শচীন আমাকে ভয় পেত না, শোয়েবের সরল স্বীকারোক্তি
নিঃসন্দেহে ব্যাটারদের জন্য একটি দুঃস্বপ্ন ছিলেন শোয়েব আখতার। ‘দ্য রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’ তার গতি, তীক্ষ্ণ বাউন্সার ও সুনির্দিষ্ট ইয়র্কারের জন্য পরিচিত ছিল। সেই দাপটেই ব্যাটারদের নাকানিচোবানি খাইয়েছেন তিনি। কিংবদন্তি শচীন তেন্ডুলকারের সঙ্গে তার দ্বৈরথ ছিল দেখার মতো। নব্বই দশকের শেষের দিকে দুই প্লেয়ার বেশ কয়েক বার পরপর একে অপরের মুখোমুখি হয়েছিলেন।
স্টার স্পোর্টসের সঙ্গে একটি কথোপকথনে শোয়েব আখতার বলেছিলেন, নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে যখন বেশির ভাগ ব্যাটার তার বলের গতিতে ভয় পেতেন, তখন শচীন তেন্ডুলকার তাকে ভয় পাননি। বরং সবচেয়ে ভালোভাবে খেলতেন। বিশেষ করে ১৯৯৯ বিশ্বকাপের সময়।
শোয়েব আখতার বলেন, ২০০৩ বিশ্বকাপেও আমরা চাপের মধ্যে ছিটকে গিয়েছিলাম। কিন্তু ১৯৯৯ বিশ্বকাপে শচীন আমাকে দুর্দান্ত খেলেছিল। বেশির ভাগ খেলোয়াড়ই আমাকে খেলতে ভয় পেত। অনেক ব্যাটারের ফুটওয়ার্ক খারাপ হয়ে যেত।
আরও পড়ুন: ‘তুমি সত্যিকারের চ্যাম্পিয়ন’, বাংলাদেশের মারিয়াকে শচীন
অন্য এক বিবৃতিতে শোয়েব আখতার বলেন, আমি অনুভব করতাম যে শচীন আমাদের বোলিংকে সম্মান করেন না। শচীন ছিলেন নির্ভীক। শচীন দর্শকদের কাছ থেকে প্রচুর সমর্থন পেতেন এবং এই কারণেই আরও নির্ভয়ে খেলতেন।
কয়েক দিন পার মাঠে গড়াবে এশিয়া কাপ। ২৮ আগস্ট ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হবে। সারা বিশ্বের ক্রিকেট ভক্তদের চোখ সেই ম্যাচের দিকেই থাকবে। এই ম্যাচটি দুবাইতে অনুষ্ঠিত হবে। ধারণা করা হচ্ছে, এই ম্যাচে প্রচুর রান হবে এবং কিছু বিস্ফোরক ইনিংস দেখা যাবে।
তবে এখন ভারত-পাকিস্তান খেলায় শচীন-আখতার দ্বৈরথ ইতিহাস হয়ে গেছে। বিরাট কোহলি, বাবর আজম, রোহিত শর্মারা সেই জায়গা দখল করেছেন। তবে এবার এশিয়া কাপে ভারতের বোলার জসপ্রীত বুমরাহ বা পাকিস্তানের তারকা শাহিন আফ্রিদি না থাকায় ম্যাচের জৌলুস কি কমবে? দুই তারকা বোলারকে কতটা মিস করবে দুই দেশ? সময়ই এর জবাব দেবে। তবে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে অবশ্য অন্য কোনো অংকই কাজ করে না। এর উন্মাদনাই আকাশছোঁয়া থাকে।
এসএসএইচ