‘চিরতরুণ’ কার্তিকে সিরিজে সমতা ফেরাল ভারত
ভারতের ইতিহাসের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে জয়টা পেয়েছিল দীনেশ কার্তিকের ব্যাটে ভর করে। এরপর কেটে গেছে আরও ১৬টি বছর। ভারত দুই ফরম্যাটে দুই বার বিশ্বজয় করেছে। আইপিএল শিকড় গেড়ে রীতিমতো মহীরুহে পরিণত হতে চলেছে ক্রিকেটে। তবে একটা বিষয় বদলায়নি। সেটা হচ্ছে দীনেশ কার্তিকের চিরতারুণ্য। ‘চিরতরুণ’ কার্তিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে জ্বলে উঠলেন আবার। তার ব্যাটে ভর করে পাওয়া বড় পুঁজি ভারতীয় বোলাররা সামলেছেন দারুণভাবে। ৮২ রানের বিশাল জয় নিয়ে দলটি ২-২ সমতা ফিরিয়েছে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে।
শুক্রবার রাজকোটের সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন মাঠে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ভারতের। রুতুরাজ গায়কোয়াড়, শ্রেয়াশ আইয়াররা ফেরেন দ্রুত। পাওয়ারপ্লে শেষে ফেরেন ঈশান কিষাণও। ১৩তম ওভার শেষে যখন ঋষভ পান্ত চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফিরছেন, তখন ভারতের স্কোরবোর্ডে যোগ হয়েছে মাত্র ৮১রান। সেখান থেকে ২০ ওভার শেষে ভারতের স্কোরটা ১৬৯ হয়েছে, তার বড় অবদানটা কার্তিকেরই।
পথটা অবশ্য গড়ে দিয়েছিলেন ভারতের ‘ভবিষ্যৎ’ অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। পাওয়ারপ্লে শেষে যখন আসেন উইকেটে, তখন রান ছিল মাত্র ৪০। এরপর পান্তকে সঙ্গে নিয়ে প্রথমে ইনিংস গড়েছেন। তাতেই শেষ দিকে ঝড় তোলার মঞ্চ পেয়ে যান কার্তিক। ‘চিরতরুণ’ কার্তিক সেটা কাজেও লাগিয়েছেন বেশ। ৯ চার আর ২ ছক্কায় ২৭ বলে তুলেছেন ৫৫। তাতে ভর করেই শেষ পাঁচ ওভারে ভারত তোলে ৭৩ রান। পায় ১৬৯ রানের বড় এক পুঁজি।
জবাবে টেম্বা বাভুমা আর কুইন্টন ডি কক শুরুটা ধীরে সুস্থে করেছিলেন। তবে দলীয় ২০ রানে আহত অবসর হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় বাভুমাকে। সেই যে বিপাকে পড়ল দক্ষিণ আফ্রিকা, তা থেকে আর বেরোতেই পারল না। পাওয়ারপ্লেতেই হারিয়েছে কুইন্টন ডি কক আর ডোয়েইন প্রিটোরিয়াসকে। প্রয়োজনীয় রান তুলতে পারেনি পাওয়ারপ্লেতে। এরপর এরপর হাইনরিখ ক্লাসেন, ডেভিড মিলাররাও দলকে ফেরাতে পারেননি কক্ষপথে। এমনকি ওভারপ্রতি রানটা কখনো ছোঁয়নি ৬ এর কোটাও। শুরুর চাপটা ধরে রেখে এরপর সফরকারীদের টুটি চেপে ধরার কাজটা ভালোই সামলেছেন ভারতীয় বোলাররা। তাতে ৮৭ রানেই শেষ হয় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। ৮২ রানের জয় দিয়ে ভারত ২-২ সমতাও ফিরিয়ে আনে সিরিজে।
ভারতের এই জয়ের ফলে শেষ ম্যাচটা কার্যত ফাইনালেই পরিণত হয়েছে। সিরিজ নির্ধারণী শেষ ম্যাচে আগামীকাল রোববার বেঙ্গালুরুর চিন্বাস্বামী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে দুই দল।