আমি ফুটবল রাজনীতির শিকার
কয়েক ঘন্টা পরেই দশরথ স্টেডিয়ামে ফাইনালে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও নেপাল। বাংলাদেশ-নেপাল ফুটবল প্রসঙ্গ আসলেই সবার আগে আসে গণেশ থাপার নাম। ফিফা থেকে নিষিদ্ধ হওয়ায় এ রকম একটি ম্যাচে স্টেডিয়ামে আসতে পারবেন না গণেশ থাপা। ঢাকা পোস্টের সিনিয়র স্পোর্টস রিপোর্টার আরাফাত জোবায়ের গণেশ থাপার দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে ফিফার নিষেধাজ্ঞার বিষয় ছাড়াও তার আনফা, সাফের সভাপতিত্ব এবং বাংলাদেশে-নেপাল দুই দেশের ফুটবলের অনেক বিষয় তুলে এনেছেন।
ঢাকা পোস্ট: গণেশ থাপা মানেই এখন ফিফা থেকে নিষিদ্ধ হওয়ার প্রশ্ন। সেই প্রশ্নে পরে যাচ্ছি। আগে আপনার ফুটবল ক্যারিয়ারে বাংলাদেশের অধ্যায়ের গল্পটা শুনতে চাই।
গণেশ থাপা: বাংলাদেশ-নেপাল ফাইনাল ম্যাচে আমি মাঠে যাব না। এটি আমাকে অনেক পোড়াচ্ছে। সেই বিষয়ে সামনে বলব। এখন বলছি বাংলাদেশের বিষয়টি। প্রথম কথায় বাংলাদেশ আমার দ্বিতীয় হোম। নেপালের চেয়ে কোনো অংশ আমি কম জনপ্রিয় ছিলাম না বাংলাদেশে। ১৯৮১ থেকে ৯১ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে আমি বাংলাদেশে খেলেছি। আনফা সভাপতি হয়ে আমি যা যা করেছি সেটা করার ইচ্ছে বা অনুপ্রেরণা নিয়েছিলাম বাংলাদেশে খেলা অবস্থাতেই।
প্রশ্ন: বাংলাদেশে খেলতে আসার গল্পটা যদি বলতেন!
গণেশ থাপা: ১৯৮১ সালে এশিয়ান ইয়ুথ চ্যাম্পিয়নশিপ হয়। আমি ওই প্রতিযোগিতায় ভালো খেলেছিলাম। ঢাকা ওয়ান্ডারার্স আমাকে প্রথমে প্রস্তাব দেয়। খুব ভালো লাগল দেশের বাইরে থেকে প্রস্তাব পেলাম। ওই রাতে আর ঘুমাতে পারিনি। পরের দিন সকাল বা দুপুরের দিকে ঢাকা মোহামেডানও আমাকে প্রস্তাব দেয়। মোহামেডানের প্রস্তাব পাওয়ার পর আর দেরি করিনি। সাথে সাথে হ্যাঁ বলে দিয়েছি।
প্রশ্ন: ঢাকায় কয়েকটি ক্লাবে খেললেও মোহামেডানই মূলত আপনার ক্লাব...
গণেশ থাপা: অবশ্যই ঢাকায় আমি প্রায় দশ বছর ভিন্ন ভিন্ন মেয়াদে খেলেছি। মোহামেডানেই বেশি। এছাড়া রহমতগঞ্জ, ওয়ান্ডারার্সেও খেলেছি। মোহামেডানের জন্যই ঢাকায় গণেশ থাপা পরিচিত হতে পেরেছে। বাদল রায়, গাফফার, সালাম আমার খুবই ঘনিষ্ঠ। বাংলাদেশে অনেক দিন খেললেও আমি কিন্তু এক নাগাড়ে খুব বেশি দিন থাকতে পারিনি। এক টানা তিন মাসের বেশি কখনোই থাকিনি। হোম সিকনেসের জন্য দ্রুত ফিরতে হয়েছে।
প্রশ্ন: তখন বাংলাদেশের ফুটবল ছিল অনেক জনপ্রিয়। কোনো বিশেষ স্মৃতি কি মনে রয়েছে?
