মেসিকে নিয়ে মুখ খুললেন পিএসজি কোচ
পিএসজিতে লিওনেল মেসির ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল আগে থেকেই। আসছে জুনে প্যারিসের ক্লাবটির সঙ্গে বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হতে চললেও নতুন চুক্তি হয়নি এতদিনেও। সম্প্রতি অনুমতি ছাড়া সৌদি আরবে যাওয়ায় দুই সপ্তাহের জন্য ক্লাবটিতে নিষিদ্ধ হয়েছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। এরপরই জানা যায়, ফরাসি ক্লাবটি মেসির সঙ্গে চুক্তি নবায়ন না করারই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। এরপর খবর আসে, চলতি মৌসুম শেষে প্যারিসের ক্লাবটির সঙ্গে ইতি টানতে চলেছেন খোদ মেসি। অবশ্য পিএসজি কোচ ক্রিস্টোফে গালটিয়ের এখনো মেসিকে খেলানোর অপেক্ষায় আছেন।
দুই সপ্তাহের নির্বাসন ওঠে গেলে অন্তত জুনে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার আগপর্যন্ত যেন পিএসজির হয়ে বাকি ম্যাচগুলো খেলেন মেসি। আরএমসি স্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন গালটিয়ের। তবে নিষেধাজ্ঞার পর বাকি ম্যাচগুলোতে মেসির খেলার সম্ভাবনা নিয়েও আছে অনিশ্চয়তা।
আরএমসি স্পোর্টস বলছে, খেলার ব্যাপারে মেসির সঙ্গে বসে কথা বলবেন গালটিয়ের। আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপজয়ী যদি খেলার ব্যাপারে রাজি না থাকেন, তাহলে তাকে রাজি করার চেষ্টা করবেন। যদিও সবকিছু নির্ভর করছে মেসির ওপর।
আরও পড়ুন: সৌদির শুভেচ্ছাদূত হয়ে কত টাকা পান মেসি?
এদিকে, মেসির সৌদিযাত্রা তার পর্যটনদূত হওয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে মনে করা হলেও ফিফার এজেন্ট মার্কো কির্দেমিরের দাবি, মেসি আসলে সপরিবার সৌদি আরবে গিয়েছিলেন তার থাকার জায়গা দেখতে। কির্দেমির শুধু এ তথ্যই দেননি। তার কথা—মেসির পরিবার যদি সৌদি আরবে থাকার সুযোগ–সুবিধা দেখে ইতিবাচক ইঙ্গিত দেয়, তাহলে পিএসজি ছেড়ে আল হিলালেই নাম লেখাতে পারেন।
ফুটবলবিষয়ক খবরের ওয়েবসাইট গোলডটকমকে কার্দেমির বলেছেন, ‘সে (মেসি) বার্সেলোনায় যাবে না। বার্সেলোনায় সে ফিরতে চায় অবসরের পর।’ আল–হিলাল থেকে বড় অঙ্কের প্রস্তাব পাওয়ার কথা উল্লেখ করে কির্দেমির এরপর যোগ করেন, ‘বাদশাহর ক্লাব আল–হিলাল থেকে সে ৬০ কোটি ডলারের প্রস্তাব পেয়েছে। সে দেশটিতে তার (বাদশাহ সালমান) সঙ্গে দেখা করতে গেছে। সে দেখতে গেছে, সেখানে কোথায় থাকতে পারে। তার পরিবার সায় দিলে মেসি সৌদি আরবেই খেলবে।’
আরও পড়ুন: পিএসজির সঙ্গে মেসির বিচ্ছেদ চূড়ান্ত, গন্তব্য কোথায়?
অন্যদিকে, ইংলিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, মেসিকে দলে টানতে বার্ষিক ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেতন প্রস্তাব করেছে সৌদি, যা রোনালদোরও বার্ষিক বেতনের প্রায় দ্বিগুণ। চুক্তিতে রাজি হয়ে মেসি যদি সৌদিতে ফেরেন, তবে ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে দামী ফুটবলার হবেন তিনি।