বিশ্বকাপে সাত নাম্বারে খেলবেন কে?
আত্মবিশ্বাসের পালে কিছুটা বড় ধরণের ধাক্কাই খেয়েছে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের কাছে রীতিমতো বিধ্বস্ত হয়েছে টাইগাররা। পুরো দলের ব্যাটিং ব্যর্থতার মাঝেও আলাদা করে নজরে এসেছেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। বড় প্রত্যাশা নিয়ে দলে ফেরানো হলেও ব্যাট হাতে তেমন কিছুই করা হয়নি তার। আফিফের এমন ব্যর্থতায় আরও একবার প্রশ্ন এসেছে সাত নাম্বার ব্যাটিং পজিশন নিয়ে। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল কাকে এই পজিশনে খেলাবে তা নিয়ে চলছে আলোচনা।
বেশ লম্বা সময় ধরেই ব্যাট হাতে ছন্দে নেই আফিফ। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে ৭৭ রানের ইনিংসের পর থেকে পঞ্চাশ পেরুতে পারেননি একবারও। বিশের ঘর পার করেছেন মোটে একবার। আফগানিস্তান সিরিজে কিছুটা প্রত্যাশা নিয়ে ফেরানো হলেও আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি তিনি। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসছে, বিশ্বকাপের মূল দলে জায়গা হবে কিনা।
শেষ ১০ ইনিংস মিলিয়ে আফিফের রানের সংখ্যা মাত্র ৮২। চলতি সিরিজের দুই ম্যাচেও রান করেছেন ৪ এবং ০। তরুণ এই ক্রিকেটার আরও একবার সুযোগ পাবেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।
আফিফ ছাড়াও বাংলাদেশ দলে সাত নাম্বার পজিশন নিয়ে বর্তমানে বেশ কয়েকজনের নাম আসছে। যদিও এদের মধ্যে কাউকেই নির্ধারিত করতে পারছেনা টিম ম্যানেজমেন্ট। আফিফ হোসেন ধ্রুব ছাড়াও এই পজিশনের জন্য ইয়াসির আলী রাব্বি, মেহেদী হাসান মিরাজ কে বিবেচনা করা হচ্ছে।
তবে মিরাজকে বাদ দিলে এদের মাঝে সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারেননি কেউই। মিরাজের ব্যাটে ভর করে গতবছরই ঘরের মাটিতে ভারতকে হারিয়েছিলো বাংলাদেশ। তবে সেসময় মিরাজ ব্যাট করতেন আট নাম্বার পজিশনে। চলতি সিরিজের ২য় ওয়ানডেতেও আট নাম্বারে নামা মিরাজকে কিছুটা স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে দেখা গিয়েছে। ব্যাটিং অর্ডারে সাত নাম্বারে তাই হয়ত মিরাজকে বিবেচনায় রাখতে চাইবেনা ম্যানেজমেন্ট।
মিরাজ এবং আফিফের পরিবর্তে বিবেচনা করা যেতে পারে ইয়াসির আলী রাব্বিকে। তবে , ব্যাট হাতে ইয়াসিরকেও খুব বেশি কার্যকরী ইনিংস খেলতে দেখা যায়নি। নয় ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে একবারই ফিফটি পেয়েছেন তিনি। তার ব্যাটিং গড় ১৫ এর কম। তরুণ এই ক্রিকেটারের উপর তাই দল কতখানি ভরসা করতে পারে, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যায়।
বিকল্প বিবেচনায় উঠে আসছে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের নামটাও। লম্বা সময় ধরে জাতীয় দলের বাইরে থাকলেও পরিস্থিতির সাথে অচেনা নন তিনি। ২৫ গড় আর ৮৩ এর কাছাকাছি স্ট্রাইকরেট তার পক্ষে কথা বললেও সাম্প্রতিক ফর্মটা ভালো যাচ্ছেনা মোটেই। অফফর্মের কারণে জাতীয় দল থেকেও ছিটকে গিয়েছেন তিনি।
এতকিছুর পর আবারও তাই মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের মাঝেই আস্থা খুঁজতে চাইছেন অনেক ভক্ত। দীর্ঘদিন ধরে দলের ফিনিশার রোলে ছিলেন অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার। ছয় নাম্বারে মুশফিকুর রহিমের পর সাত নাম্বারে তাই আরেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের উপরেই হয়ত আস্থা রাখতে হবে টিম ম্যানেজমেন্টকে। অবশ্য রিয়াদ বেশ লম্বা সময় ধরেই দলের বাইরে। বিশ্বকাপে তার সরাসরি জায়গা পাওয়া নিয়েও আছে জটিলতা।
জেএ