এটা পাড়ার ক্রিকেট না যে যাকে খুশি তাকে খেলিয়ে দিলাম
একে তো ওয়ানডে সংস্করণ, সঙ্গে প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে। তুলনামূলক দুর্বল জিম্বাবুয়ে বিপক্ষে পরিষ্কারভাবেই ফেভারিট বাংলাদেশ দল। তার ওপর পঞ্চাশ ওভারের এই সিরিজটি আইসিসি সুপার লিগের অংশ নয়। স্বাভাবিকভাবেই বেঞ্চের শক্তি পরীক্ষা করে নেওয়ার বড় সুযোগ টাইগারদের সামনে। যেমনটি সদ্য সমাপ্ত উইন্ডিজ সিরিজেই চেয়েছিলেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
তবে শক্তিমত্তা যাচাইয়ের পথে যে বাংলাদেশ দল হাঁটবে না তার প্রমাণ মিলেছে উইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতেই। এবার জিম্বাবুয়ে সফরের ওয়ানডে সিরিজের জন্যও পুরো শক্তির স্কোয়াড দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। স্বাভাবিকভাবেই পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যে যাবে না টাইগাররা। এই সফরে অংশ নিতে রাতে দেশ ছাড়ার আগে তামিম জানিয়ে গেলেন, এটি পাড়ার কোনো খেলা নয় যে চাইলেই একে-ওকে নামিয়ে দেবেন।
বিমানবন্দরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তামিম বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় না তরুণ বা বৃদ্ধ, এটা নিয়ে ইদানিং বেশি কথা হচ্ছে। যারা ক্যাপেবল, তারাই সুযোগ পাবে ১৫ জনে বিশেষত। সেরা একাদশ আমরা বেছে নেব।’
সঙ্গে যোগ করেন তামিম, ‘১৫ জনে অনেক সময় অনেকে গেম টাইম পায় না। এরকম যদি সুযোগ থাকে, আমরা খেলাতে পারি, দলের জন্য ভালো হবে। কিন্তু যেটা বললাম, এটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, আন্তর্জাতিক সিরিজ। পাড়ার কোনো খেলা না যে, আমি একে-ওকে খেলালাম। যেই হোক, যে ডিজার্ভ করে জায়গা, সে অবশ্যই খেলবে।’
তামিম এটাও দাবি করলেন, এখন তরুণদের যথেষ্ট সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। তামিমের ব্যাখ্যা, ‘আমার তো মনে হয় তরুণরা সব সুযোগই পাচ্ছে এখন। একটা দলে ১৫ জন থাকে, সবাইকে তো খেলানোর সুযোগ থাকে না। আপনি যদি শেষ সিরিজেও দেখেন, তরুণরাই খেলেছে। এই সিরিজে মুশফিক ঢুকছে, সে আমাদের জন্য সবাই খুব খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
টিআইএস/এনইউ