর্ম, বর্ণ, জাতি এবং অঞ্চলভেদে বিভেদ সৃষ্টি হয়।
২. অনেক কারিগর বেকার ও অনেক কৃষক গরিব হয়ে যায় এবং বাংলায় দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়।
৩. অল্প সংখ্যক জমিদার শ্রেণি অনেক জমির মালিক হন এবং বাংলায় সংখ্যাগরিষ্ট মানুষ গরিব হয়ে যায়।
প্রশ্ন : সিপাহি বিদ্রোহের দু’টি ফলাফল লিখ।
উত্তর : সিপাহি বিদ্রোহের দু’টি ফলাফল হলো-
১. পশ্চিম বাংলার ব্যারাকপুরে মঙ্গল পাণ্ডের নেতৃত্বে এ বিদ্রোহ শুরু হয়ে সারা ভারতে ছড়িয়ে পড়ে।
২. ভারতের শাসনভার ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছ থেকে মহারানি ভিক্টোরিয়ার হাতে চলে যায়।
প্রশ্ন : বাংলা নব জাগরণের ফলাফল কী ছিল? পাঁচটি বাক্যে লিখ।
উত্তর : বাংলা নব জাগরণের ফলাফল ছিল খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। পাঁচটি বাক্যে তা নিচে দেয়া হলো-
১. উনিশ শতকে বাংলা তথা ভারতে জাতীয়তাবাদী চেতনার বিকাশ ঘটে।
২. ১৮৮৫ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠিত হয়।
৩. পূর্ব বাংলা ও আসাম নিয়ে একটি নতুন প্রদেশ গঠন করা হয়।
৪. বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে বাংলায় তীব্র আন্দোলন গড়ে ওঠে।
৫. ১৯০৬ সালে ভারতীয় মুসলিম লীগ নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠিত হয়।
এমকে