‘জিন্নাহ-গান্ধী’ সিরিজ আয়োজন করতে চায় পাকিস্তান
আইসিসি কিংবা এসিসি আয়োজিত টুর্নামেন্ট ছাড়া মুখোমুখি লড়াইয়ের দেখা মেলে না ভারত-পাকিস্তানের। দীর্ঘদিন ধরে দোলাচলে থাকার পর আসন্ন ভারত বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। গতকাল (সোমবার) এক বিবৃতি দিয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ছাড়পত্র দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে। এবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে যৌথ সিরিজ আয়োজনের স্বপ্ন দেখছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সভাপতি জাকা আশরাফ।
দেশটির সংবাদমাধ্যম জিওসুপার এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। তারা বলছে, গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জাকা আশরাফ দুই দেশের ক্রিকেট কর্তৃপক্ষের মাঝে সমন্বয় করে সিরিজ আয়োজনের আশাপ্রকাশ করেছেন। যা দেশ দুটির সাবেক দুই প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ও মহাত্মা গান্ধী’র নামে আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছেন পিসিবি প্রধান।
জাকা আশরাফ আশা করছেন, বিশ্বের দুটি সমৃদ্ধশালী ক্রিকেট বোর্ডের আয়োজনে অ্যাশেজের মতো সিরিজ আয়োজন করা যেতে পারে। এই ধরনের সিরিজ শুধুমাত্র তাদের ক্রিকেটীয় ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবে না বরং ইতিবাচক সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ক্রীড়া কূটনীতির সম্ভাবনাকেও নির্দেশ করবে বলে জানান আশরাফ।
আরও পড়ুন >> ভারতে বিশ্বকাপ খেলার অনুমতি পেল পাকিস্তান
এর আগে পিসিবি প্রধান আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের নেতৃত্বে বাবর আজমের থাকার কথা জানিয়েছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে গঠিত কোচিং প্যানেলও মেগা আসরে দলের দায়িত্বে থাকবেন বলে নতুন করে নিশ্চয়তা দিয়েছেন জাকা আশরাফ। এর আগে নাজাম শেঠি পিসিবির দায়িত্ব ছাড়ার পর নতুন সভাপতি কোচিং প্যানেল পরিবর্তন করতে পারেন বলে গুঞ্জন ওঠেছিল। তবে আসন্ন দুটি বড় টুর্নামেন্টের আগে সেই ঝুঁকি নিতে চাচ্ছে না পিসিবি।
আরও পড়ুন >> ‘ওয়ান্ট টু ম্যারি হিম’, বাবরকে নিয়ে আপ্লুত রমিজ
বর্তমানে পাকিস্তানের ক্রিকেট পরিচালক হিসেবে রয়েছেন দলটির সাবেক কোচ মিকি আর্থার, যার দায়িত্ব দলকে কৌশলগত দিক-নির্দেশনা প্রদান করা। তার সঙ্গে প্রধান কোচ হিসেবে গ্র্যান্ট ব্র্যাডবার্ন এবং বোলিং কোচ আছেন মরনে মরকেল। আগের সভাপতির নিয়োগ দেওয়া এই প্যানেল নিয়ে বিশ্বকাপে ভালো করার ব্যাপারে আশাবাদী জাকা আশরাফ, ‘আমি বিশ্বাস করি এই দলটি পারফর্ম করছে, তাদের বিরক্ত করা উচিত নয়। আমরা তাদের সময় দেবো, কারণ এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপ প্রায় কাছাকাছি। এছাড়া আমাদের লক্ষ্য একটি শক্তিশালী স্কোয়াড তৈরি করা, যারা এশিয়া কাপ-বিশ্বকাপে দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে পারবে।’
এএইচএস