দুবাই এক্সপো : কল্পনার সীমানা পেরিয়ে একদিন
‘দুবাই এক্সপো মিস করবেন না!’ -বিশ্বকাপ ক্রিকেট কাভার করতে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাচ্ছি শুনেই পরিচিত একজন পরামর্শ দিয়েছিলেন এমন। তখন অবশ্য মাথায় বুঁদ হয়ে ছিল শুধুই ক্রিকেট। আবার এক্সপো বলতেই আমাদের বাণিজ্য মেলার চেহারাটা ভেসে আসছিল চোখে। লাখো-মানুষ আর ধুলো-যানজটের রাজ্যের জগৎ।
বিশ্বকাপের কয়েকটা ম্যাচ গড়াতেই এখানে এসেও প্রবাসীদের মুখেও একই পরামর্শ, ‘দেশে যাওয়ার আগে সময় নিয়ে এক্সপো দেখে যাবেন।’ সবাই যখন বলছে-তখন অন্তর্জাল ঘেটে কিছুটা জেনে নিয়ে শনিবার সকালে ঢেরা দুবাই থেকে বের হয়ে গেলাম দুবাই এক্সপো ২০২০-এর ভেন্যু। বাংলাদেশ বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ায় কাজ তেমন নেই, সময়ও আছে হাতে। কিন্তু দূরত্বটা কম নয়, প্রায় ৫৪ কিলোমিটার। ট্যাক্সিতে গেলেও ঘণ্টাখানেক। মিটারে তাকিয়ে দেখি ভাড়াটাও বেশ; ১১২ দিরহাম!
তবে অস্বস্তিটা নিমিষেই উধাও হয়ে গেল দুবাই এক্সপোর মূল গেটটির সামনে দাঁড়াতেই। মনে হচ্ছে স্বর্ণখচিত একটা পথ যেন ডাকছে। ভেতরে না জানি কী রহস্য লুকিয়ে। পা বাড়ালাম সবচেয়ে বড় বৈশ্বিক সমাবেশে!
৯৫ দিরহামের টিকিট পেতেই ...
এক্সপোতে ঢুকতেই প্রথমে কাটতে হবে টিকিট। কাউন্টারের সামনে গিয়েই দেখি লম্বা লাইন। তবে আমাদের ওই ঝামেলা নেই। স্থানীয় সাংবাদিক কামরুল হাসান জনি আগে থেকেই বলে রেখেছিলেন এক্সপোর বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে। টিকিট পাওয়া গেছে সেখান থেকেই। তবে এরপর ঢুকতে গিয়েই কোভিড ভ্যাকসিন নেওয়া কি না তার প্রমাণ দিতে হলো। সঙ্গে তিনদিনের মধ্যে পিসিআর টেস্ট আছে কি না সেটিও দেখলেন নিরাপত্তারক্ষীরা।
এখানেই শেষ হলেও হতো। বিমানবন্দরের মতো স্ক্যানিং সিস্টেমের মধ্য দিয়েই যেতে হলো। সঙ্গে থাকা ল্যাপটপ-ওয়ালেট সবই পরীক্ষা করে দেখলেন নিরাপত্তাকর্মী। সবার আগে স্বাস্থ্য-নিরাপত্তা। তবে দেরি হচ্ছিল না, চটজলদি শেষ হয়ে গেল সেসব আনুষ্ঠানিকতা।
খুলে গেল বিশ্বের দরজা
দুবাই এক্সপোতে পা দিতেই মনে হলো যেন খুলে গেল গোটা বিশ্বের দরজা। প্রথম দেখাতেই মুগ্ধতা ছড়িয়ে গেল। চারপাশে নানা রঙের, বাহারি নকশার স্টল। নান্দনিকতায় কে কাকে ছাড়িয়ে গেলেন, যেন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে তার। আল-মাকতুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে দুবাই দক্ষিণ জেলায় ১০৮০ একর জমির প্রতিটি ইঞ্চি কাজে লাগিয়েছেন আয়োজকরা। পরিকল্পনার ছাপ পুরোটাতেই।
প্রতি ৫ বছর পরপর অনুষ্ঠিত হয় উন্নত বিশ্বের একটি শহরে। ২০১৩ সালে এই এক্সপো ভেন্যু হওয়ার সুখববরটা পেয়েছিল দুবাই। এরপর গতবছরই হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু করোনার উত্তাল সময়ে সেই ঝুঁকি নেয়নি সংযুক্ত আরব আমিরাত। এক বছর পিছিয়ে গত ১ অক্টোবর থেকে ১৯২ দেশকে নিয়ে শুরু হয়েছে দুবাই এক্সপো ২০২০। যা দুবাই এক্সিবিশন সেন্টারে চলবে সামনের বছর মার্চ অব্দি।
