তপুর গোল টার্নিং পয়েন্ট বলছেন ল্যামোস
পতুর্গিজ কোচ ম্যারিও ল্যামোস সব সময় হাসিমুখে থাকেন। আজ (শনিবার) ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তার হাসি ছিল আরও বেশি উজ্জ্বল। জাতীয় দলের কোচ হিসেবে প্রথম ম্যাচ জিতলেন তিনি। সেই জয়টি আবার র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা মালদ্বীপের বিপক্ষে। যাদের বাংলাদেশের সর্বশেষ জয় ১৮ বছর আগে।
মালদ্বীপকে হারিয়ে বাংলাদেশের কোচ ম্যারিও ল্যামোস বলেন, ‘অবশ্যই আমি খুশি। পুরো দলই দারুণ উজ্জ্বীবিত এবং খুশি। ১৮ বছর পর মালদ্বীপকে হারিয়েছে তারা।’ মালদ্বীপকে হারানোটা খুব সহজ ছিল না। বল পজেশন ও আক্রমণে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে ছিল আশফাকের দল। এরপরও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশের হাতেই ছিল বলে দাবি কোচের, ‘আমরা মধ্যমাঠের নিয়ন্ত্রণ নিতে পেরেছিলাম। মালদ্বীপ মধ্যমাঠে একচ্ছত্র কিছু করতে পারেনি।’
আলী আশফাক দক্ষিণ এশিয়ার কিংবদন্তি। মালদ্বীপ জাতীয় দলে ডেব্যু হওয়ার পর তিনি কখনো বাংলাদেশের বিপক্ষে হারেননি। আজ আশফাককে হারের তেঁতো স্বাদ দিলেন ল্যামোস। আশফাককে নিয়ে ল্যামোসের পরিকল্পনা সফল হয়েছে, ‘আশফাককে অসাধারণ খেলোয়াড় বিশেষ করে বক্সের আশেপাশে। তাকে দারুণভাবে মার্কিং করা হয়েছে।’
বাংলাদেশ লিড নিয়েছিল ম্যাচের শুরুতেই। প্রথমার্ধেই আবার ম্যাচে ফেরে মালদ্বীপ। বিরতির সময় ড্রেসিংরুমে ফুটবলারদের প্রতি তার বার্তা ছিল, ‘চ্যাম্পিয়ন হওয়ার বিষয়টি পরে আগে মালদ্বীপের বিরুদ্ধে সেরা খেলা খেলতে হবে। এখনও ম্যাচে সময় আছে।’ ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে তপুর পেনাল্টি গোলকেই মনে করছেন তিনি।
আজকের ম্যাচটি ড্র করলে বা হারলেও বাংলাদেশের সম্ভাবনা ছিল। তাই ফুটবলারদের বাড়তি চাপ দেননি ল্যামোস, ‘এই ধরনের টুর্নামেন্টে শেষ ম্যাচ পর্যন্ত সুযোগ থাকে। আমরা এই ম্যাচে ড্র করলেও ফাইনাল খেলার সুযোগ ছিল। এখনও অন্য দলগুলোর সুযোগ রয়েছে।’
বাংলাদেশ দুই ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষ স্থানে। টুর্নামেন্টের সমীকরণে বাংলাদেশ অনেকটা সহজ অবস্থানে ফাইনাল খেলার জন্য। তবে শেষ ম্যাচ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কঠিন পরীক্ষা দেখছেন বাংলাদেশের কোচ, ‘শ্রীলঙ্কা স্বাগতিক দল। তারা যথেষ্ট ভালো খেলেছে। চার গোলে পিছিয়ে থেকে চার গোল করেছে। ফলে তাদের সমীহ করতেই হবে।’
এজেড/এমএইচ