একই দেশের একই শহরে জন্ম, অথচ বিশ্বকাপে খেলবেন ভিন্ন দলের হয়ে
ওমানের আল আমেরাত স্টেডিয়ামে পর্দা উঠেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসরের। উত্তর আরব সাগরের এই দেশটি নিজেদের মাঠে পাপুয়া নিউ গিনির সঙ্গে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করেছে। ওমানের উইকেটরক্ষক নাসিম খুশি ১৯৮২ সালে পাকিস্তানের পাঞ্জাবে শিয়ালকোট শহরে জন্মগ্রহণ করেন। একই বছর একই শহরে জন্মগ্রহণ করেন পাকিস্তানের অলরাউন্ডার শোয়েব মালিক।
কাকতালীয় ভাবে এই দুই ক্রিকেটারের জন্মসাল ও স্থানে মিল রয়েছে। অথচ দুইজন খেলেন দুই দেশের হয়ে। ওমান ক্রিকেট আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেদের পরিচিত করে তুলেছে বেশি দিন হয়নি। ২০০০ সালে ওমান ক্রিকেট আইসিসির অধিভুক্ত হয় এবং ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মর্যাদা লাভ করে।
শোয়েব মালিক এই বিশ্বকাপে টেন ডোসেটের পর সব চেয়ে বেশি বয়সী ক্রিকেটার। এই তালিকায় যুক্ত আছেন মালিকের নিজ দেশে জন্ম নেওয়া বর্তমান ওমান জাতীয় দলের উইকেট রক্ষক ব্যাটার নাসিম খুশি।
মালিকের মতো সারা ক্রিকেট বিশ্ব খুশিকে হয়তো চেনেন না। তবে একই স্থানে একই সালে জন্ম নেওয়া উভয় ক্রিকেটার বিশ্বকাপ খেলছেন দুদেশের হয়ে। তারা দুজন যেন এক সুতোয় বাঁধা।
বিশ্বকাপ মঞ্চে বিভিন্ন রকম রেকর্ড যেমন হয় তেমনি ভিন্ন রকমের বিশেষ কিছু বিষয় চোখে আসে বিশ্ববাসীর। নাসিম খুশির ২০১৭ সালে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষিক্ত হয়। অন্যদিকে ২০০৬ সালে মালিকের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে। খুশি ১১ বছর পর এসে ভিন্নরকমের এক কীর্তি গড়লেন।
এমএফ