নিউক্যাসেলে থামল লিভারপুলের জয়রথ, ৬ গোলের ম্যাচ ড্রয়ে শেষ
নিউক্যাসেল ইউনাইটেড ৩ -৩ লিভারপুল
আর্নে স্লটের দল রীতিমত উড়ছিল চলতি মৌসুমের শুরু থেকেই। আগের ২০ ম্যাচের মধ্যে ১৮টিতেই ছিল জয়। শেষ তারা জয়হীন ছিল অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে। আর্সেনালের বিপক্ষে ড্রয়ের পর থেকে টানা জিতেছে ৭ ম্যাচ। অবশেষে তাদের জয়ের লাগাম টেনে ধরল নিউক্যাসেল ইউনাইটেড। ঘরের মাঠ সেইন্ট জেমস পার্কে লিভারপুলের সঙ্গে ৩-৩ গোলে ড্র করেছে দ্য ম্যাগপাইরা।
এই ম্যাচেও আরও একবার মোহাম্মদ সালাহ জানান দিলেন কেন তাকে নিয়ে আরও কিছুটা ভাবনার দরকার লিভারপুলের মালিক পক্ষের। দুইবার পিছিয়ে পড়া দলকে ম্যাচে বারবার ফিরিয়েছেন এই সালাহ। ৩ গোলের সবকটিতেই ছিলেন তিনি। কার্টিস জোন্সের গোলে অ্যাসিস্ট রেখেছেন আর নিজেও করেছেন ২ গোল।
জোন্স গোল করার আগে অবশ্য ম্যাচে নিজেদের পুরোপুরি আধিপত্য আদায় করে নেয় দ্য ম্যাগপাইরা। কয়েকবার কাছাকাছি গিয়েও হতাশ হতে হয় স্বাগতিকদের। চাপ সামলে লিভারপুলও চেষ্টা করে লড়াইয়ে ফেরার। ১৪ ও ১৫ মিনিটে পরপর দুইবার প্রচেষ্টা নেয় তারা। ম্যাক অ্যালিস্টারের একটা শট লেগে যায় বারপোস্টে।
আরও পড়ুন
তবে এরপরেই অধ্যায়টা নিউক্যাসেলের। ম্যাচের ৩৫ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক শটে লক্ষ্যভেদ করেন আলেক্সান্দার ইসাক। একটু পর আন্তোনিও গর্ডন লিভারপুল গোলরক্ষক কেলেহারকে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি।
বিরতির পর দেখা গেল অন্য এক লিভারপুলকে। ক্রমাগত আক্রমণ করে ৫০ মিনিটেই গোল পায় অলরেডরা। মোহাম্মদ সালাহর পাস থেকে গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান কার্টিস জোনস। এরপরেই ফের লিড বাড়ায় নিউক্যাসেল। ৬২ মিনিটে অ্যান্থনি গর্ডন দুই ডিফেন্ডারের মাঝে জায়গা করে নিয়ে দারুণ ফিনিশে ব্যবধান বাড়ান।
এরপরেই সালাহ শুরু করেন নিজের জাদু। ম্যাচের ৬৮ ও ৮৩ মিনিটে গোল করেন এই মিশরীয় ফরোয়ার্ড। প্রিমিয়ার লিগে টানা ৭ ম্যাচে ৯ গোল করলে সালাহ। আর সব মিলিয়ে এই মৌসুমে লিগে তার গোল সংখ্যা ১১। লিভারপুল তখন জয়ের স্বপ্নে বুঁদ হয়ে আছে।
কিন্তু ম্যাচের ৯০ মিনিটে ফ্যাবিয়ান শার গোল করে সমতায় ফেরান নিউক্যাসলকে। এরপর অবশ্য আর কোনো দল গোল পায়নি। রোমাঞ্চকর ম্যাচটি ড্র হয়েছে ৩–৩ গোলে। তাতে লিভারপুলের ৯ পয়েন্টের লিড নেমে এসেছে ৭ পয়েন্টে। যদিও লিগ টেবিলের শীর্ষস্থান এখন পর্যন্ত ঠিকই ধরে রেখেছে দলটি। চেলসি গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে আছে তালিকার দুইয়ে। আর আর্সেনাল আছে তিনে।
জেএ