রিয়ালের স্কোয়াড নিয়েই টানাটানি!
করোনাকালে ফুটবলে বদলির সংখ্যা তিন থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচে। সব মিলিয়ে এখন প্রতি ম্যাচে খেলতে পারেন ১৬ জন খেলোয়াড়। রিয়াল মাদ্রিদ আজ শনিবার রাতে হুয়েস্কার মাঠে খেলতে যাচ্ছে তার চেয়ে মাত্র একজন খেলোয়াড় বেশি নিয়ে।
রিয়াল মাদ্রিদের সাইডবেঞ্চ এক সময় ছিল ইউরোপসেরা। বদলি হিসেবে নেমে আসতেন ইস্কো, গ্যারেথ বেল, হামেস রদ্রিগেজদের মতো খেলোয়াড়। সেই বেঞ্চেই কিনা এখন ভাটার টান। কমপক্ষে ২০ এর বেশি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে, হুয়েস্কার বিপক্ষে ম্যাচে দলের বেঞ্চে এমন খেলোয়াড় থাকবেন কেবল দুইজন!
অথচ গেল মাসে সুপারকোপা দে এস্পানায় দলটা খেলেছিল ২২ জনের স্কোয়াড নিয়ে। সে সময় কেবল দলে অনুপস্থিতি ছিল দুটো, রদ্রিগো গোয়েজ আর দানি কারভাহাল চোটের কারণে ছিলেন না দলে। এরপর দলবদল মৌসুম, আরও চোট, আর নিষেধাজ্ঞা মোট পাঁচজনকে কেড়ে নিয়েছে স্কোয়াড থেকে।
জানুয়ারির দলবদল মৌসুমে দলটা হারিয়েছে দুই খেলোয়াড়কে। মার্টিন ওডেগার্ড ধারে পাড়ি জমিয়েছেন আর্সেনালে, লুকা জভিচ তার সাবেক দল আইনট্র্যাখট ফ্রাঙ্কফুর্টে ফিরে গেছেন ধারের চুক্তি নিয়ে।
সুপার কাপে কোচ জিদান হারিয়েছেন অধিনায়ক সার্জিও রামোসকে। এরপর থেকেই স্প্যানিশ এই সেন্টারব্যাক আছেন মাঠের বাইরে। এরপর ২২ জানুয়ারি পেশির চোট ছিটকে দেয় গেল মৌসুমে দলের লিগ জয়ের অন্যতম কুশীলব ফেদে ভালভার্দেকে। এর পাঁচ দিন পর লুকাস ভাসকেজ পড়েন চোটে।
৩০ জানুয়ারি লেভান্তের বিপক্ষে ম্যাচে লাল কার্ড দেখেন ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার এডার মিলিতাও। এরপর হ্যাজার্ডের চোটের দুঃসংবাদ পান জিদান। হুয়েস্কা ম্যাচের আগে দুর্দশা আরও বেড়েছে দলের, চোটের কারণে অনুশীলন ছেড়েছেন ইস্কোও।
আজ শনিবারের ম্যাচের আগে দলটির একমাত্র সুসংবাদ, করোনা সংক্রমণ কাটিয়ে নাচো ফের্নান্দেজ ফিরেছেন স্কোয়াডে। নাহয় সেন্টারব্যাক অবস্থানেও আনকোরা কাউকেই নামিয়ে দিতে হতো কোচ জিদানকে।
শেষ মূহুর্তে আরও চোট না হলে আজ রাতের এই ম্যাচে রিয়ালের বেঞ্চে ‘অভিজ্ঞ’ খেলোয়াড় থাকবেন মোটে দুইজন, মার্সেলো আর স্কোয়াডে অনিয়মিত মারিয়ানো ডিয়াজ। বাকি চারজন একেবারেই আনকোরা মুখ। ভিক্টর চুস্ত, মারভিন পার্ক আর দুই গোলরক্ষক আন্দ্রেভ লুনিন আর দিয়েগো আলতুবে। এই ভাঙাচোরা দল নিয়েই প্রতিপক্ষের মাঠে খেলতে নামবে রিয়াল।
লা লিগায় লেভান্তের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে হারে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে তালিকার তিনে নেমে গেছে রিয়াল। ২০ ম্যাচ শেষে দুই আর তিনে থাকা বার্সা-রিয়ালের পয়েন্ট যদিও সমান ৪০। এদিকে শীর্ষে থাকা অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ আছে দুই দল থেকে নিরাপদ দূরত্বে, এক ম্যাচ কম খেলেই ৫০ পয়েন্ট অর্জন করেছেন লুই সুয়ারেজরা।
এনইউ /এটি