মৃত্যুর এক বছর পরও বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না ম্যারাডোনার
সময় কতো দ্রুত চলে যায়! ঠিক এক বছর আগে এই দিনে স্তব্ধ হয়েছিল ফুটবল বিশ্ব। সর্বকালের সেরা ফুটবলারকে হারানোর শোক আজও বিমর্ষ করে দেয় ফুটবল ভক্তদের। ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর চলে গিয়েছিলেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। তার মৃত্যুর এক বছর পূর্তির সময়টাতে ছড়াল নতুন বিতর্ক। ঠিক এমন সময়ে আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপ জয়ী এই মহা তারকার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থা ও ধর্ষণের অভিযোগ করলেন এক কিউবান নারী।
অবশ্য মাঠের ফুটবলে কিংবদন্তিদের কিংবদন্তি হয়ে উঠা ম্যারাডোনা বাইরের জগতে পুরোপুরি আলাদা। ধূমপান, মদ্যপান, মাদক সেবন, অনিয়ন্ত্রিত জীবন আর নারীদের প্রতি আকর্ষণ-তাকে বিতর্কে রেখেছে সব সময়!
সেই ম্যারাডোনার বিপক্ষে অভিযোগ তুললেন কিউবার নারী মাভিস আলভারেজ রেগো। যার বয়স এখন ৩৭। বছর ২০ আগে ম্যারাডোনার সাক্ষাত পেয়েছিলেন তিনি। যখন তার বয়স ১৭। মাভিস জানাচ্ছিলেন, তখন তাকে জোর করে ধরে রাখতেন ম্যারাডোনা। সে সময় তাকে নিগ্রহ এবং ধর্ষণও নাকি করেছিলেন আর্জেন্টাইন গ্রেট।
কিউবায় সে সময় মাদক সংক্রান্ত সমস্যার চিকিৎসা করতে যান ম্যারাডোনা। মাভিস বলেন, ‘ডিয়েগোর সঙ্গে প্রথম দেখাতেই আমি মোহিত হয়ে যাই। বলতে দ্বিধা নেই, আমাকে একেবারে জিতে নিয়েছিলেন তিনি।’ তখন নাকি মাভিসকে জোর করে কোকেন নিতে বাধ্য করেন মারাডোনা।
ড্রাগ নেওয়ার পরই নাকি ধর্ষণও করেন। মাভিস বলেন, 'দেখুন, আমি ডিয়েগোকে ভালবাসি। অবশ্য ঘৃণাও করতাম। এমনকী ঘটনার পর আত্মহত্যার কথাও ভেবেছিলাম।' এখন ম্যারাডোনার মৃত্যুর এক বছর পর এই নারী মুখ খুললেন। বলা হয়, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তার। যদিও তার মৃত্যু নিয়েও এখনও রহস্য রয়ে গেছে। চিকিৎসকের গাফিলতি নাকি অন্য কিছু উত্তর আজও মেলেনি!
এটি