গণেশ থাপা: অনেক স্মৃতি। এই মুহূর্তে একটা ঘটনা বলি। আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ। মোহামেডান একটি পেনাল্টি পেল। পেনাল্টি মিস হলে দর্শকদের রোষানলে পড়বে। কেউ শট নিতে সাহস পাচ্ছিল না। আবুল আমাকে বলল, ‘তুমি শট নাও। কারণ তুমি মিস করলেও দর্শকরা তেমন কিছু বলতে পারবে না। আমরা মিস করলে আর রক্ষা থাকবে না।’
প্রশ্ন: এবার আপনার সংগঠক ক্যারিয়ারে আসতে চাই। ফুটবলার থেকে সংগঠক হলেন কেন কোচিং বা অন্য কিছুতে না গিয়ে।
গণেশ থাপা: গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। আমি জাতীয় দল ও ক্লাব পর্যায়েও অধিনায়ক ছিলাম। দেখলাম যে আমার মধ্যে নেতৃত্ব দেয়ার গুণাবলি আছে। কোচও হতে পারতাম। কোচ হলে শুধু আত্ম বা দল কেন্দ্রিক। সামগ্রিকভাবে দেশের ফুটবলের জন্য সেভাবে কাজের সুযোগ কম। সংগঠক হলে দেশের ফুটবলের উন্নয়নের জন্য অনেক কিছু করা যায়। এজন্য আমি সংগঠক হয়েছি।
প্রশ্ন: বর্তমান প্রজন্মের কাছে ফুটবলার গণেশ থাপার চেয়ে সংগঠক গণেশ থাপার পরিচয়টা বেশি। আপনি নিজের কোন পরিচয়ে তৃপ্ত?
গণেশ থাপা: অবশ্যই ফুটবলার। কারণ ফুটবলার ছিলাম বলেই তো আজ অবস্থায় আসতে পেরেছি। পরিচিতির দিক থেকে হয়তো বা সংগঠক হিসেবে নিজেকে একটু উপরে উঠেছে ফুটবলারের চেয়ে। তবে আমার দুই স্বত্বাকেই সমান অবস্থান দেব।
প্রশ্ন: নেপালের ফুটবলে আজকের এই অবস্থানের পেছনে আপনার অবদান তো অনেক!
গণেশ থাপা: সেটা নেপালের মানুষ ও দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলপ্রেমীরা বলবে। আমি সভাপতি হয়েই চেষ্টা করেছি লিগকে প্রাধান্য দিতে। লিগ জনপ্রিয় ও আকষর্ণীয় না হলে ফুটবল উন্নয়ন হবে না। বাংলাদেশে আশি নব্বইয়ের দশকে লিগ যেমন জনপ্রিয় ছিল সেটাই আমি করতে চেয়েছি নেপালে। সেটা পেরেছিও। আমি যখন দায়িত্ব নেই তখন কয়েকশ লোক আসতো স্টেডিয়ামে। এর কয়েক বছর পর টিকিটের জন্য লাইনের পর লাইন।
প্রশ্ন: লিগের জনপ্রিয়তা ছাড়াও একাডেমী সহ আরো অনেক কাজই তো আপনি করেছেন...
গণেশ থাপা: দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে আমরাই প্রথম একাডেমী করেছি। নিজেদের অর্থেই ফেডারেশন ভবন করেছি। যেটা দক্ষিণ এশিয়ার অন্য কোনো দেশ করতে পারেনি। এজন্য ফিফা কংগ্রেসে নেপাল, জর্ডানকে বিশেষভাবে ধন্যবাদও দেয়া হয়েছিল। এই একাডেমী থেকে জাতীয় দলে খেলোয়াড় সরবারহ হচ্ছে।
প্রশ্ন: দক্ষিণ এশিয়ার কথা বলছিলেন। আপনি তো দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবল ফেডারেশনেরও সভাপতি ছিলেন। তখন তো সেটাকে ব্রিফকেস সংগঠন বলা হতো!
গণেশ থাপা: সাফ সভাপতি হিসেবে আমি তেমন কিছু করতে পারিনি এটা মানি। কারণ আমি নিজের দেশ নিয়েই বেশি ব্যস্ত ছিলাম ও ভেবেছি।
প্রশ্ন: তাহলে সাফের দায়িত্ব নিয়েছিলেন কেন বা পদত্যাগ করেননি কেন?
গণেশ থাপা: সাফের সবাই মিলে আমাকে অনুরোধ করেছিল এজন্য দায়িত্ব নিয়েছিলাম। পদত্যাগ করলে বিষয়টি খারাপ হয়। এজন্য এক মেয়াদের বেশি আমি থাকিনি অন্যদের অনুরোধ সত্বেও। সালাহউদ্দিনকে সভাপতি করার প্রস্তাবটি কিন্তু আমারই।
প্রশ্ন: সালাউদ্দিন বাফুফে ও সাফ সভাপতি হিসেবে কেমন করছে?
