নাঈমকে টেস্ট দলে নিতে ‘বাধ্য’ হয়েছে বাংলাদেশ
হঠাৎ করে টেস্ট দলে নাম দেখে নাঈম শেখ নিজেও অবাক হয়েছেন নিশ্চয়ই। করোনাভাইরাসের শুরুর প্রক্কালে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, বর্তমান তার যতো ধ্যানজ্ঞান সাদা বলের দুই ফরম্যাটকে ঘিরে। টি-টোয়েন্টি সংস্করণের ‘অটো চয়েস’ বনে যাওয়া নাঈমের তখনো ভাবনায় নেই লাল বলের ক্রিকেট। মাঝের এই সময়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে সাদা পোশাকে এমনও কিছু করেননি নাঈম যা তাকে টেস্ট দলের দারজা খুলে দিবে। তাহলে হঠাৎ কেন পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের দলে এই বাঁহাতি ওপেনার?
৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের আগে আজ (শুক্রবার) আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে নাঈমের প্রসঙ্গ উঠতেই বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক মুমিনুল হক জানালেন, রীতিমত বাধ্য হয়েই দলে নেওয়া হয়েছে তাকে। এছাড়া আর কোন বিকল্প ছিল না বাংলাদেশ দলের কাছে।
কারণ ব্যাখ্যায় মুমিনুল বললেন, ‘দেখেন সত্যি বলতে আমাদের আর কোনো ব্যাকআপ ওপেনার ছিল না। আপনি যদি নাঈম শেখের কথা বলেন তাহলে বলব, আমরা এমন একজনকে চেয়েছি যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মধ্যে আছে। ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা কাউকে হুট করে নিয়ে আসলে তার জন্য কঠিন হয়ে যাবে। কারণ প্রতিপক্ষও খুব শক্ত। তার জন্য কঠিন হয়ে যেত। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা কাউকে আনলে সে ভালো বুঝবে। তাই তাকে নিয়েছি।’
তামিম ইকবাল না থাকায় টেস্ট দলে ওপেনার সংকট। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলা সাইফ হাসান ছিটকে গেছেন টাইফয়েডের কারণে। হাতে বিকল্প না থাকায় ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়েছে বাংলাদেশের জার্সিতে ৩২টি টি-টোয়েন্টি ও ২টি ওয়ানডে খেলা এই ওপেনারের।
মুমিনুল বলেন, ‘অবশ্যই এখানে লাল-বল বা সাদা-বল অবশ্যই ম্যাটার করে। তবুও যে খেলার ভেতরে থাকে সে অনেক কিছু বুঝবে। খেলার মধ্যে থাকাটাই মনে হয় বেশি গুরত্বপূর্ণ। ব্যাক আপ হিসেবে কেউ খেললে খেলার মধ্যে থাকাটা ভালো।’
টিআইএস/এনইউ