আইপিএলে প্রথম যে কীর্তি গড়লেন কোহলি
ভারতীয় মাস্টার ব্যাটার বিরাট কোহলি অনবদ্য সব শটে রানের ফোয়ারা ছোটাবেন, সেটাই তো স্বাভাবিক। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমন অনেক রেকর্ড আছে, যেখানে কোহলির ধারেকাছে নেই কেউই। ডানহাতি এই ব্যাটার রেকর্ড গড়তে ভালোবাসেন, ভাঙেন অপর কোনো ক্রিকেটারের কীর্তিও। এবার আইপিএলে তেমনি একটি কীর্তি গড়েছেন সাবেক ভারত অধিনায়ক কোহলি। যেখানে দেশটির ক্রিকেট-মহারাজা সৌরভ গাঙ্গুলি ও গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে একের পর এক বিবাদে জড়াচ্ছেন, তার ভেতরও কোহলি রেকর্ড গড়তে ভুলছেন না!
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বিরতি চলছে বিরাট কোহলিদের। তবে দেশের ফ্র্যাঞ্জাইজি ক্রিকেট আসর আইপিএলে তারা ব্যস্ত সময় পার করছেন। এবারের আসরে এখন পর্যন্ত ছয়টি হাফসেঞ্চুরি করেছেন কোহলি। দলের পারফরম্যান্স যেমনই হোক, হেসেই চলেছে তার ব্যাট।
আরও পড়ুন >> কোহলির সঙ্গে চলমান উত্তাপ কমালেন গাঙ্গুলি
শনিবার (৬ মে) রাতে দিল্লি ক্যাপিটালসের মুখোমুখি হয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ঘরের মাঠে এদিন আগে ব্যাট করতে নেমেই রেকর্ড গড়েন কোহলি। অবশ্য সেই মাইলফলক ছুঁতে তার দরকার ছিল মাত্র ১২ রান। আর এতেই প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এই বেঙ্গালুরু তারকা আইপিএলে ৭ হাজার রানের চূড়ায় পা রাখলেন।
— ESPNcricinfo (@ESPNcricinfo) May 7, 2023
তবে সেই কীর্তির পর কোহলি ফিফটি হাঁকিয়েছেন। এরপর যদিও ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ৪৬ বলে ৫ চারে করেন ৫৫ রান। ভারতের ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টটিতে ২৩৩ ম্যাচ আর ২২৫ ইনিংসে কোহলির রান এখন ৭ হাজার ৩৮। ৩৬.৮৪ গড় ও ১২৯.৪৯ স্ট্রাইক রেটে এই রান করার পথে তিনি সেঞ্চুরি করেন ৫টি, ফিফটি ৫০টি।
আরও পড়ুন >> গম্ভীরের সঙ্গে বিবাদে নতুন মাত্রা দিলেন কোহলি
চলতি আসরে এখন পর্যন্ত ১০ ম্যাচে ৬ ফিফটিতে কোহলির রান ৪১৯। তিনি ২০০৮ সালে আইপিএলের উদ্বোধনী আসর থেকেই বেঙ্গালুরুর হয়ে খেলছেন। একই ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে ১৬ আসরের সবগুলোতে খেলা একমাত্র ক্রিকেটারও তিনিই। প্রথম দুই আসর বাদে প্রতিটিতেই কোহলি অন্তত ৩০০ রান করেছেন। কোনো এক আসরে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ডও তার। ২০১৬ আসরে তিনি ৯৭৩ রান করেছিলেন ৮১.০৮ গড় ও ১৫২.০৩ স্ট্রাইক রেটে। যেখানে সেঞ্চুরি ছিল ৪টি। ২০১৯ আসরে আসে তার আরেকটি সেঞ্চুরি।
২১৩ ম্যাচে ৬ হাজার ৫৩৬ রান নিয়ে কোহলির পরই আছেন আরেক ভারতীয় ব্যাটার শেখর ধাওয়ান। এছাড়া, ৬ হাজারের বেশি রান আছে কেবল ডেভিড ওয়ার্নার (৬ হাজার ১৮৯) ও রোহিত শর্মার (৬ হাজার ৬৩)।
এএইচএস