পুরো অঞ্চলটাকে ভাগ করা হয়েছে তিনভাগে। সুবিশাল গেট দিয়ে ঢুকতে গিয়েই চোখে পড়ল সাসটেইবিলিটি ডিস্ট্রিক্ট। মানে টেকসই অঞ্চল। এখানেই বাংলাদেশের স্টল। কারণ লাল-সবুজের দেশটি টেকসই উন্নয়নের মহাসড়কেই আছে। এক্সপোর অন্য দুটি অঞ্চল-অপরচুনিটি ডিস্ট্রিক্ট মানে সুযোগ ‘সুযোগ’ আরেকটি মবিটিলিটি (গতিশীলতা)। ১৯২টি দেশ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এই তিন অঞ্চলে নিজেদের স্টলে তুলে ধরেছেন তাদের ইতিহাস আর ঐতিহ্যের পসরা। তবে জানিয়ে রাখি এটা আমাদের বাণিজ্য মেলার মতো ঠিক পণ্য বিক্রির মেলা নয়। নিজেকে প্রদর্শনের একটা মঞ্চ!
প্রতি ৫ বছর পরপর অনুষ্ঠিত হয় উন্নত বিশ্বের একটি শহরে। ২০১৩ সালে এই এক্সপো ভেন্যু হওয়ার সুখববরটা পেয়েছিল দুবাই। এরপর গতবছরই হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু করোনার উত্তাল সময়ে সেই ঝুঁকি নেয়নি সংযুক্ত আরব আমিরাত। এক বছর পিছিয়ে গত ১ অক্টোবর থেকে ১৯২ দেশকে নিয়ে শুরু হয়েছে দুবাই এক্সপো ২০২০। যা দুবাই এক্সিবিশন সেন্টারে চলবে সামনের বছর মার্চ অব্দি।
এক্সপো পাসপোর্ট
স্যুভেনি সংগ্রাহকদের জন্য এ এক দারুণ চমক। এক্সপোতে পা রাখার আগেই অনেককে দেখলাম আরেকটি লাইনে দাঁড়িয়েছেন। ২০ দিরহাম খরচ করে সংগ্রহ করছেন এক্সপো পাসপোর্ট। প্রতিটি দেশের প্যাভিলিয়নে পা দিলেই সিল পড়ছে সেই পাসপোর্টে। যেন দেশটি ভ্রমণ করলেন আপনি। নিশ্চিত করেই স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে রেখে দেওয়া যাবে এই বিশেষ পাসপোর্ট।
অবশ্য এই এক্সপো পাসপোর্টের প্রচলনটা আজকের নয়। ১৯৫৭ সালে কানাডার মন্ট্রিয়েলে ওয়ার্ল্ড এক্সপোতে প্রবর্তনের পর থেকেই পাসপোর্টটি দর্শনার্থীদের কাছে হয়ে উঠেছে অন্যতম জনপ্রিয় এক্সপো স্মারক। দুবাইয়ে এক্সপো পাসপোর্টটি হাতে নিতেই দেখলাম- সংযুক্ত আরব আমিরাতের ঐতিহ্য দ্বারা অনুপ্রাণিত, অতীতকে বর্তমানের সঙ্গে সংযুক্ত করার একটা প্রচেষ্টা হয়েছে; সরকারি পাসপোর্টের মতোই।
অবশ্য এই এক্সপো পাসপোর্টের প্রচলনটা আজকের নয়। ১৯৫৭ সালে কানাডার মন্ট্রিয়েলে ওয়ার্ল্ড এক্সপোতে প্রবর্তনের পর থেকেই পাসপোর্টটি দর্শনার্থীদের কাছে হয়ে উঠেছে অন্যতম জনপ্রিয় এক্সপো স্মারক। দুবাইয়ে এক্সপো পাসপোর্টটি হাতে নিতেই দেখলাম- সংযুক্ত আরব আমিরাতের ঐতিহ্য দ্বারা অনুপ্রাণিত, অতীতকে বর্তমানের সঙ্গে সংযুক্ত করার একটা প্রচেষ্টা হয়েছে; সরকারি পাসপোর্টের মতোই।
৫০টি পৃষ্ঠার বুকলেট তিনটি থিম্যাটিক প্যাভিলিয়নের নকশা আর ছবি রয়েছে। আছে আল ওয়াসল প্লাজা-মুকুট এক্সপো সাইটের রত্ন - প্লাস অন্যান্য দুবাই ল্যান্ডমার্ক, যেমন শহরের আইকনিক স্কাইলাইন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্মারক হয়ে ওঠা কিছু ছবিও। হলুদ, কাস্টমাইজেবল পাসপোর্ট দেখার মতোই। প্রতিটি পৃষ্ঠায় লুকানো ওয়াটারমার্ক করা ছবি। এমন পাসপোর্ট সংগ্রহের সুযোগটা কে হারায় বলুন?
