লেগ স্পিনের ছদ্মবেশে অফ স্পিন চর্চায় বিস্ময়-বিষ্ণোই
নামের পাশে লেগ স্পিনারের তকমা। ২০২০ সালে ভারতকে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের শিরোপা জেতাতে না পারলেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে আলো কাড়েন রবি বিষ্ণোই। সেই যুব বিশ্বকাপের পারফর্ম দিয়ে ২০২১ সালের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে জায়গা করে নেন। এবার নিলামের আগেই চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। গতকাল (বুধবার) মাথায় তুলেছেন ভারত জাতীয় ক্রিকেট দলের ক্যাপ। ইডেনে অভিষেক হয়েছে ভারত টি-টোয়েন্টি দলে।
অথচ যে লিগ স্পিনে বাজিমাত করে জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পেয়েছেন বিষ্ণোই, সে লিগ স্পিনের পরিবর্তে অস্ত্র বানিয়েছেন গুগলিকে। বলা যায়, লেগ স্পিনের ছদ্মবেশে নিয়মিত অফ স্পিন করে চলেছেন তিনি। চর্চা চলছে, কি করে একজন লেগস্পিনার ক্রমাগত গুগলি করে যেতে পারেন? তিনি যদি ক্রমাগত গুগলিই করেন, তা হলেও কি তাকে লেগস্পিনার বলা যায়? বিষ্ণোইয়ের গুগলি চর্চায় তার কোচ প্রদ্যুৎ সিংও প্রিয় ছাত্রকে লেগ স্পিনারের চেয়ে রিস্ট স্পিনার বলতেই বেশি পছন্দ করেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যকে প্রদ্যুৎ বলেছেন, ‘ওর অ্যাকশনে বরাবরই সমস্যা ছিল। আগে টেনিস বলে ছুড়ে বল করত। তা নিয়ে অনেক পরিশ্রম করেছে। উচ্চতা কম ছিল বলে লেগ স্পিন করার পরামর্শ দিয়েছিলাম। প্রথম কয়েক দিন হাত ঘোরাতেই পারছিল না। আমি এবং শাহরুখ পাঠান ওকে বলেছিলাম সাইড-আর্ম অ্যাকশনে বল করার প্রয়োজন নেই। পারলে মাথার পিছন দিয়ে হাত নিয়ে আয়। তাতে হাত অন্তত ঘুরবে।’
যোগ করেন প্রদ্যুৎ, ‘প্রথম দুই দিন সে ভাবে বল করানোর পরই দেখি, স্বাভাবিক ভাবেই ওর বল পড়ে ডান-হাতি ব্যাটারের ভিতরের দিকে ঢুকে আসছে। আমরা কখনওই ওকে এই ডেলিভারি পরিবর্তন করতে বলিনি। তখন থেকেই গুগলিতেই ব্যাটসদের সমস্যায় ফেলে আসছে রবি।’
রবির ক্যারিয়ার অবশ্য শুরু হয় টেনিস বল দিয়ে। সে সময় মিডিয়াম পেসার ছিলেন তিনি। প্রদ্যুতের কথায়, ‘এক সময় মিডিয়াম পেস বল করত বলে ও কিন্তু অনেকটা রানআপ নিয়ে বল করতে আসে। দ্রুত ছুটে আসার ফলে ফ্লাইট দেওয়ার জন্য থমকে দাঁড়াতে পারে না। আমাদের এখানে মাঠও সব ছোট। সেখানে ফ্লাইট দেওয়ার অর্থই হল ব্যাটসম্যান হাঁটু মুড়ে বসে স্লগ সুইপ করে দেবে। ব্যাটসমম্যানকে সুইপ মারার বেশি সময়ই দেয় না ও। তাই রবির বিরুদ্ধে রান করা সহজ নয়।’
টিআইএস/এটি