বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ, কেমন হচ্ছে লাহোরের পিচ
২০২২ টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের পর আবারও একদিনের ক্রিকেটে ফিরছে এশিয়া কাপ। হাইব্রিড মডেলের এবারের এশিয়া কাপে বাংলাদেশের সঙ্গী হচ্ছে শ্রীলঙ্কা এবং আফগানিস্তান। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে ক্যান্ডির পাল্লেকেলেতে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার পরীক্ষা নেবে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা। ৩১ আগস্টের সেই ম্যাচের পর বাংলাদেশ দল উড়াল দেবে টুর্নামেন্টের মূল আয়োজক দেশ পাকিস্তানে। যেখানে তাদের ভেন্যু লাহোর গাদ্দাফি স্টেডিয়াম।
ষাটের দশক থেকে পাকিস্তান ক্রিকেটের এক অবিচ্ছেদ্য নাম লাহোর গাদ্দাফি স্টেডিয়াম। কালের বিবর্তনে বহু ঐতিহাসিক ম্যাচ দেখেছে এই স্টেডিয়ামটি। ১৯৯৬ বিশ্বকাপের ফাইনাল, ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার উপর হামলা, ২০১৫ সালে পাকিস্তানে ক্রিকেট প্রত্যাবর্তন সবই দেখেছে এই স্টেডিয়াম। এছাড়া ১৯৯০ সালে হকি বিশ্বকাপের ফাইনালও আয়োজিত হয়েছিল এই মাঠেই।
এশিয়া কাপ নিয়ে ঢাকা পোস্টের ধারাবাহিক আয়োজনে আজ থাকছে বাংলাদেশের গ্রুপ পর্বের ভেন্যু লাহোর গাদ্দাফি স্টেডিয়াম–
এক নজরে গাদ্দাফি স্টেডিয়াম
স্থাপিত | ১৯৫৯ |
সংস্কার | ১৯৯৬ |
দর্শক ধারণক্ষমতা | ২৭ হাজার |
পিচের প্রকৃতি | ঘাস |
উইকেট | নিরেপেক্ষ |
লাহোরের ঐতিহাসিক গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের আগে জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে এই মাঠে বাংলাদেশের অতীত ইতিহাস। পাকিস্তানের এই মাঠে এখন পর্যন্ত ৬ বার খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ। যেখানে কেবল একবারই জয় নিয়ে ফেরা হয়েছে টাইগারদের। ২০০৮ এশিয়া কাপে সেই ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ভেন্যু : ব্যাটিং স্বর্গ পাল্লেকেলে
২০০৮ সালেই চারবার এই মাঠে খেলেছিল বাংলাদেশ। এরপর থেকে পাকিস্তানের নির্বাসন এবং অন্যান্য সূচিজনিত জটিলতায় এই মাঠে নামা হইয়নি বাংলাদেশের। ২০০৮ সালের সেই সফর থেকে বাংলাদেশ দলে এখন টিকে আছেন কেবল মুশফিকুর রহিম।
সাম্প্রতিক সময়ে লাহোরের এই পিচকে আদর্শ স্পোর্টিং উইকেট হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করেছে পাকিস্তান। বিগত পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) বেশ কিছু হাই স্কোরিং ম্যাচ এখানে দেখা গিয়েছে।
এখন পর্যন্ত এই স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে মোট ৬৩টি ম্যাচ। যেখানে আগে ব্যাট করা দল জয় পেয়েছে ৩২ বার। পরে ব্যাট করে জয় এসেছে ৩০ বার। টাই হয়েছে একটিমাত্র ম্যাচ। প্রথম ইনিংসে গড় স্কোর ২৫২।
গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের অতীত রেকর্ড বলছে, বোলিং এর দিক থেকে বরাবরই পেসারদের সুবিধা দিয়ে আসছে এখানকার উইকেট। গড়, ইকোনমি রেট কিংবা উইকেট সংখ্যা সবদিকেই প্রভাব বিস্তার করেছে পেসাররাই। তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ আর মুস্তাফিজুর রহমানের গড়া পেস অ্যাটাকের উপর তাই বাড়তি নির্ভরতা থাকবে বাংলাদেশের।
হাই স্কোরিং এই পিচে দুইশ এর নিচে আউট হবার রেকর্ড আছে ১১ বার। ২০০ থেকে ২৪৯ এর মাঝে স্কোর এসেছে ১৯ বার। ২৫০ থেকে ৩০০ এর মাঝে স্কোর হয়েছে ২২ বার। আর ৩০০ এর বেশিবার স্কোর উঠেছে ১১ বার। অবশ্য ২০২২ সালে এসে মিশ্র এক চিত্র দেখা গিয়েছে লাহোরের এই পিচে। তিনবার ৩০০ এর বেশি স্কোর যেমন দেখা গিয়েছে, আবার ২৩০ এর নিচে অলআউট হতেও দেখেছে ক্রিকেট দুনিয়া।
স্পোর্টিং এই উইকেটে তাই ব্যাটে বলে কোন দিক থেকেই একক সুবিধার আশা করতে পারছে না বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের দুর্দান্ত বোলিং লাইনআপের বিপরীতে তাই কিছুটা সতর্ক হয়েই নামতে হবে সাকিব বাহিনীকে। নিজেদের সবশেষ সিরিজেও যে এই আফগানিস্তানের কাছেই হারতে হয়েছিল টাইগারদের।
জেএ