এক টুকরো বাংলাদেশ
চারপাশে নানা দেশের চমকে ঠাসা ডিজাইনের প্যাভিলিয়নের হাতছানি থাকলেও আমি শুরুতেই খোঁজ করলাম-বাংলাদেশ কোথায়? অবশ্য গেট থেকেই ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে একটা ম্যাপ। যা বেশি কাজে লাগল। দেখলাম ৬০ নম্বর প্যাভিলিয়নটি বাংলাদেশের। গেট থেকে খুব এটা দূরত্বে নয়। লাল-সবুজের সেই স্টলের পাশে গিয়েই মনে হলো এ যেন এক টুকরো বাংলাদেশ। প্যাভিলিয়নের বাইরের দেয়ালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি। পাশেই রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি। আর দেয়ালে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ছবিও শোভা পাচ্ছে, রয়েছে বঙ্গপোসাগর, তাতের শাড়ির ছবিও।
গেট দিয়ে ঢুকতেই দেখা মিলল বঙ্গবন্ধু কর্নারের। জাতির জনকের অবয়বের পাথুরে প্রতিকৃতি। পাশেই চলছে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ। দেয়ালজুড়ে বাংলাদেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে তার নানা ডিসপ্লে। কেমন সাড়া মিলছে এই প্যাভিলিয়ন? উত্তরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে কর্মরত বাণিজ্যিক পরামর্শক জিয়াউর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলছিলেন, ‘এখানে চমৎকার সাড়া মিলছে। প্রবাসী বাংলাদেশি যারা আছেন, তারা নিয়মিত আসছেন। আর এই এক্সপোতে অংশ নেওয়ার উদ্দেশ্যটাই হচ্ছে বাংলাদেশকে প্রমোট করা। বাংলাদেশের যে স্বীকৃতি প্রোডাক্টগুলো আছে সেগুলো প্রমোট করতেই এখানে আসা। এখানে অনেক ইনভেস্টমেন্ট পার্টনাররা আসছেন। এটা একটা ইতিবাচক ছাপ রাখছে।’
এবারই প্রথম ভাড়া করা প্যাভিলিয়নে এক্সপোতে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ। জানা গেছে, ভাড়ায় নেওয়া সেই প্যাভিলিয়নের খরচ নাকি পড়েছে ২২ কোটি টাকার মতো।
রঙের রোশনাই
বাংলাদেশের প্যাভিলিয়ন শেষ করে এক্সপোর রাস্তায় আসতেই দেখা মিলল মালদ্বীপের প্যাভিলিয়ন। ছোট্ট এই দ্বীপ দেশটি বেশ পরিকল্পনা মতোই চারপাশ সাজিয়েছে। পর্যটনে আকৃষ্ট করতে ডিসপ্লেতে তুলে ধারা হয়েছে মালদ্বীপের সৌন্দর্যের চিত্র। দেখা মিলল নৌকাও। যেখানে বসে আবার পর্যটকরা ছবিও তুলছেন। তারপর একে একে ঘুরে দেখলাম কাতার, কানাডা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, পর্তুগাল ও ফিলিপাইনের স্টল।
