বিশ্বরেকর্ড গড়েও মন ভালো নেই বিজয়ের
৯৩০ রান নিয়ে মঙ্গলবার সুপার লিগের চতুর্থ রাউন্ডে মাঠে নেমেছিলেন এনামুল হক বিজয়। ৭০ রান করতেই ছুঁয়ে ফেললেন হাজার রানের মাইলফলক। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ লিস্ট ‘এ’ মর্যাদা পাওয়ার পর প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এক মৌসুমে এক হাজার রানের রেকর্ড গড়লেন এই ডানহাতি ওপেনার। তাই তো প্রাপ্তির আনন্দটাও ছিল বাধনহারা। হেলমেটের ভেতর থেকে তার মুখ ভর্তি চওড়া হাসি বোঝা যাচ্ছিল। প্রান্ত বদল শেষে মুষ্টিবদ্ধ হাত শূন্যে ছুঁড়েছিলেন।
এই মাইলফলক অতিক্রম করার পর বিজয় কি জানতেন যে তিনি আসলে বিশ্বরেকর্ডে নাম তুলে ফেলেছেন? শুধু বাংলাদেশেই নয়, লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটের কোনো টুর্নামেন্টের এক আসরে হাজার রানের কীর্তি গড়া বিশ্বের প্রথম ও একমাত্র ক্রিকেটার এখন বিজয়। এতদিন লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এক টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ রান করার কীর্তি ছিল অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান টম মুডির। ১৯৯১ সালে ওয়ারউইকশায়ারের হয়ে সানডে লিগে করেছিলেন ৯১৭ রান।
একই টুর্নামেন্টে ১৯৯০ সালে জিমি কুক করেছিলেন ৯০২ রান, সমারসেটের হয়ে। মুডি ১৫ ও কুক খেলেছিলেন ১৬ ইনিংস। বিজয় এখন পর্যন্ত ১৪ ইনিংস ব্যাট করে করেছেন মোট ১ হাজার ৪২ রান। টুর্নামেন্টের নাকি এখনো ১ ম্যাচ।
এমন সব অর্জনের পরেও মন ভালো নেই বিজয়ের। কারণ, ঢাকা লিগে নিজ দল প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে চ্যাম্পিয়ন করতে পারেননি তিনি। বিজয় বলছিলেন, ‘আসলে টিমকে চ্যাম্পিয়ন করব, এটা চিন্তা করেছিলাম। আসলে এটা হয়নি, এটার জন্য খারাপ লাগছে। কিন্তু চেষ্টা করব যখনই দলে খেলি যেন অবদান রাখতে পারি। এটা পেরেছি, তবে চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে আরও ভালো লাগতো। এরকম কোনো লক্ষ্য ছিল না ১ হাজার রান করব।’
যোগ করেন বিজয়, ‘আসলে ধারাবাহিকতা খুবই জরুরি প্রত্যেক ক্রিকেটারের জন্য, সে বোলার হোক আর ব্যাটসম্যান। আমি সেটাই চেষ্টা করছি, দোয়া করবেন যেন এরকম ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারি।’ -আরো যোগ করেন বিজয়।
বিজয়ের ব্যাটে শুরু থেকেই রানের ফোয়ারা। সুপার লিগের আগেই ১০ ম্যাচে ৭২.৮০ গড়ে, ৯৭.৯৮ স্ট্রাইক রেটে করেন ৭২৮ রান। সুপার লিগের দ্বিতীয় ম্যাচে সাইফ হাসানের ৮১৪ রানের রেকর্ড ছাড়িয়ে যান ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ২০১৩ সালে লিস্ট ‘এ’ মর্যাদা পাওয়ার পর ২০১৯ সালে সাইফ হাসান ৮১৪ রান করেছিলেন ১৬ ইনিংসে। মঙ্গলবার বিজয় ছাড়িয়ে গেছেন নিজেকেও।
টিআইএস/এমএইচ/এটি