গণেশ থাপা: সালাউদ্দিন সাফ সভাপতি হিসেবে ভালোই করছে। অবশ্য ভালো না করার কারণও নেই এখন। হেলালের মতো ( আনোয়ারুল হক হেলাল) দক্ষ লোক সাধারণ সম্পাদক। তাছাড়া এএফসি, ফিফা থেকে অনেক সহায়তা পাচ্ছে। ফলে টুর্নামেন্ট, কর্মসূচি অনেক বেশি হচ্ছে। যে সহায়তা আমার সময় ছিল না।
প্রশ্ন: আর বাফুফে সভাপতি হিসেবে?
গণেশ থাপা: সালাউদ্দিনের সময়কার যে মানের ফুটবলার ছিল এখন নেই এটা বাস্তব সত্য কথা। আমি যখন আনফা সভাপতি ছিলাম দেখেছি, সালাউদ্দিন ফুটবলারদের সুযোগ সুবিধা দেয়ার জন্য কত চেষ্টা করেছে। সালাউদ্দিন সভাপতি থাকাকালীন সময় যে প্রজন্মের বা যে ফুটবলার পেয়েছে তারা সাফল্য দিতে পারছে না।
প্রশ্ন: কিন্তু সালাউদ্দিন তো বারো বছরের বেশি সভাপতি। এর মধ্যে তো একটি প্রজন্ম তৈরি করতে পারতেন। যেমন আপনি করেছেন আনফা একাডেমী দিয়ে!
গণেশ থাপা: আমি একভাবে করেছি, সালাউদ্দিন আরেকভাবে। আমি একাডেমী তৈরি ও লিগ আকর্ষণে চেষ্টা করেছি। সালাউদ্দিন সেটা করেছে জাতীয় দলের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধিতে।
প্রশ্ন: আপনি তো প্রথম নেপালি ফুটবল ব্যক্তিত্ব হিসেবে এএফসির সহ-সভাপতি ছিলেন। ফিফা ২০১০ বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ স্ট্যান্ডিং কমিটির দায়িত্বেও ছিলেন। এরপর হঠাৎ এই নিষিদ্ধের গ্যাড়াকলে কেন?
গণেশ থাপা: প্রথম নয় এখন পর্যন্ত একমাত্র নেপালি হিসেবে আমি এএফসি-ফিফার ওই পদগুলোতে ছিলাম। আমার সাথে মোহাম্মদ বিন হাম্মামের (সাবেক এএফসি সভাপতি) অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক। তিনি ব্যক্তিগতভাবে অনেক নেপালিকে সাহায্য সহযোহিতা করেছেন শুধু আমার অনুরোধে। কেউ বিশেষভাবে সমস্যায় পড়লে আমি হাম্মামকে জানিয়েছি। হাম্মাম সাহায্য করেছে। হাম্মাম এটা করেছে ব্যক্তিগতভাবে সম্পূর্ণ। উনি সে অর্থ এএফসি বা ফিফা থেকে আমাকে দেননি। আবার উনি ব্যক্তিগত দিলেও সেই অর্থ আনফাকে দেননি। এটা পুরোটাই ব্যক্তিগত সম্পর্কের ভিত্তিতে। আমি তখনও বলেছি এখনও বলছি আমার মেয়াদে আনফার আর্থিক বিষয়ে এক রুপি নিয়ে কোনো অভিযোগ প্রমাণ হলে আমি যে কোনো শাস্তি নিতে রাজি। হাম্মাম ফিফা সভাপতি হওয়ার প্রার্থী ছিলেন। এজন্য দক্ষিণ এশিয়ায় যারা হাম্মামের কাছাকাছি ছিলেন তাদের অনেকের আমার মতো পরিণতি হয়েছে।
প্রশ্ন: হ্যাঁ আপনার পাশাপাশি ভারতের আলবাতো কোলাসো, শ্রীলংকার মণিলাল ফার্নান্দোও নিষিদ্ধের গ্যাড়াকলে। বাংলাদেশের কর্মকর্তারা শুধু মাত্র এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে...
গণেশ থাপা: দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশেই হাম্মামের পেছনে ছিল এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। আমরা যারা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে এএফসিতে ছিলাম তারাই বেশি সমস্যায় পড়েছি।
প্রশ্ন: তাহলে বলতে চান আপনি ফুটবলের বৈশ্বিক রাজনীতির শিকার?
গণেশ থাপা: রাজনীতির শিকার তো বটেই। এটা ছাড়া আর কি। আমার উপর অভিযোগ উঠে ২০১১ সালে আর নিষেধাজ্ঞা আসে ২০১৫ সালে নির্বাচনের আগে। তার মানে কি দাঁড়ায়। আবারও বলছি হাম্মাম যে সাহায্য করেছে সেটা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগতভাবে এখানে ফুটবল, নির্বাচন বা অন্য কিছু একদম জড়িত নয়। মজার বিষয়, ব্লাটার-প্লাতিনি এগুলো করল হাম্মামকে ঠেকাতে। শেষ পর্যন্ত তারাও তো আরো বেশি কলঙ্কিত হলো। কিন্তু হাম্মামের সাথে এখনো আমার আগের মতোই যোগাযোগ ও সম্পর্ক আছে। হাম্মাম এখনো নেপালী মানুষদের সাহায্য করে।
প্রশ্ন: যেভাবেই হোক ২০১৫ সালে আপনি দশ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হলেন। ইতোমধ্যে ছয় বছর প্রায় শেষ। আর চার বছর বাকি। এরপর কি আবার আনফায় ফিরবেন?