প্রতিটিতেই চোখ ধাঁধানো সব পরিবেশনা। বিশেষ করে কানাডার স্টলে গিয়ে মুগ্ধতা ছড়াল। আলোর রোশনাইয়ে তুলে ধরা হলো দেশটির ইতিহাস ঐতিহ্য। লেজারের খেলায় মুগ্ধতা ছড়াল। মনে হলো যেন থিয়েটারে ডলবি সাউন্ডের সামনে বসে চলে গেলাম কানাডার টরেন্টোতে। আবার কখনো পর্তুগালের লিসবনে। দারুণ সব ডিসপ্লে। কল্পলোকের নতুন জগতে যেন পা রাখলাম আমরা। কাতার আসছে বছর বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজক। তাদের প্যাভিলিয়নে স্বাভাবিকভাবেই থাকল ফুটবল। সেটা অবশ্য লেজার রশ্মি আর থ্রিডির চমকে পরিবেশন করলেন তারা।
প্রতিটিতেই চোখ ধাঁধানো সব পরিবেশনা। বিশেষ করে কানাডার স্টলে গিয়ে মুগ্ধতা ছড়াল। আলোর রোশনাইয়ে তুলে ধরা হলো দেশটির ইতিহাস ঐতিহ্য। লেজারের খেলায় মুগ্ধতা ছড়াল। মনে হলো যেন থিয়েটারে ডলবি সাউন্ডের সামনে বসে চলে গেলাম কানাডার টরেন্টোতে। আবার কখনো পর্তুগালের লিসবনে। দারুণ সব ডিসপ্লে। কল্পলোকের নতুন জগতে যেন পা রাখলাম আমরা। কাতার আসছে বছর বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজক। তাদের প্যাভিলিয়নে স্বাভাবিকভাবেই থাকল ফুটবল। সেটা অবশ্যই লেজার রশ্মি আর থ্রিডির চমকে পরিবেশন করলেন তারা।
খোলা মাঠে কনসার্ট
দুবাই এক্সপোর আরেক আকর্ষণ ওপেন এয়ার কনসার্ট। আমরা যেতেই দেখলাম-কোন এক বিদেশী ব্যান্ডের পরিবেশনা। এখানে হিন্দি আর উর্দু ভাষাভাষি মানুষের সংখ্যা কিছুটা বেশি হওয়ায় কনর্সাটেও থাকে তার ছায়া।
একদিন আগেই গান পরিবেশন করে গেলেন ভারতীয় জনপ্রিয় শিল্পী বাদশাহ। আগের দিন দিওয়ালীতে তো মঞ্চে রঙের খেলাই হলো। বেশ জমকালোভাবেই আমিরাতে পালিত হয়েছে দীপাবলি। রাস্তায় প্রতিটি ইমরাতে আলোর খেলা তো ছিলই, আবার এক্সপোতেও ছিল নানা আয়োজন।
একদিন আগেই গান পরিবেশন করে গেলেন ভারতীয় জনপ্রিয় শিল্পী বাদশাহ। আগের দিন দিওয়ালীতে তো মঞ্চে রঙের খেলাই হলো। বেশ জমকালোভাবেই আমিরাতে পালিত হয়েছে দীপাবলি। রাস্তায় প্রতিটি ইমরাতে আলোর খেলা তো ছিলই, আবার এক্সপোতেও ছিল নানা আয়োজন।
যারা স্টল ঘুরতে ঘুরতে হাঁপিয়ে উঠেছেন, তারা বসে পড়েছেন ওপেন এয়ার কনসার্ট দেখতে। গানের তালে সুরও মেলাচ্ছেন অনেকে। আসলে দেখলেও মুগ্ধতা ছড়ায়। একটা উৎসব উৎসব পরিবেশ চারপাশে। পয়সা পুরোটাই উসুল!
