পাকিস্তানের সবাই করোনা নেগেটিভ
করোনাভাইরাসের মধ্যেই আন্তর্জাতিক সিরিজ, জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরিতে বেশ বেগ পেতে হয় ক্রিকেট বোর্ড আর ক্রিকেটারদের। হোটেলে ওঠে নির্দিষ্ট সময় কোয়ারেন্টাইন পর্ব পার করে একাধিকবার করোনাভাইরাস নেগেটিভের সনদ হাতে পাওয়ার পর অনুশীলের সুযোগ মেলে প্রতিযোগী দলগুলোর। তবে এবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজে নিরাপত্তা ইস্যুতে থাকছে না এত কড়াকড়ি।
৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের সঙ্গে ২ ম্যাচের একটি টেস্ট সিরিজ খেলতে আজ (শনিবার) সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছেছে পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দল। সকাল ৮টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমে রাজধানীর সোনারগাঁ হোটেলে ওঠে সফরকারীরা। সেখানে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করালে সেই ফল এসেছে বিকালেই। তাতে পাকিস্তান শিবিরের সবার পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছে।
নিয়ম অনুযায়ী রোববার মিরপুরে অনুশীলনে নামতে বাধা নেই পাকিস্তান দলের। তবে বিশ্বকাপের ক্লান্তি দূর করতে রোববার অনুশীলন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সফরকারীরা। রোববার বিশ্রাম করে সোমবার থেকে শুরু হবে তাদের অনুশীলন পর্ব।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের চিকিৎসক মনজুর হোসেন চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বললেন, ‘পাকিস্তান দলের সদস্যদের সকালেই করোনাভাইরাস পরীক্ষার নমুনা নেওয়া হয়েছিল। সর্বমোট ২৮ জনের নমুনা নেওয়া হয়। পিসিআর টেস্টে সবার ফল নেগেটিভ এসেছে। তাদের অনুশীলন নামতে বাধা নেই।’
পাকিস্তান সল সোমনার সকালে মিরপুরে অনুশীলনে নামবে। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত চলবে তাদের এই অনুশীলন সেশন। আগামী মঙ্গলবারও একই সূচি। সফরকারীরা বুধবার অনুশীলন করবে দুপুর দেড়টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত। ১৯ নভেম্বর শুক্রবার প্রথম টি-টোয়েন্টির আগে ১৮ তারিখের অনুশীলন ফ্লাডলাইটের আলোর নিচে।
বাংলাদেশ দলের অনুশীলন আজ থেকেই শুরু হয়েছে। তবে প্রথম দিনে অনেকেই অনুশীলনে উপস্থিত ছিলেন না। পূর্ণ অনুশীলন শুরু হবে ১৬ নভেম্বর। সেদিনই হোটেলে উঠবে স্বাগতিক দল।
দুই দলের ৩ টি-টোয়েন্টির সবকটি হবে মিরপুরে। প্রথমটি হবে আগামী ১৯ নভেম্বর। ২০ ও ২২ নভেম্বর হবে পরের ২ ম্যাচ। প্রথম টেস্টটি হবে ২৬ থেকে ৩০ নভেম্বর চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। ৪ থেকে ৮ ডিসেম্বর মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হবে দ্বিতীয় টেস্ট। এই সিরিজ দিয়েই টেস্ট চ্যাম্পিনশিপের দ্বিতীয় আসরের যাত্রা শুরু হবে মুমিনুল হকদের।
টিআইএস/এমএইচ