সাকিবকে যখন দরকার, তখন আমরা পাই না : পাপন
সাকিব আল হাসানকে নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের আক্ষেপের অন্ত নেই। গত ৮ মে সংবাদমাধ্যমকে পাপন জানান, তাকে পেতে চায় তিন ফরম্যাটের অধিনায়করা। কিন্তু চাইলেই সাকিবকে সব ম্যাচ বা সিরিজে পাওয়া যায় না। বিসিবি চায় সব ম্যাচেই সাকিব খেলুক। সাকিব নিজেও চেয়েছিলেন এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজটি খেলতে। এজন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে এসেছেন তিনি। তবে ফিরে করোনাভাইসের আক্রান্ত হয়েছেন এই অলরাউন্ডার।
করোনা আক্রান্তের কারণে আগামী ১৫ মে শুরু হতে যাওয়া লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলতে পারবেন না সাকিব। তাকে নিয়ে আরো একবার আক্ষেপ ঝরল বোর্ড সভাপতির কণ্ঠে। আজ বুধবার জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পাপন জানান, যখন দরকার হয় তখন সাকিবকে পায় না দল।
পাপন বলছিলেন, ‘সাকিব না থাকায় আমাদের এখন একজন ব্যাটসম্যান কম নিয়ে খেলতে হবে অথবা একজন বোলার কম নিয়ে খেলতে হবে। এটা একটা সমস্যা বাট এখানে কিছু বলার নেই, কিছু করার নেই। আমাদের কপাল খারাপ যে ওকে আমরা পাচ্ছি না। আমাদের যখন দরকার হয় তখন আমরা তাকে পাই না। এখন একমাত্র আমরা প্রত্যাশা করতে পারি যে সে সুস্থ হোক।’
যোগ করেন পাপন ‘এটা আমাদের কপাল খারাপ। আমরা এখন দোয়া করছি সাকিব যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাক। কালকে আমার সঙ্গে কথা হয়েছে, বলেছে ও এখন ভালো। ওর না থাকাটা তো অবশ্যই দলের জন্য বড় একটা ধাক্কা। এই কারণে যে শ্রীলঙ্কা অনেক শক্তিশালী দল। আর টেস্টে তো আমরা অনেক দুর্বল আছি। তো সে কারণে এটা একটা বিরাট সুযোগ ছিল আমাদের, এবং এখনো আছে। তো দেখা যাক সাকিবের জায়গায় যে আসবে সে নিজেকে প্রমাণ করতে পারবে এটাই আমরা আশা করছি।’
সাকিব না থাকলে বোলিং বিভাগের শক্তি কমে যায়। তার ওপর এবার পাওয়া যাচ্ছে না দলের সেরা পেসার তাসকিন আহমেদকে। শরিফুক ইসলামও মাত্র চোট থেকে উঠলেন। তবে সেসব নিয়ে ভাবছেন না পাপন। বাকি যারা যাছেন, তাদের নিয়েই আত্মবিশ্বাসী বিসিবি সভাপতি।
পাপনের ব্যাখ্যা, ‘পেস বিভাগে আমাদের যদি জিজ্ঞেস করেন, অবশ্যই তাসকিন থাকলে সে খেলতো, আর শরিফুল। এখন তাসকিন নেই। শুনেছি শরিফুল ফিট, চাইলেই খেলতে পারবে। আমদের অন্যান্য পেসার যারা দেখেছি, এবাদত, খালেদ ওরাও কিন্তু ভালো খেলছে। কাজেই পেস বিভাগ নিয়ে নিশ্চিত নাই যে একেবারেই আমাদের ভালো কোনো পেসার নেই তা না। তাদের প্রত্যেকেরই প্রতিভা আছে।’
টিআইএস/এটি