শূন্য হাতেই ফিরছেন ‘কুইন অব ফুটবল’
বিশ্বকাপে নারী এবং পুরুষ দুই সংস্করণ মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি গোল তার। নারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছয়বার ব্যালন ডি’অর জিতেছেন তিনি। নাম তার মার্তা ভিয়েরা দা সিলভা। সংক্ষেপে যিনি মার্তা হিসেবেই বেশি পরিচিত। তবে, ব্যক্তিগত অর্জনে সমৃদ্ধ হলেও জাতীয় দল ব্রাজিলের হয়ে কিছুটা মলিনই বটে এই তারকা। এবারের বিশ্বকাপেও ফিরেছেন গ্রুপ পর্ব থেকে।
ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনেই চোখের জল ছেড়েছেন মার্তা। ৩৭ বছর বয়েসী মার্তার এটাই ছিল বিশ্বকাপ জেতার শেষ সুযোগ। র্যাঙ্কিংয়ে ৮ নাম্বারে থাকা ব্রাজিল বিশ্বকাপে হট ফেভারিট হিসেবে না এলেও প্রত্যাশার কমতি ছিল না। যদিও সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি তারা।
বিশ্বকাপে মার্তার সর্বোচ্চ সাফল্য ২০০৭ বিশ্বকাপে রানারআপ মেডেল। সেই আসরে সর্বোচ্চ গোলের ‘গোল্ডেন বুট’ আর সেরা খেলোয়াড়ের ‘গোল্ডেন বল’ দখল করেছিলেন এই ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি। কিন্তু ফুটবল দলীয় খেলা, আর সেখানেই ব্যর্থ হয়েছেন ব্রাজিলিয়ান নাম্বার টেন। পুরো টুর্নামেন্টে দারুণ খেলা ব্রাজিলকে ফাইনালে হারিয়ে দেয় জার্মানি।
২০১৫ বিশ্বকাপেও ছিলেন উজ্জ্বল। কোয়ার্টার ফাইনালে বাদ পড়ার আগে চার গোল আর দুই অ্যাসিস্ট ছিল তার নামের পাশে। কিন্তু, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় তাদের। ২০১৯ বিশ্বকাপেও শেষ ষোল থেকে বিদায় নিতে হয়েছে ব্রাজিলকে।
অবশ্য এতকিছুর মাঝেও মার্তা দেখিয়েছেন তার ফুটবলীয় নৈপুণ্য। ২০০৬ থেকে ২০১০ পর্যন্ত টানা ৫ বছর জিতেছেন বর্ষসেরা নারী ফুটবলারের খেতাব। ৮ বছর বিরতি দিয়ে ২০১৮ তে আরও একবার সেই সম্মাননা জেতেন তিনি।
অবশ্য ব্রাজিলের জার্সিতে একেবারেই শূন্য নন তিনি। প্যান অ্যামেরিকান ফুটবলের শিরোপা আর গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জয়ের কীর্তি আছে তার। কিন্তু, ফুটবলের মাহাত্ম্য যেখানে মিশে থাকে, সেই বিশ্বকাপ থেকে শূন্য হাতেই বিদায় নিতে হলো ‘কুইন অব ফুটবল’ খ্যাত মার্তাকে।
জেএ