ভারতকে জাহান্নামে যেতে বললেন মিয়াঁদাদ
আসন্ন এশিয়া কাপের ভেন্যু নিয়ে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তুমুল কথার লড়াই চলছে। দেশ দুটির ক্রিকেট নীতিনির্ধারকরা একে অপরকে তোপ দাগছেন রীতিমতো। এরই মধ্যে ভারত নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন সাবেক পাক কিংবদন্তি জাভেদ মিয়াঁদাদ।
আইসিসির শিডিউল অনুযায়ী, আসন্ন এশিয়া কাপের আসর বসার কথা পাকিস্তানে। তবে বিসিসিআই সেক্রেটারি জয় শাহ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, পাকিস্তানে গিয়ে এশিয়া কাপ খেলবে না ভারত। কারণ হিসেবে নিরাপত্তার কথা বলছেন তারা। সেই সঙ্গে নিরপেক্ষ ভেন্যু হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাটিতে এশিয়া কাপ আয়োজনেরও ইঙ্গিত দিয়েছেন এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের এই প্রধান। অবশ্য ভারতের এমন অন্যায় আবদারের কড়া প্রতিক্রিয়া আগেই জানিয়েছিলেন পিসিবির বিদায়ী চেয়ারম্যান রমিজ রাজা। ইটের বদলে পাটকেল ছুড়ে বলেছিলেন, এশিয়া কাপ খেলতে ভারত আমাদের দেশে না আসলে আমরাও সেখানে গিয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলবো না।
পিসিবির নতুন চেয়ারম্যান নাজাম শেঠিও পূর্বসূরী রাজার সিদ্ধান্তে বহাল থেকেছেন। আর এর মধ্যেই গত রোববার এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) নির্বাহী কমিটির সভায় এশিয়া কাপ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। হুমকি-পাল্টা হুমকির মতো বিষয়গুলো থাকলেও আলোচনা থেকে ফলপ্রসূ কোনো সমাধান মেলেনি। আগামী মাসে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে সভায় জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে পাকিস্তান
মূলত সরকারের অনুমতি না মেলায় পাকিস্তানে গিয়ে এশিয়া কাপ খেলতে চায় না ভারত। সে কারণেই দেশটির ক্রিকেট সংস্থার সচিব ও এসিসি সভাপতি জয় শাহ নিরপেক্ষ ভেন্যুর প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তবে সেটা মানতে অসম্মতি জানিয়েছেন পিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজাম শেঠি। বলেন, ‘ভারত ক্রিকেট দল পাকিস্তানে খেলতে না আসলে, পাকিস্তানও ভারতে যাবে না।’
এদিকে, পাকিস্তানে গিয়ে এশিয়া কাপ খেলতে অস্বীকৃতি জানানো ভারতের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন কিংবদন্তি মিয়াঁদাদ। এক প্রতিক্রিয়ায় জানান, ভারত যদি পাকিস্তানে খেলতে না আসে, তবে তাদের কিছুই যায় আসে না। তিনি বলেন, ‘ভারত যদি পাকিস্তানে খেলতে না আসে তো না আসবে। ওরা জাহান্নামে যেতে পারে। তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না।’
মিয়াঁদাদের দাবি, হেরে যাওয়ার ভয়েই নাকি ভারতীয় দল পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রিকেট খেলতে চায় না। তাই তারা নাকি চিরকাল পালিয়ে বাঁচে। বলেন, তারা জানে যদি পাকিস্তানের বিপক্ষে হেরে যায়, তাহলে মানুষ তাদের ছেড়ে দেবে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হতাশ হবেন। তাকেও মানুষ ছেড়ে দেবে না।
এফআই