ম্যাচসেরা হয়ে সাকিবের চোখ টুর্নামেন্টে সফলতায়
প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে বোলিংটা যুতসই ছিল সাকিব আল হাসানের। তবে ব্যাটিংয়ে ক্লান্তির ছাপ ছিল স্পষ্ট। সে ম্যাচে ২৮ বলে ২০ রানের ইনিংস বাংলাদেশের হারের পেছনেও কাজ করেছিল নিয়ামক হিসেবে। তবে এরপর থেকে ব্যাট হাতেও ফিরেছেন ছন্দে। বল হাতে তো ছন্দে ছিলেনই। সে ধারাটা ধরে রাখলেন পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষেও, তাতেই টানা দ্বিতীয় ম্যাচসেরার পুরস্কারটা গেল তার দখলে।
সময়ের সেরা এই অলরাউন্ডারকে গ্রুপ পর্বের তৃতীয় ম্যাচে ব্যাট হাতে নামতে হয়েছিল ইনিংসের তৃতীয় বলেই। নাঈম শেখের বিদায়ের পর ইনিংস গড়েছেন প্রথমে, এরপর হাত খুলে খেলে বাংলাদেশকে দিয়েছেন বড় রানের দিশা।
ফিফটিটা পাননি, আউট হয়েছেন ৩৭ বলে ৪৬ রান করে। তবে বল হাতে নিজের সেরা পারফর্ম্যান্সকেই ছাড়িয়ে গেছেন সাকিব। ৪ ওভার শেষে ৯ রান দিয়ে শিকার করেছেন ৪ উইকেট। তাতেই পাপুয়া নিউ গিনি শেষ হয়ে গেছে কেবল ৯৭ রানেই। বাংলাদেশ পেয়েছে ৮৪ রানের বিশাল এক জয়।
স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে হারের পর টানা দুই জয়ে আত্মবিশ্বাস ফিরেছে বলে জানালেন সাকিব। ম্যাচসেরার পুরস্কার নিতে এসে বললেন, ‘প্রতিটা ম্যাচই আমাদের আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে। প্রথম ম্যাচটা অবশ্যই একটা বড় ধাক্কা দিয়েছিল, কিন্তু টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে যে কোনো দল নির্দিষ্ট দিনে শ্রেয়তর প্রতিপক্ষ হলে জিতবে। কিন্তু এখন চাপটা সরে গেছে, আর আমরা এখন মন খুলে খেলতে পারব।’
ব্যাট হাতে ফর্মে ছিলেন না বেশ কিছুদিন। তবে পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে আজ, বা ওমানের বিপক্ষে তার ইনিংস জানান দিচ্ছে, ব্যাটার সাকিবও ফিরে গেছেন ছন্দে। বিষয়টা সাকিবেরও মনে হচ্ছে একই রকম ভাবে। বললেন, ‘এই ফরম্যাটটা ফর্মে ফেরার জন্য খুব একটা সহজ ফরম্যাট নয়। কিন্তু এখন সৌভাগ্যক্রমে আমি ওপরের দিকে খেলতে পারছি।’
সেই জিম্বাবুয়ে সফর দিয়ে শুরু। এরপর ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড সিরিজ খেলেই ছুটতে হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে, আইপিএল খেলতে। শেষ কয়েক মাসে যেন দম ফেলার ফুরসত ছিল না সাকিবের। তবে সেসব ক্লান্তি থাকলেও টুর্নামেন্ট সফলতায় চোখ এবার তার। বললেন, ‘একটু ক্লান্তি তো আছেই। শেষ পাঁচ ছয় মাস ধরে টানা খেলে যাচ্ছি। মৌসুমটা আমার জন্য অনেক লম্বা যাচ্ছে। তবে আমি আশা করছি এই টুর্নামেন্টেও সফল হব।’
এনইউ