গিবসনের ক্লাসে ইয়র্কার-স্লোয়ার ঝালিয়ে নিচ্ছেন হাসান
বাংলাদেশ দলের হয়ে ওয়ানডে অভিষেকে তিন উইকেট নিয়েছেন হাসান মাহমুদ। কাগজে-কলমে আহামরি তেমন পারফরম্যান্স মনে না হলেও আদতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানদের ভুগিয়েছেন এই ডানহাতি পেসার। গতির সঙ্গে নিখুঁত লাইন-লেংথে কাবু করেন ব্যাটসম্যানদের। পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসনের ক্লাসে ইয়র্কার-স্লোয়ার ঝালিয়ে নিচ্ছেন হাসান মাহমুদ।
আধুনিক ক্রিকেটে হাতে সীমিত অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধের ময়দানে নেমে নিজের অস্তিত্ব খুব বেশিদিন টিকিয়ে রাখা কষ্টকর। বোলারদের জন্য কাজটা আরো কঠিন। শুধু গতি বা নিখুঁত লাইন-লেংথ থাকলেও কিছুদিন বাদে ব্যাটসম্যান ভিডিও দেখে বোলারদের কৌশল রপ্ত করতে পারেন। এজন্য হাতে একাধিক বিকল্প রাখতে বাধ্য হচ্ছেন বোলাররা।
পেসার হাসান মাহমুদ অভিষেকের আগেই তার গতির জন্য বেশ নাম কুড়িয়েছেন। তার খানিক ঝলকও দেখা গেছে আন্তর্জাতিক আঙিনায়। তবে পেসের সঙ্গে স্লোয়ার রপ্ত করতে পারলে, ব্যাটসম্যানদের বোকা বানানোর কাজটা সহজ হয়। টাইগারদের পেস বোলিং কোচ গিবসনের ক্লাসে সেদিকেই মনোযোগ দিয়েছেন হাসান মাহমুদ। সঙ্গে ইয়র্কারটাও ঝালিয়ে নিচ্ছেন তিনি।
রোববার এক ভিডিও বার্তায় হাসান বলেন, ‘সবারই আসলে পেস বোলিং কোচিং থিমটা একই রকম হয়। ঘরোয়া কোচ বলেন বা বাইরের যে কোচই থাকুক, একই রকম হয়। এখানে ও (ওটিস গিবসন) ভালো ভালো দিক নির্দেশনা দিচ্ছে। লাইন লেংথ, ইয়র্কার, স্লোয়ার এগুলো আরেকটু নিখুঁত করার জন্য উনারা যা বলছে তাই করছি।’
তবে অন্যান্য কৌশল রপ্ত করলেও গতির সঙ্গে আপস করতে নারাজ ২১ বছর বয়সী এই পেসার। গতি আরও বাড়াতে কাজ করছেন তিনি। দুই পাশে সুইং করোনার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে বাড়তি মনোযোগ তার।
সুইং নিয়ে হাসান বলেন, ‘এটা আসলে কারো কারো জন্য ন্যাচারাল আবার কেউ নিজেরা করে। এটা টেস্ট ক্রিকেটের জন্য খুবই ভালো। ট্রাই করবো লাইন, লেংথ ঠিক রাখতে ছোট খাটো সুইং থাকবে।’
গতির বিষয়ে হাসান মাহমুদের ভাষ্য, ‘প্রকৃতপক্ষে জিনিসটা হল প্রক্রিয়া। দিনের পর দিন আপনি কি করছেন, কতটুকু কাজ করছেন, কতটুকু মেনে চলছেন নিজেকে, এটার উপর ভিত্তি করে পেসটা দিনের পর দিন বাড়তে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, নিজেকে মেইনটেইন করা।’
টিআইএস/এমএইচ