ঘরোয়া ক্রিকেটের নতুন চুক্তি ফিরিয়ে দিলেন আমির
পাকিস্তান ক্রিকেট নিয়ে আলোচনা যেন থামছেই না। পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটে চুক্তিতে রাখায় পিসিবির উপর চটেছেন পাকিস্তানের বাঁহাতি পেসার মোহাম্মাদ আমির। জানালেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে না ডাকলে ঘরোয়া চুক্তি দিয়ে তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না পাকিস্তান বোর্ড।
আমির সম্প্রতি বলেছেন ‘আমি যদি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেই না খেলি, তাহলে আমাকে ঘরোয়া চুক্তি দিয়ে কী লাভ? তারা আমাকে এই চুক্তি দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। পিসিবিতে অনেক শিক্ষিত মানুষ আছে কিন্তু তারা যেন অবুঝের মতো আচরণ করছে। এই প্রস্তাব দিয়ে আমাকে তারা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়।’
পাকিস্তান ক্রিকেট থেকে মিসবাহ উল হক ও ওয়াকার ইউনিসের সরে দাঁড়ানোর পরই শুরু সব আলোচনার। তখনই অবসর ভেঙে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরবেন আমির, এমনটা জানাচ্ছিল স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম।
এরপরই এল পিসিবির ঘরোয়া চুক্তিতে তার অন্তর্ভুক্তির ঘোষণা। সম্প্রতি প্রকাশিত তালিকায় দেখা যায়, ‘এ’ ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে তাকে। আমির বোর্ডের এই সিদ্ধান্তের প্রতি ক্ষোভ জানিয়ে বলেন- ‘তারা আমার সঙ্গে যোগাযোগ না করেই কিভাবে আমার নাম কেন্দ্রীয় চুক্তিতে দেয়। নাম দেওয়ার আগে আমার সাথে যোগাযোগ করা প্রয়োজন ছিলো। আমি পিসিবির এই চুক্তি ফিরিয়ে দিলাম।’
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে অবসরের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছিলেন আমির। নিজের পারফর্ম্যান্স নয়, তার সমস্যাটা যে ছিল পাকিস্তান দলের দুই কোচের সঙ্গে, সেটাও পরিষ্কার করে দিয়েছিলেন তিনি।
মিসবাহ আর ওয়াকারের সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতি হয় গত ২০১৯ সালে। টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়ে মিসবাহ ও ওয়াকারের তোপের মুখে পড়েন তিনি। অথচ তার এই সিদ্ধান্ত ছিল একান্তই ব্যক্তিগত, চোট থেকে বাঁচতে আর তিন ফরম্যাটের ধকল এড়াতেই নিয়েছিলেন এই সিদ্ধান্ত, আর সেটা পরিষ্কার বলেও দিয়েছিলেন তিনি।
২৯ বছর বয়সী পেস বোলার পিসিবির এই চুক্তি ফিরিয়ে দিয়ে আরো বলেন ‘আমাকে যখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বিবেচনা করা হবে না তখন কেন ঘরোয়া ক্রিকেটের চুক্তিতে দেওয়া হয়েছে। আমার জায়গায় একজন তরুণ ক্রিকেটারকে এই চুক্তি দেয়া দরকার যাতে করে সে তার পরিবারের জন্য কিছু করতে পারে।’
আমির জানান, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সরে গিয়ে ভালো সময়ই কাটছে তার। পরিবার নিয়ে বেশ সুখেই আছেন তিনি। আমিরের ভাষ্য, ‘আমি বাহিরের দেশের টুর্নামেন্ট খেলে অনেক উপভোগ করছি এবং পরিবারের সঙ্গে ভালো আছি।’
এমএফ/এনইউ