বিরাট জয়ে গ্রুপসেরা হয়েই সেমিফাইনালে পাকিস্তান
পথটা গড়ে রেখেছিলেন ব্যাটাররাই। আরেকটু স্পষ্ট করে বললে শোয়েব মালিকই। তার ১৮ বলে ফিফটির বিধ্বংসী ক্যামিওতেই যে মহামূল্য মোমেন্টামটা চলে এসেছিল পাকিস্তানের পক্ষে। স্কোরবোর্ডেও রান উঠেছিল ১৮৯। স্কটোল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের জন্য এ রান যে যথেষ্টের চেয়েও বেশি, সেটাই প্রমাণ করলেন বোলাররা। তুলে নিলেন ৭২ রানের দাপুটে জয়। তাতে গ্রুপসেরা হয়েই শেষ চারে উঠে গেছে বাবর আজমের দল।
চলতি টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইন আপ নিউজিল্যান্ড আর আফগানিস্তানের বিপক্ষে পড়েছিল পরীক্ষায়। সে তুলনায় বোলিং লাইনআপ কোনো পরীক্ষার মুখে পড়েনি। সে ভাবনা থেকেই হয়তো, স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে টস জিতে অধিনায়ক বাবর আজম বেছে নিয়েছিলেন ব্যাটিং।
শুরুতে স্কটিশরা যেভাবে চেপে ধরেছিল ২০০৯ সালের চ্যাম্পিয়নদের, তাতে মনেই হচ্ছিল, আজ বুঝি কম রান ডিফেন্ড করার ঝামেলায় পড়তে হবে দলটির বোলারদের। পাওয়ারপ্লেতে উঠল মাত্র ৩৫। ছয় থেকে দশ ওভারে রানের গতি বাড়লো তো না-ই, উল্টো মোহাম্মদ রিজওয়ান আর ফখর জামানের উইকেট হারিয়ে বিপদেই পড়েছিল দলটি।
এরপরই ‘বুড়ো হাড়ের ভেলকি’ দেখানোর শুরু পাকিস্তানের। একপাশ অধিনায়ক বাবরই আগলে রাখছিলেন। কিন্তু অন্য পাশে দুই অভিজ্ঞ মোহাম্মদ হাফিজ আর শোয়েব মালিক তুবড়ি ছুটিয়েছেন চার ছয়ের। হাফিজ ১৯ বলে ৩১ করে রানের চাকায় গতি এনে দিয়েছিলেন পাকিস্তানের। এরপর শোয়েব মালিক রীতিমতো ধ্বংসলীলা চালান স্কটিশদের ওপর। ১৮ বলে করেন ৫৪, চলতি টুর্নামেন্টের দ্রুততম অর্ধশতকও চলে যায় তার দখলে।
অপর পাশে বাবর ৪৭ বলে ৬৬ করার পথে তুলে নেন চলতি টুর্নামেন্টে তার চতুর্থ অর্ধশতক। সব মিলিয়েই পাকিস্তান তাদের ইনিংস শেষ করে ১৮৯ রান তুলে।
ম্যাচের নিয়তি তখনই বোঝা যাচ্ছিল বেশ। তবু ক্রিকেটের ‘গৌরবময় অনিশ্চয়তা’ ছিল পাকিস্তানের পথের কাঁটা হয়ে। বোলারদের নৈপুণ্যে সে অনিশ্চয়তা বাস্তবতা হয়ে দেখা দিল না দলটির সামনে।
শুরু থেকেই স্কটিশদের চেপে ধরেন শাহিন শাহ আফ্রিদিরা। ইনিংসের মাঝ পর্যায়ে স্কটিশরা ৪৩ রানে হারাল তিন উইকেট, পাকিস্তানের জয়টা প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে তখন। এরপর থেকে রিচি বেরিংটনের ফিফটি কেবল ব্যবধানই কমাতে পেরেছে পরাজয়ের। শেষমেশ দলটা ইনিংস শেষ করে বিশ ওভারে ১১৭ রান তুলে। তাতে পাকিস্তান ৭২ রানের বিশাল এক জয় নিয়ে গ্রুপসেরা হয়েই পাড়ি জমায় শেষ চারে।
এনইউ