গণেশ থাপা: না আমি আর কখনো আনফায় ফিরব না। এখন আপনার নির্বাচনে অনেক অসুস্থ প্রতিযোগিতা। আমি এর মধ্যে যাব না। তবে চার বছর পর সুস্থ থাকলে আবার ফুটবলে ফিরতে চাই। সেটা ব্যক্তিগতভাবে হয়তো কোনো ক্লাব বা ফাউন্ডেশন করে অথবা স্কুল প্রতিষ্ঠা করে।
প্রশ্ন: আনফার বর্তমান কমিটি প্রায়ই আপনার সমালোচনায় পড়ে। তাহলে কি নেপালের ফুটবল সঠিক পথে চলছে না আপনার অনুপস্থিতিতে?
গণেশ থাপা: খারাপ চলছে এটা বলব না তবে আরো ভালো হতে পারতো। সেই আক্ষেপ থেকে মাঝে মধ্যে ত্রুটি-বিচ্যুতি ধরিয়ে দেই। আমার সময় কর্মকর্তাদের কোনো সুযোগ সুবিধা ছিল না। আমি ফুটবলারদের গাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আর এখন ফুটবলারদের সুযোগ সুবিধা কমিয়ে কর্মকর্তাদের সুযোগ সুবিধা দেয়া হচ্ছে। লিগের আকর্ষণও কমিয়ে ফেলছে।
প্রশ্ন: সব নেতিবাচক বিষয়েরই ইতিবাচক দিক আছে। ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ হওয়ায় পরিবার ও রাজনীতিতে কিছুটা সময় দিতে পেরেছেন।
গণেশ থাপা: ফুটবলের জন্য পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়দের সেভাবে সময় দিতে পারিনি কখনো। এই কয়েক বছর একটু নিজেকে সময় দিলাম। এর মধ্যে একটি আত্মজীবনী লিখছি। নেপালী ও ইংরেজী উভয় ভাষায় প্রকাশিত হবে। করোনা না হলে এত দিন হয়ে যেত। আত্মজীবনীতে নিষিদ্ধ হওয়ার বিষয়ে আলাদা অধ্যায় রয়েছে। সেখানে আরো জানতে পারবেন। আমি মাঝে আমার আসনে সংসদ সদস্য ছিলাম। সেটা সরকার দলের অনুরোধেই। আনফার মতো সেখানেও আমি বিনা প্রতিদ্বদ্বিতায় জিতেছি। রাজনীতিতে আমি সক্রিয় হব না। ফুটবলই আমার ধ্যান জ্ঞান ছিল। তবে ফুটবলে রাজনীতি শিকার হয়েছিলাম।
প্রশ্ন: আপনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আনফা সভাপতি হন, এমপি হন। তাহলে আপনি নিজেকে কি নেপাল ফুটবলের সেরা ব্যক্তিত্ব মনে করেন?
গণেশ থাপা: আসলে সেভাবে ভাবিনি কখনো। নেপালের ফুটবলের জন্য কাজ করার চেষ্টা করেছি। আমার সময়ে আমি অবশ্যই জনপ্রিয় ফুটবলার ছিলাম। এক দশকের বেশি সময় সংগঠক হিসেবে মূল ফোকাসে থাকায় হয়তো মানুষ এভাবে ভাবে। আমি অবশ্য কখনো এ রকম ভেবে দেখিনি।
প্রশ্ন: আপনার মূল্যবান সময়ের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। নেপাল-বাংলাদেশ ছাড়াও ফুটবলের অনেক বিষয় জানা গেল।
গণেশ থাপা: আপনাকেও ধন্যবাদ। কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উত্থাপন করেছেন। বাংলাদেশ আমার দ্বিতীয় হোম। স্বাভাবিক পরিস্থিতি থাকলে বাদল রায়ের মৃত্যুর পর আমি একবার বাংলাদেশ যেতাম। বাদল আমার খুবই ঘনিষ্ঠ মানুষ ছিলেন। দেখি সামনে করোনা পরিস্থিতি ভালো হলে বাংলাদেশে বেড়াতে যেতে পারি।
এজেড/এটি/এনইউ