ব্যাডমিন্টনে নির্বাচন পেছানোর দাবি
সময় যত গড়াচ্ছে ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের নির্বাচনের জটিলতা ততোই বাড়ছে। পাঁচ জন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হওয়ায় নানামুখী সংকট ও চাপ তৈরি হয়েছে। ক্রীড়াঙ্গনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দরা তাই খানিকটা দ্বিধাবিভক্ত। বিভিন্ন সূত্রের খবর, এ থেকে সাময়িক পরিত্রাণ লক্ষ্যে নির্বাচন স্থগিতের বিষয়টি অবতারণা।
আজ রোববার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে নির্বাচন কমিশনে নির্বাচন স্থগিতের জন্য দু’টি চিঠি এসেছে। একটি চিঠি দিয়েছেন অ্যাডহক কমিটির সাধারণ সম্পাদক কবিরুল ইসলাম শিকদার। যিনি চলমান নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বতন্ত্রভাবে সাধারণ সম্পাদকপ্রার্থী। আরেকটি চিঠি এসেছে দশ জন কাউন্সিলরের স্বাক্ষরিত চিঠিতে। সেই চিঠিতে দশ জন কাউন্সিলর করোনা পরিস্থিতির জন্য নির্বাচন স্থগিত করার অনুরোধ জানিয়ছে নির্বাচন কমিশনার হামিম হাসানকে।
তাদের চিঠির ভাষ্য মতে, ইতোমধ্যে কয়েকজন কাউন্সিলর করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সারা দেশে করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ৩১ জানুয়ারি ভোটাভুটির দিন অনেক কাউন্সিলর আসতে পারবেন না বলে মনে করেন তারা। দু’টি চিঠি এলেও নির্বাচন কমিশন এখনো ৩১ জানুয়ারি নির্বাচনকে সামনে রেখে এগুচ্ছে।
নির্বাচন পেছানোর অনুরোধে স্বাক্ষরিত ব্যক্তিদের অনেকেই চলমান নির্বাচনী প্রক্রিয়া জেলা-বিভাগীয় সংগঠক পরিষদ ফোরামের সমর্থনে নির্বাচন করছেন। ফোরামের সমর্থিত পক্ষ বিকেলে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে চিঠি দিলেও তাদের প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নির্বাচনী মেরুকরণ ঠিক করতে চট্টগ্রাম গিয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী কবিরুল ইসলাম শিকদারও থেমে নেই। তার পেছনে দৃশ্যত কাউন্সিলরদের দৃশ্যত সমর্থন না থাকলেও তিনি শীর্ষ পর্যায়ের এক মন্ত্রীর মাধ্যমে পদ ধরে রাখার চেষ্টা করছেন। বর্তমান অ্যাডহক কমিটিতেও তার তেমন সমর্থন ছিল না। বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের নির্বাচনে ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন থেকে দু’জন প্রতিনিধি কারা হবেন এটা নিয়ে ভোটাভুটি হয়েছিল। সেই ভোটাভুটিতে কবিরুল কম ভোট পেয়েছিলেন।
সাধারণ সম্পাদকে নারী প্রার্থী কামরুন্নেছা আশরাফ দিনাও নানাভাবে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে আরেক প্রার্থী সাবেক জাতীয় শাটলা ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জোবায়েদুর রহমান রানা অন্যদের চেয়ে তুলনামূলক যোগ্য। তিনিও তার প্যানেল নিয়ে নির্বাচনী পরিকল্পনা করছেন।
ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের নির্বাচন নিয়ে এবার নানা মহলের ব্যক্তি সক্রিয়। ফলে সময়ের সাথে সাথে পরিস্থিতি পরিবর্তন হচ্ছে। পাচ জন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীর মতো সামনের দিনগুলোতে আরো নাটকীয়তা অপেক্ষা করছে। বর্তমান নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী ২৬ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার, ৩১ জানুয়ারি ভোট।
আজ নির্বাচন কমিশন বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা প্রকাশ করেছে। সাধারণ সম্পাদকে একটি পদের বিপরীতে পাচটি,চার সহ-সভাপতির পদের বিপরীতে আটটি, দুই যুগ্ম সম্পাদকের বিপরীতে চারটি, এক কোষাধ্যক্ষ পদের বিপরীতে দুইটি, ১৬ সদস্য পদের বিপরীতে ৩০ টি মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী কবিরুল শিকদারের সমর্থক-প্রস্তাবকের নামে কাটাকাটি ছিল। এই বিষয়টি যাচাই বাছাই করে নির্বাচন কমিশন তার মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষণা করেছে।
এজেড/এটি