সাকিবকে রুখতে ‘বিশেষ পরিকল্পনা’ করে ভারত
নিজের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই ব্যাট-বলে সমান তালে পারফর্ম করে চলেছেন সাকিব আল হাসান। যে কারণে বাংলাদেশের সাথে খেলা হলে বাঘা বাঘা সব দলের পরিকল্পনার টেবিলে সবার উপরে নাম থাকতো সাকিবের। এমনকি ভারতীয় দলেরও বাড়তি পরিকল্পনায় থাকতেন সাকিব। সম্প্রতি বাংলা টাইগার্সের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হওয়ার পর সাকিবকে নিয়ে বলতে গিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন ভারতীয় সাবেক পেসার শান্তাকুমারণ শ্রীশান্ত।
শ্রীশান্ত একসময় ভারতীয় দলের নিয়মিত সদস্যই ছিলেন, ছিলেন বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্যও। কিন্তু ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএলে) স্পট ফিক্সিংয়ের কবলে পড়ে সাত বছর ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হন। শাস্তি শেষে খেলার তীব্র ইচ্ছা পোষণ করলেও আর ক্রিকেটে ফিরতে পারেননি এই পেসার। তবে এবার টি-টেন লিগের দল বাংলা টাইগার্সের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়েছেন শ্রীশান্ত।
আরও পড়ুন >> সাকিবের সঙ্গী মোহাম্মদ আমির
অনুষ্ঠানে বাংলা টাইগার্সের আইকন ক্রিকেটার সাকিব প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে শ্রীশান্ত বলেন, 'সে (সাকিব) খেলোয়াড় হিসেবে এবং একজন অধিনায়ক হিসেবে যে দৃঢ়তা দেখিয়েছে তাতে আমি তাকে নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। আমি আপনাকে স্পষ্টভাবে বলি, ২০০৭ সালে এবং পরে আমাদের সঙ্গে কী ঘটেছিল, সে এমন একজন ক্রিকেটার, যার জন্য সবময় আমাদের বিশেষ টিম মিটিং করতে হতো। কীভাবে তাকে আউট করতে হবে এবং কীভাবে তার বিপক্ষে খেলতে হবে। তাই তাকে এখানে পেয়ে আমি খুবই আত্মবিশ্বাসী।'
এর আগে ২০১৩ সালের আইপিএলে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগে ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত হন শ্রীশান্ত। প্রথমে আজীবন ক্রিকেট থেকে তাকে নিষিদ্ধ করেছিল বিসিসিআই। তবে দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে ২০১৮ সালে শ্রীশান্তের ওপর থেকে আজীবন নির্বাসনের সিধান্ত প্রত্যাহার করতে বিসিসিআইকে নির্দেশ দেয় কেরালার হাইকোর্ট। পরে তার শাস্তির মেয়াদ কমে সাত বছরে নেমে আসে। ফলে ২০২০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর সেই মেয়াদকাল শেষ হয় শ্রীশান্তের।