হাল না ছেড়ে দলে ফিরলেন বিজয়, ওয়ানডেতে আমলনামা
বোধহয় একেই বলে কপাল! ভাইরাস জ্বরের কারণে শেষ মুহূর্তে এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে গেছেন উইকেটকিপার ব্যাটার লিটন দাস। তার পরিবর্তে দলে ডাক পেয়েছেন এনামুল হক বিজয়। অথচ এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপকে সামনে রেখে গঠিত ৩২ জনের প্রাথমিক দলেই ছিলেন না তিনি।
ইনজুরির কারণে এশিয়া কাপের দল ঘোষণার আগেই ছিটকে গেছেন তামিম ইকবাল। আশা দেখাচ্ছিলেন লিটন দাস। তবে জ্বরের কারণে প্রথম দফায় দলের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার বিমান ধরতে পারেননি তিনি। এরপর ধারণা করা হচ্ছিল, এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে না খেললেও বাকি ম্যাচগুলো খেলতে পারবেন। তবে সেটাও সম্ভব হলো না।
লিটনের জন্য অবশ্য শেষ সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করছিল টাইগার টিম মানেজমেন্ট। কিন্তু ভাইরাস জ্বর থেকে এখনো সেরে উঠতে পারছেন না তিনি। যে কারণে লিটন পুরো এশিয়া কাপ থেকেই ছিটকে গেছেন।
আরও পড়ুন: ভারত-শ্রীলঙ্কার আধিপত্য, অপেক্ষা ফুরোবে বাংলাদেশের?
বুধবার (৩০ আগস্ট) এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিজয়কে অন্তর্ভুক্ত করার প্রসঙ্গে বিসিবির প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু বলেন, 'বিজয় আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত রান করেছে, বিসিবির পর্যবেক্ষণেও ছিল। লিটন এশিয়া কাপে খেলতে পারছে না, তাই বিজয়কে আমরা স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত করেছি।'
এদিকে দলে ডাক পাওয়ার কয়েকদিন আগেই আশাবাদী পোস্ট দিয়েছিলেন বিজয়। সেখানে কিছুটা আক্ষেপেরও সুর ছিল ৩০ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের। কখনও হাল ছেড়ো না হ্যাশট্যাগে নিজের নাম ও জার্সি নম্বর উল্ল্যেখ করে ফেসবুকে বিজয় লিখেছিলেন, ‘প্রতিটি বিপদ থেকে উদ্ধারের জন্য কোনো না কোনো রাস্তা খোলা থাকে। আমার খেলার প্রতি আগেব অনড় থাকবে।’
আরও পড়ুন: বিজয়ের দলে ডাক পাওয়া নিয়ে যা বললেন সাকিব
এর আগে বাংলাদেশের হয়ে ৪৪ টি ওয়ানডে খেলেছেন বিজয়। রান করেছেন ১২৫৪। সর্বোচ্চ ব্যাক্তিগত ১২০ (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)। ব্যাটিং গড় ৩০.৫৮। সেঞ্চুরি ৩ টি। সর্বশেষ তাকে দেখা গিয়েছিল ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডেতে। জাতীয় দলে নিয়মিত না হলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে ব্যাট হাতে রীতিমত রানের ফোয়ারা ছুটিয়েছেন তিনি।
এশিয়া কাপে অবশ্য বিজয়ের পরিসংখ্যানও বেশ ভাল। মাত্র এক আসর খেলেই জায়গা করে নিয়েছেন উইজডেনের বাংলাদেশ একাদশে। খেলেছিলেন কেবল ২০১৪ সালে। সেবার বাংলাদেশ দল ভালো কিছু করতে ব্যর্থ হলেও বিজয় ছিলেন দারুণ ছন্দে। ৪ ম্যাচে ৫৬ দশমিক ৭৫ গড়ে করেছিলেন ২২৭ রান। পাকিস্তানের বিপক্ষে ১০০ আর ভারতের বিপক্ষে ছিল ৭৭ রানের দারুণ দুই ইনিংস।
এফআই