ছেলেকে মৃত্যুদণ্ড থেকে বাঁচাতে মেসির কাছে আকুতি সৌদি পরিবারের
ফুটবল মাঠে তিনি এক জীবন্ত কিংবদন্তি। আর্জেন্টিনা, বার্সেলোনার হয়ে দলের বিপদে কতবার যে ত্রাতা হয়ে দাঁড়িয়েছেন তিনি, তার কোনো ইয়ত্তা নেই। তবে এবার সম্পূর্ণ ভিন্ন এক বিপদে পড়ে তার কাছে আকুতি জানালেন কেউ।
২০ বছর বয়সী তরুণকে মৃত্যুদণ্ডের হাত থেকে বাঁচাতে মেসির হস্তক্ষেপ আশা করছে সৌদি আরবের এক পরিবার। পিএসজি ও আর্জেন্টাইন ফুটবলারের প্রতি সৌদি সেই পরিবারের আকুতি— সাত বারের ব্যালন ডি’অর বিজয়ী যেন সেই মামলায় নিজের প্রভাব খাটিয়ে হস্তক্ষেপ করেন।
আরও পড়ুন>> মেসিকে ফেরাতে আলোচনা শুরু করল বার্সেলোনা
লিওনেল মেসি বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম এই আইকন বলেই এই চিঠি যায়নি তার কাছে। এই চিঠি মেসির কাছে গিয়েছে আরও একটি কারণে। আর্জেন্টাইন এই মহাতারকার রাষ্ট্রীয় সম্পৃক্ততা আছে সৌদি আরবের সঙ্গে। এই তো কিছু দিন আগে দেশটির পর্যটনের শুভেচ্ছাদূত হয়েছেন তিনি। সেটাই সবচেয়ে বড় কারণ এই চিঠি তাকে পাঠানোর পেছনে।
সেই পরিবার আশা করছে, সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পৃক্ততার বিষয়টির কারণে সরকারকে নিজের চাওয়ার কথা জানাতে পারবেন মেসি, আর সৌদি সরকারও সেটা গুরুত্ব দিয়েই দেখবে। আর সেটা হলেই মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি থেকে বেচে যায় সেই ছেলেটি।
আরও পড়ুন>> মেসি-নেইমারদের ওপর আরও এক কঠিন নিয়ম চাপিয়ে দিলো পিএসজি
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি সরকারের বিপক্ষে ‘অপরাধ’ করার অভিযোগে মোহাম্মদ আল ফারাজ নামের ওই তরুণকে ২০১৭ সালে গ্রেফতার করা হয়। সেই সময় তার বয়স ছিল কেবল ১৫ বছর।
এরপরই সেই ছেলের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির আবেদন করা হয়েছে। ফারাজের পরিবার অবশ্য বলছে, তাদের ছেলের ওপর নির্যাতন করেই স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে। সেই পরিবারের দাবি, ফারাজকে গ্রেপ্তারের সময় সে বন্ধুদের সঙ্গে বোলিং খেলছিল। কিশোর হওয়া স্বত্বেও তাকে এরপর প্রাপ্তবয়স্কদের কারাগারে নেওয়া হয়, জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি করে তাকে নির্যাতনও করা হয়।
আরও পড়ুন>> সারা দুনিয়া জানে মেসি কী করতে পারে
তার বিরুদ্ধে যে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয়েছে, সেটি আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। আদালত যদিও এখনো মামলার রায় দেননি, তবে মামলার বাদী সম্ভাব্য সর্বোচ্চ শাস্তিই দাবি করেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই চিঠিতে।
সেই চিঠিতে ফারাজের ওপর নির্যাতনের চিত্রও কথায় তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, কারাগারের রক্ষীরা তাকে পিটিয়েছে, লাথি মেরেছে। মাঝে হাতের ওপর শিকল বেঁধে কয়েক ঘণ্টা রাখা হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে আর কোনো উপায় না দেখে মেসির কাছে চিঠি দিয়েছে সেই পরিবার।
এনইউ/এটি