মেসির কথাকে ‘ফাঁকা বুলি’ মনে হয়েছে লেভান্ডভস্কির
চলতি বছরের সেরার পুরস্কার ব্যালন ডি’অর জেতার দৌড়ে লিওনেল মেসির সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি এক লড়াই হয়েছিল রবার্ট লেভান্ডভস্কির। তবে শেষমেশ তার ভাগ্যে শিকে ছেঁড়েনি, দৌড় শেষ করতে হয়েছে দুইয়ে থেকে। সেজন্যে আফসোসের শেষ নেই তার। সেটা তখনই বোঝা যাচ্ছিল অবশ্য, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেটা লোকমুখে প্রকাশও করেছেন পোলিশ তারকা।
তবে আলোচনায় এসেছে তার পরের মন্তব্যটা। যেখানে তিনি জানান মেসির বক্তব্যটা আরেকটু আন্তরিক হলেই খুশি হতেন। সেখানে তার কথাকে ফাঁকা বুলি মনে হয়েছে, এমন ইঙ্গিতও দিয়েছেন পোলিশ এই স্ট্রাইকার।
২০২০-২১ মৌসুমে লেভান্ডভস্কি সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে খেলেছেন ৪০ ম্যাচ, করেছেন ৪৮ গোল, করিয়েছেন আরও ৯ গোল। দল বায়ার্ন মিউনিখকে এনে দিয়েছেন বুন্ডেসলিগা, জার্মান সুপার কাপ, উয়েফা সুপার কাপ ও ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ শিরোপা। চলতি মৌসুমে ১৪ ম্যাচ খেলে করেছেন ১৬ গোল।
ইউরোয় অবশ্য পোল্যান্ডের হয়ে পারফর্ম করতে পারেননি তিনি। সার্বিক দিক বিচারে এই পুরস্কার দেওয়া হয় বলে ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে সমানভাবে পারফর্ম করা মেসির হাতেই উঠেছে এবারের পুরস্কার। তবে তাই বলে লেভার আগুনে ফর্ম তো আর মিথ্যে হয়ে যায় না! এমন ছন্দে থাকার পরও জেতেননি ব্যালন ডি’অর। তাই স্বাভাবিকভাবেই হতাশা, দুঃখ ঘিরে ধরেছে বায়ার্ন ফরোয়ার্ডকে।
সম্প্রতি পোলিশ সংবাদ মাধ্যম কানালে স্পোর্টোভিমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি উগরেও দিয়েছেন সেটা। বলেছেন, ‘আমাকে দুঃখ ছুঁয়ে গিয়েছিল, একে অস্বীকার করার সুযোগ নেই আমার।’
তিনি আরও যোগ করেন, মেসির সঙ্গে লড়াই করার বিষয়টাই তার মাহাত্ম্য তুলে ধরে। বলেন, ‘আমি বলতে পারিনা আমি খুশি। বরং উল্টোটাই বলবো আমি। আমি দুঃখ পেয়েছি। মেসিকে আমি সম্মান করি, যেভাবে তিনি খেলেন, যা তিনি অর্জন করেছেন, তাতে তার তা প্রাপ্য। তার সঙ্গে আমি লড়াই করেছি, এটা দেখায় যে আমি কোন পর্যায়ে পৌঁছে গেছি।’
তবে এরপরই তিনি রীতিমতো বোমাই ফাটিয়েছেন। মেসির মন্তব্যের প্রত্যুত্তর দিয়েছেন তীর্যক ভাষায়। আর্জেন্টাইন মহাতারকা রেকর্ড সপ্তম ব্যালন ডি’অর জেতার পর বলেছিলেন, ‘তোমার সঙ্গে লড়াই করতে পারাটা সম্মানের, রবার্ট। ২০২০ সালের ব্যালন ডি’অরটা তোমারই পাওনা ছিল।’
মেসির এই কথাটাকেই ফাঁপা, মেকি বলে মনে হচ্ছে লেভান্ডভস্কির। তিনি সরাসরিই বলে দিয়েছেন, ‘২০২০ সালের পুরস্কারটা জেতার জন্য আমার কোনো আগ্রহই নেই। একজন মহান খেলোয়াড়ের কাছ থেকে বক্তব্যটা (মেসির ব্যালন ডি’অরের বক্তব্য) ফাঁকা বুলি না হয়ে, আরেকটু আন্তরিক, ও বিনয়ী হলেই বেশি পছন্দ করতাম।’
এনইউ/এটি