আমাকে ফেয়ারওয়েল দিতে চেয়েছিল : ধোনি
ইডেন গার্ডেন্সে চেন্নাইয়ের মুখোমুখি স্বাগতিক কলকাতা নাইট রাইডার্স। স্বাভাবিকভাবেই হোম ভেন্যুতে কেকেআর রবই উঠার কথা। গ্যালারি ছেয়ে যাওয়ার কথা কলকাতার রঙয়ে। তবে রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় দেখা গেল বিপরীত চিত্র। কলকাতার গ্যালারি দেখে এদিন যে কেউ দ্বিধায় পড়তে পারেন এটা কি কলকাতা নাকি চেন্নাইয়ের গ্যালারি! বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ স্টেডিয়ামটি ছেয়ে যায় চেন্নাইয়ের হলুদে। স্রেফ একটাই ধ্বনি উঠল, ধোনি, ধোনি।
মাহিতেই মগ্ন থাকল ইডেন গার্ডেন্স। বাস থেকে নেমে ইডেনে প্রবেশের সময় হোক বা টসের সময় হোক বা ফিল্ডিংয়ের সময় হোক বা 'ধোনি রিভিউ সিস্টেম' (ডিআরএস) সঠিক প্রমাণিত হওয়া হোক, মাহি মাদকতায় ইডেন আচ্ছন্ন হয়ে থাকল। ইডেনকে দেখে মনে হচ্ছিল যে খাতায়কলমে একটি ম্যাচ হচ্ছে। খেলছে কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং চেন্নাই সুপার কিংস। কিন্তু ইডেনের কাছে মাঠে একজনই ছিলেন, তিনি হলেন ধোনি। তার জন্যই ইডেনে পুরো হলুদ সমুদ্রে ভেসে গেল। কেকেআর কার্যত পাত্তাই পেল না।
সেই ইডেনকে দেখে আপ্লুত হয়ে গেলেন স্বয়ং ধোনিও। ম্যাচের পর চেন্নাই অধিনায়ক ধোনি বলেন, ‘আমি শুধু এটাই বলব যে এভাবে সমর্থন করার জন্য ধন্যবাদ। (ইডেন গার্ডেন্সে আজকের ম্যাচের জন্য) প্রচুর মানুষ এসেছেন। এরপর যখন কেকেআরের ম্যাচ হবে, তাদের মধ্যে অধিকাংশ কেকেআরের জার্সি পরে মাঠে আসবেন। সেটা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি। তারা নিজেদের দলের প্রতি ভালোবাসা উজাড় করে দেন।'
আর হবেই বা না কেন, এটাই তো সম্ভবত ইডেনে শেষ পেশাদারি ম্যাচ খেলে ফেললেন ধোনি। যা কার্যত নিজে মুখেই জানিয়ে দিলেন। বুঝিয়ে দিলেন, এটাই সম্ভবত তার শেষ আইপিএল হতে চলেছে। ধোনির কথায়, 'আমার মতে, এটা একবারই হল। ওরা (কলকাতার মানুষ) আমায় ফেয়ারওয়েল দিতে চাইছিলেন। ওরা বলতে চাইছিলেন যে আমরা মাঠে আসব, হলুদ পোশাক পরে আসব। আমার তরফে তাঁদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এটা দুর্দান্ত। একটি স্টেডিয়ামে হলুদ জার্সি পরা এত মানুষ - তাও কলকাতায় খেলা হচ্ছে। ধন্যবাদ।’
এফআই