সাকিবকে পেয়েই জ্বলে উঠল গায়ানা
চলতি ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে সাকিব আল হাসানকে দলে টেনেছিল গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স। তবে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ককে এতদিন পায়নি দলটি। সময়ের সেরা এই অলরাউন্ডার যোগ দিয়েছেন দিনদুয়েক আগে। তার আগে গায়ানার অবস্থা খুব একটা সুখকর নয়। এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচ খেলে জিতেছে মোটে একটি ম্যাচে। বর্তমানে দলটির অবস্থান লিগ টেবিলের একেবারে তলানিতে।
তবে সাকিব দলে যোগ দিতেই যেন চেহারা বদলে গেল গায়ানার। টেবিলের তিনে থাকা জ্যামাইকা তালাওয়াসকে হারিয়েছে ১২ রানে। তাতে সেমিফাইনালের আশাও ভালোভাবেই টিকিয়ে রাখল দলটি।
ব্যাট হাতে অবশ্য সাকিব মোটেও স্বরূপে ছিলেন না। চারে নেমে ৪ বল খেলে ফিরেছেন রানের খাতা খোলার আগেই। তবে তার আগে নামা শেই হোপের ৪৫ বলে ৬০ আর শেষ দিকে ওডিন স্মিথের ১৬ বলে ৪২ ও কিমো পলের ১২ বলে ২৪ রানের ঝোড়ো ইনিংসে গায়ানা ১৭৮ রানের বিশাল সংগ্রহ পায়।
সাকিব বল হাতেও শুরুর দিকে ছিলেন নিষ্প্রভ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই অধিনায়ক শিমরন হেটমায়ার তাকে এনেছিলেন আক্রমণে। তবে তার শুরুটা হয়েছিল ছক্কা হজম করে। সে ওভার থেকে আসে ৮ রান। পরের দুই ওভারেও সুবিধা করতে পারেননি সাকিব। হজম করেন যথাক্রমে ১১ ও ৯ রান। তবে সাকিব ভেল্কি দেখালেন নিজের শেষ ওভারে। ইনিংসের ১৬তম ওভারে আক্রমণে এসে ফ্যাবিয়ান অ্যালেনকে তুলে নেন, রান দেন মোটে দুটো। তাতে চার ওভার শেষে তার বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড়ায় ৪-০-৩০-১।
সাকিবের এমন বোলিংয়ের পরও প্রতিপক্ষ জ্যামাইকা তালাওয়াস ভালোভাবেই ছিল ম্যাচে। সঙ্গীদের সমর্থন তেমন না পেলেও ওপেনার ব্রেন্ডন কিং একাই চালিয়ে যাচ্ছিলেন লড়াইটা। তবে তার লড়াইটা শেষ হয় ইনিংসের শেষ ওভারে। ৬৬ বলে ১০৪ রানের ইনিংস খেলে তিনি রান আউট হয়ে ফেরার সঙ্গে সঙ্গেই প্রায় জয় নিশ্চিত হয়ে যায় গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সের। শেষ ওভারের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে মিগেল প্রিটোরিয়াস আর মোহাম্মদ আমিরকে ফিরিয়ে সেটাও সেরে ফেলে গায়ানা। ১২ রানের ব্যবধানে চলতি মৌসুমের দ্বিতীয় জয় তুলে নেয় দলটি।
এই জয়ের পরও গায়ানা আছে টেবিলের শেষেই। তবে আর সব দল থেকে অন্তত একটি করে ম্যাচ কম খেলেছে দলটি। যার ফলে দলটির সেমিফাইনাল আশাও টিকে আছে ভালোভাবেই।
এনইউ