১০ উইকেটের জয় অধরাই রয়ে গেল বাংলাদেশের
১০ উইকেটের জয়। কথাটায় দাপটের একটা ছাপ আছে। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে এই দাপুটে কথাটার যোগ নেই। নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে যে কখনোই ১০ উইকেটে জিততে পারেনি বাংলাদেশ!
আজ বুধবার গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে অবশ্য একটা সুযোগ তৈরি হয়েছিল, অধরা সেই ইতিহাসটাকে বশে আনার। উইন্ডিজকে ১০৮ রানে রুখে দিয়েছিল বাংলাদেশ। দুই ওপেনার তামিম ইকবাল আর নাজমুল হোসেন শান্ত যদি একটা শতরানের জুটি গড়ে ফেলতে পারেন, তাহলেই তো কেল্লাফতে!
তবে এবারও ইতিহাসটায় কবজা করা গেল না। তামিম শান্তর দারুণ শুরুর পরও। ব্যক্তিগত ২০ আর দলীয় ৪৮ রানে শান্ত ফেরেন সাজঘরে। তাতেই বাংলাদেশের দশ উইকেটে জেতার স্বপ্নের সলিল সমাধি ঘটে।
গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে টস জিতে বোলিংয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ। মোসাদ্দেক হোসেন ইনিংসের ১১তম ওভারে এনে দিয়েছিলেন ব্রেকথ্রু। এরপর নাসুম আহমেদের আগ্রাসী বোলিংয়ে ৪৫ রান তুলতেই ৪ উইকেট খুইয়ে বসে উইন্ডিজ।
এরপর ছোট্ট একটা জুটি দাঁড়িয়ে যায় ব্রেন্ডন কিং আর রভম্যান পাওয়েলের। সেই জুটি ভাঙেন শরিফুল। এরপর মেহেদি হাসান মিরাজের চার উইকেট, আর এক রান আউটের কাটায় পড়ে উইন্ডিজ থমকে যায় মাত্র ১০৮ রান তুলেই।
মামুলি লক্ষ্যের শুরুটা হতে হয় স্থিতধী, নাহয় ক্ষয়রোগের ভয়টা থেকেই যায়। সেটা হয়ে গেলে বড় ব্যবধানের জয়, এমনকি দশ উইকেটের জয়ও অসম্ভব নয়।
সেই তত্ব মেনেই বাংলাদেশ শুরুটা করে সাবধানী। দশ ওভার শেষ করে ৪১ রান তুলে। তাতে দশ উইকেটে জেতার আশাটাও ধীরে ধীরে উজ্জ্বল হতে থাকে। তবে সে আশাটা টিকল আর মাত্র ৩ ওভার। ইনিংসের ১৩তম ওভারের প্রথম বলে গুদাকেশ মটির বলে আকিল হোসেনের হাতে ক্যাচ তুলে দেন শান্ত। তাতে ১০ উইকেটে জেতার আশাটা আর বাস্তবে রূপ নেয়নি বাংলাদেশের।
এনইউ