‘বেকসুর খালাস’ পেল সেই আজমপুর!

বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে পাতানো খেলার অভিযোগ বেশি উঠেছিল আজমপুর ফুটবল ক্লাবের উপর। সেই ক্লাবের পদত্যাগ করা কোচই পাতানো খেলার বিষয়টি সামনে আনেন। গণমাধ্যমের রিপোর্টগুলোতেও আজমপুর নিয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে। অথচ বাফুফে পাতানো খেলা শনাক্তকরণ কমিটি আজমপুরের উপর আনীত পাতানো/ স্পট ফিক্সিং অভিযোগের সত্যতা পায়নি। ফলে ‘বেকসুর খালাস’ পেয়ে গেছে সেই আজমপুর এফসি!
বিজ্ঞাপন
পুরো ফুটবলাঙ্গনের দৃষ্টি ছিল আজমপুরের বিষয়ে বাফুফের সিদ্ধান্তের দিকে। কারণ বিভিন্ন মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ ছিল আজিমপুরের দিকেই। সেই আজিমপুর অনেকটা নিষ্কলুষ হওয়ায় ফুটবলাঙ্গনে বিস্ময়ের সৃষ্টি হয়েছে। চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে তৃতীয় স্থানে থাকা নোফেল স্পোর্টিং ক্লাবের ম্যানেজার সাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া শাহীন খানিকটা আশাহত কণ্ঠে বলেন, ‘আমরা বাফুফে ও তাদের কমিটিকে সম্মান করি। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত আমাদের আশাহত করেছে৷ একটি দলের কোচ ও গণমাধ্যম এত তথ্য উপাত্ত দিয়ে সংবাদ পরিবেশনের পরও সত্যতা না পেলে জানতে ইচ্ছে করে সত্য আসলে কোনটা।’
বিজ্ঞাপন
আজমপুর প্রসঙ্গে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ বলেন, ‘পাতানো খেলা শনাক্তকরণ কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে ডিসিপ্লিনারী কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাতানো খেলা শনাক্তকরণ কমিটির রিপোর্টে তাদের (আজমপুর) বিষয়ে কিছু না থাকায় ডিসিপ্লিনারি কমিটি কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।’
পাতানো খেলা শনাক্তকরণ কমিটি আজমপুরের খেলোয়াড়, কোচসহ সংশ্লিষ্ট অনেকের সঙ্গে কথা বলেছিল। সকল পক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর পাতানো খেলা শনাক্তকরণ কমিটি ফিক্সিংয়ের বদলে এই ক্লাবের মধ্যে অভ্যন্তরীণ রেষারেষি খুঁজে পেয়েছেন বলে জানা গেছে বিশ্বস্ত এক সূত্রে। তবে পাতানো খেলা শনাক্তকরণ কমিটি রিপোর্টে আজমপুর সংক্রান্ত বিষয়ে একটি লাইন রেখেছে যেখানে ভবিষ্যতে প্রয়োজনে এই বিষয়ে তদন্ত চলার কথা উল্লেখ করা আছে বলে জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
পাতানো খেলা শনাক্তকরণ কমিটি আজমপুরের খেলোয়াড়, কোচসহ সংশ্লিষ্ট অনেকের সঙ্গে কথা বলেছিল। সকল পক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর পাতানো খেলা শনাক্তকরণ কমিটি ফিক্সিংয়ের বদলে এই ক্লাবের মধ্যে অভ্যন্তরীণ রেষারেষি খুঁজে পেয়েছেন বলে জানা গেছে বিশ্বস্ত এক সূত্রে। তবে পাতানো খেলা শনাক্তকরণ কমিটি রিপোর্টে আজমপুর সংক্রান্ত বিষয়ে একটি লাইন রেখেছে যেখানে ভবিষ্যতে প্রয়োজনে এই বিষয়ে তদন্ত চলার কথা উল্লেখ করা আছে বলে জানা গেছে।
আজমপুরের পাতানো খেলায় শাস্তি/পয়েন্ট কাটা হলে নোফেল স্পোর্টিংয়ের প্রিমিয়ার লিগে খেলার সুযোগ মিলত৷ আজমপুরের কোনো শাস্তি না হওয়ায় এখন আর প্রিমিয়ারে খেলার আর কোনো সুযোগ নেই তাদের৷
কোনো শাস্তি না হওয়ায় আজমপুর ফুটবল ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের রানারআপ হয়ে প্রিমিয়ার খেলার কথা। এই প্রসঙ্গে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রিমিয়ার লিগ খেলতে হলে তাদের ক্লাব লাইসেন্সিং করতে হবে। ক্লাব লাইসেন্সিং সম্পন্ন করতে পারলে তারা প্রিমিয়ার খেলতে পারবে।’
বাফুফেকে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়ে চিঠি দিয়েছিল নোফেল। সেই চিঠিতে এএফসির নজরে আনার কথা ছিল। বাফুফের এই সিদ্ধান্তের পর এএফসিতে জানানোর বিষয়ে নোফেলের শাহীন বলেন, ‘মাত্র সিদ্ধান্ত এল৷ ক্লাবের সভাপতির (তাবিথ আউয়াল) সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।’
কোনো শাস্তি না হওয়ায় আজমপুর ফুটবল ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের রানারআপ হয়ে প্রিমিয়ার খেলার কথা। এই প্রসঙ্গে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রিমিয়ার লিগ খেলতে হলে তাদের ক্লাব লাইসেন্সিং করতে হবে। ক্লাব লাইসেন্সিং সম্পন্ন করতে পারলে তারা প্রিমিয়ার খেলতে পারবে।’
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ থেকে এমনিতেই অবনমিত হয়েছে উত্তর বারিধারা। শেখ জামাল ও আবাহনীর বিরুদ্ধে বারিধারার ম্যাচটি এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন সন্দেহ করেছিল। সেই সন্দেহের ভিত্তিতে বাফুফে তদন্ত করে সত্যতা পেয়ে এই ক্লাবকে আরো দুই স্তর নিচে অবনমিত করে।
এজেড/এনইউ