ডি মারিয়ার গোলে এগিয়েই বিরতিতে আর্জেন্টিনা
লিওনেল মেসি নেই। তাতে কী? আর্জেন্টিনায় তো জাদুকরেরও অভাব নেই! মেসির অনুপস্থিতিতে আজ আরেক জাদুকর আনহেল ডি মারিয়ার কাছে ছিল অধিনায়কের বাহুবন্ধনী। তারই এক মুহূর্তের জাদুতে উরুগুয়ের বিপক্ষে শুরুতেই এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। সেই লিড ধরে রেখেই বিরতিতে যায় দলটি।
মন্তেভিদিওতে প্রতিপক্ষের মাঠ এস্তাদিও কাম্পেওন দেল সিলোতে প্রথমার্ধে আর্জেন্টিনা নিজেদের একমাত্র গোলটা পেয়ে গেছে সপ্তম মিনিটেই। প্রতিপক্ষ বিপদসীমার একটু বাইরে পাওলো দিবালা বল কেড়ে নেন উরুগুইয়ান ডিফেন্ডারের পা থেকে। সেখান থেকে একটু এগিয়ে গিয়ে জুভেন্তাস তারকা বলটা ছাড়েন ডি মারিয়াকে। এ ম্যাচে আর্জেন্টিনার অধিনায়ক এরপর প্রতিপক্ষকে কোনো সুযোগ না দিয়ে সেখান থেকেই করে বসেন দারুণ এক বাঁকানো শট, তাতেই বলটা উরুগুয়ে গোলরক্ষক ফার্নান্দো মুসলেরাকে বোকা বানিয়ে ঢুকে যায় জালে।
তবে এর আগে পরে ম্যাচের পুরোটা জুড়েই ছিল স্বাগতিক উরুগুয়ের দাপট। এমিলিয়ানো মার্টিনেজের কল্যাণে অবশ্য সে দাপটটা ভালোভাবেই সামলেছে আর্জেন্টিনা।
এগিয়ে যাওয়া গোলটা পাওয়ার এর দুই মিনিট আগেই গোল হজম করে বসতে পারতো কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়নরা। মাতিয়াস ভেসিনোর করা লম্বা থ্রোটা ঠিকঠাক বিপদমুক্ত করতে পারেনি আলবিসেলেস্তে রক্ষণ। শেষমেশ ছয় গজের বক্স থেকে নাহিতান নান্দেজের শটটা দারুণ দক্ষতায় এমিলিয়ানো মার্টিনেজ রক্ষা করেন কর্নারের বিনিময়ে।
গোলের পরও উরুগুয়ে চেষ্টা করে গেছে। নবম মিনিটে লুই সুয়ারেজের ফ্রি কিক বেরিয়ে গেছে ক্রসবারের একটু বাইরে দিয়ে। এর মিনিট চারেক পর আবারও দৃশ্যপটে সুয়ারেজ। তার শটটা এবারও হলো লক্ষ্যভ্রষ্ট। ৩০ মিনিটে দলটা সমতা প্রায় ফিরিয়েই ফেলেছিল ম্যাচে। বক্সের কোণা থেকে সুয়ারেজের শটটা এবার প্রতিহত হয় গোলপোস্টে। ৪১ মিনিটে আরও একটা সুযোগ আসে লা সেলেস্তেদের কাছে। সে যাত্রায় উরুগুয়ের মিডফিল্ডার ভেসিনোকে গোলবঞ্চিত রাখেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষ মার্টিনেজ। তাতে এক গোলের অগ্রগামিতা ধরে রেখেই বিরতিতে যায় আলবিসেলেস্তেরা।
এনইউ