৯২ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার নারী রেফারি দেখবে ফুটবল বিশ্বকাপ
ফুটবল বিশ্বকাপের ৯২ বছরের ইতিহাসে যা হয়নি কখনো, সেটাই হতে চলেছে এইবার। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো নারী রেফারির হাতে থাকবে ম্যাচের দায়িত্ব। আজ এক বিবৃতিতে বিষয়টি ফিফা জানিয়েছে, ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে রেফারিদের প্যানেলে আছেন তিনজন করে নারী রেফারি ও সহকারী রেফারি।
টুর্নামেন্টের জন্য আজ ৩৬ জন রেফারি, ৬৯ জন সহকারী রেফারি, ২৪ ভিডিও ম্যাচ অফিসিয়াল নিয়োগ করা হয়েছে। ইংলিশ রেফারি অ্যান্থনি টেলর, মাইকেল অলিভার আছেন তাদের মধ্যে। তবে টুর্নামেন্টের ভিএআর অফিসিয়ালদের মধ্যে কেউ অবশ্য ইংলিশ নন/
ছয় নারী রেফারির বিশ্বকাপের দায়িত্ব পাওয়াকে দেখা হচ্ছে খেলাটার জন্য নতুন দিনের সূচনা হিসেবে। কারণ বিশ্বকাপের এই মেগা ইভেন্টে যে আগে কখনো কোনো নারী রেফারি পাননি ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব!
বিশ্বকাপের দায়িত্ব পাওয়া তিন নারী রেফারি হলেন ফরাসি স্টেফানি ফ্র্যাপা, রুয়ান্ডার সালিমা মুকাসাঙ্গা, ও জাপানের ইয়োশিমা ইয়ামাশিতা। সহকারী রেফারি হিসেবে আছেন ব্রাজিলের নিউজা ব্যাক, মেক্সিকোর কারেন ডিয়াজ মেদিনা, ও যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাথেরিন নেসবিট।
তবে তালিকায় নাম থাকলেও এখনো নিশ্চিত নয় রেফারিদের মাঠে নামার বিষয়টি। আগামী ২১ নভেম্বর বিশ্বকাপ শুরুর আগে বিভিন্ন টুর্নামেন্টে রেফারিদের পারফর্ম্যান্স নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে। সেখানে ভালো করলে তবেই মিলবে বিশ্বকাপে ম্যাচ পরিকল্পনার দায়িত্ব।
এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পেছনে ফিফা রেফারিজ কমিটির প্রধান পিয়েরলুইজি কলিনা বলেন, ‘এর মাধ্যমে অনেক বড় একটা প্রক্রিয়ার ইতি ঘটল। অনেক বছর আগে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল ফিফার বালক টুর্নামেন্ট ও বিভিন্ন সিনিয়র টুর্নামেন্টে নারী রেফারিদের দায়িত্ব দিয়ে। এর মাধ্যমে আমরা এটা জোর দিয়ে বলতে চাই যে কাজের ক্ষেত্রে আমরা কেবল কর্মীর গুণটাই দেখি, তার লিঙ্গ নয়।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমি আশা করি ভবিষ্যতে পুরুষদের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতায় এলিট নারী রেফারিদের অংশগ্রহণকে স্বাভাবিক হিসেবেই ধরা হবে, বিষয়টা আর চমকপ্রদ কিছু হবে না।’
এনইউ