যেন পিকনিক স্পট
নারীদের প্রতি সম্মানটা পুরো আমিরাতেই চোখে পড়ছে। এই এক্সপোতেও তার ব্যতিক্রম দেখলাম না। এখানে মেয়েদের জন্য আছে আলাদা প্যাভিলিয়ন।
এক্সপোতে পা দিয়ে যেখানেই চোখ রাখছি, মনে হচ্ছে যেন কোন পিকনিক চলছে। চারপাশ থেকেই ভেসে আসছে সঙ্গীতের সুর। আর ছেলে-মেয়ে পুরো পরিবার নিয়ে কেউ বসে পড়েছেন পাশেই। চলছে আড্ডা। বিশেষ করে ছোটদের জন্য পুরো এক্সপো প্রাঙ্গন জুড়েই আছে কত শত জিনিস। আছে রোবট, যার সঙ্গে মনের আনন্দে খেলতে শুরু করল অনেক শিশুই। সেই রোবট বেশ সাড়া দিয়ে আনন্দটা বাড়িয়ে দেয় আরও। এমন পরিবেশ ছেড়ে যেতে কী আর মন চায়!
নারীদের প্রতি সম্মানটা পুরো আমিরাতেই চোখে পড়ছে। এই এক্সপোতেও তার ব্যতিক্রম দেখলাম না। এখানে মেয়েদের জন্য আছে আলাদা প্যাভিলিয়ন।
আবার লম্বা সময় হেঁটে ক্লান্ত হয়ে গেলে আপনার জন্য হাজির হয়ে যাবে ছোট্ট গাড়ি। বিনা পয়সায় যেটি দিয়ে ঘুরে দেখতে পারবেন এক্সপো অঙ্গন। প্রতিদিনই এখানে থাকে ৬০টি ইভেন্ট। আর খাবারের জন্য ২০০টির বেশি আউটলেট। যদিও দামটা একটু চড়া। কিন্তু কেউ বাইরে থেকে খাবার নিয়ে গেলে অবশ্য নিষেধাজ্ঞা নেই!
রাতের আলোয় রঙিন
দিনের প্রচণ্ড আলোতে ঢুকেছিলাম দুবাই এক্সপোতে। কিন্তু ঘুরতে ঘুরতে বের হতে গিয়ে সন্ধ্যা নেমে গেছে। কখন যে সময়টা কেটে গেলো টেরই পাইনি। তাতে অবশ্য মন্দ হয়নি।
কিন্তু রাত হয়ে এসেছে, আমাদের ফিরতে হবে। এবার আর ব্যয়বহুল ট্যাক্সির পথ ধরলাম না। ঢাকা থেকে বিশ্বকাপ কাভার করতে যাওয়া আরেক সহকর্মী জান-ই-আলম জানাচ্ছিলেন, পর্যটকদের জন্য এক্সপো থেকেই রয়েছে ফ্রি সিটি বাস সার্ভিস। ব্যস, সেটিতেই চেপে বসলাম। মোবাইলের চার্জও ফুরিয়ে এসেছিল। এসে সিটে বসেই দেখি, গাড়িতেই প্রতিটি সিটে চার্জের ব্যবস্থাটা করে রেখেছেন তারা।
রাতের আলোয় এ যেন নতুন আরেক সাজে এক্সপো সেন্টার। সন্ধ্যার পর বাহারি আলোতে অন্যরকম এক মুগ্ধতা ছড়াল চারপাশ। ভিড়টাও ভেড়ে গেছে। দিনে দুবাইয়ের প্রচণ্ড রোদে অনেকেই বাইরে বের হতে চান না। রাতে এই নভেম্বরে এসে গরমটাও কম। সব কিছু ঘুরে দেখার এইতো সময়।
কিন্তু রাত হয়ে এসেছে, আমাদের ফিরতে হবে। এবার আর ব্যয়বহুল ট্যাক্সির পথ ধরলাম না। ঢাকা থেকে বিশ্বকাপ কাভার করতে যাওয়া আরেক সহকর্মী জান-ই-আলম জানাচ্ছিলেন, পর্যটকদের জন্য এক্সপো থেকেই রয়েছে ফ্রি সিটি বাস সার্ভিস। ব্যস, সেটিতেই চেপে বসলাম। মোবাইলের চার্জও ফুরিয়ে এসেছিল। এসে সিটে বসেই দেখি, গাড়িতেই প্রতিটি সিটে চার্জের ব্যবস্থাটা করে রেখেছেন তারা।
আহা, যে নগর এভাবে উজাড় করে দেয় সব, সেখানে প্রতি পরতে পরতেই তো মুগ্ধতা! জীবন সত্যিই সুন্দর!
এটি/এমএইচ/এনইউ