নিউজিল্যান্ডে করোনায় আক্রান্ত বাংলাদেশের স্পিন কোচ
করোনার সংক্রমণ ঘটেছে নিউজিল্যান্ড সফররত বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে। করোনা পজিটিভ হয়েছেন দলের স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথ। আর সবার মতো তিনিও এখন আছে কোয়ারেন্টাইনেই।
দুই টেস্ট ম্যাচের সিরিজ খেলতে নিউজিল্যান্ডে পৌঁছানোর পরই প্রথম দুই করোনা পরীক্ষায় বাংলাদেশ দলের সবাই হয়েছিলেন করোনা নেগেটিভ। তৃতীয় পরীক্ষায় হেরাথের করোনা আক্রান্তের খবর মিলল।
নিউজিল্যান্ডে ২ ম্যাচের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে গেছে বাংলাদেশ দল। সেখানে গিয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন টাইগারদের স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথ। তবে শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন তিনি।
ঢাকা পোস্টকে নিউজিল্যান্ডে দলের সঙ্গে থাকা এক সদস্য বলেন, ‘শুনেছি হেরাথ ভালো আছেন এখন। আমাদের বের হওয়ার তো কোন উপায় নেই। কারো সাথে কারো দেখা হচ্ছে না, ফোনে ফোনে যোগাযোগ হচ্ছে। হেরাথের কোয়ারেন্টাইন আরো বাড়ার কথা বলে শুনেছি। আমার মনে হয় আরো বেশি অবজারবেশনে থাকবে বাকি দিনগুলো।’
নিউজিল্যান্ডে পৌঁছানোর পর প্রথম দুটি করোনাভাইরাস পরীক্ষায় কোভিড নেগেটিভ হয়েছিলেন টাইগার ক্রিকেটাররা। কিন্তু তৃতীয় পরীক্ষায় করোনা ধরা পড়ে হেরাথের। এ ব্যাপারে নিউজিল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কি সিদ্ধান্ত নেয়, এখন সেদিকেই তাকিয়ে আছে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট।
নিউজিল্যান্ড গিয়ে কোয়ারেন্টাইনে আছে বাংলাদেশ দল। এবার ক্রিকেটার, টিম ম্যানেজমেন্ট এবং কোচিং স্টাফের সদস্যসহ সর্বমোট ৩০ জন গেছেন। তাদেরকে ৩ ধাপের কোয়ারন্টাইন করতে হচ্ছে। যাদের হাতে নীল ব্যান্ড দেওয়া হয়েছে তারা ৫ দিন কোয়ারেন্টাইনের পর অনুশীলন শুরু করেছেন। হেরাথেরসহ অনেকের আছে হলুদ ব্যান্ড। যারা করোনাভাইরাস রোগির সংস্পর্শে ছিলেন তাদের জন্য এই ব্যান্ড।
বেগুনি ব্যান্ড উঠেছে দলের দুই সদস্যের হাতে। যারা উপস্বর্গ নিয়ে নিউজিলন্যান্ড গেছে। সেই সদস্য বললেন, ‘তাদের রিপোর্ট নেগেটিভ। তাদের নিয়ে সমস্যা নাই। তাদের ব্যান্ড পরিবর্তন হয়ে যাওয়ার কথা। এখানে মূল ইস্যু হচ্ছে পজিটিভ। নেগেটিভ আসলে সমস্যা নাই। নরমাল থাকলে ব্লু ব্যান্ড দেওয়া হয় হাতে। ক্লোজ কন্টাক্ট থাকলে হলুদ ব্যান্ড এবং উপসর্গ থাকলে বেগুনি ব্যান্ড দেওয়া হয় হাতে।’
সিরিজের প্রথম ম্যাচটি মাঠে গড়াবে আগামী ১ জানুয়ারি, বে ওভালে। দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচটি শুরু ৯ জানুয়ারি হ্যাগলি ওভালে।
টিআইএস/এটি/এনইউ