২০১৪ বিশ্বকাপ : বাংলাদেশে সাঙ্গাকারা-জয়াবর্ধনের বিশ্বজয়
ভেন্যু : বাংলাদেশ
চ্যাম্পিয়ন : শ্রীলঙ্কা
রানার্স আপ : ভারত
দল সংখ্যা : ১৬টি
টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় : বিরাট কোহলি
এই টুর্নামেন্ট ছিল মহেলা জয়াবর্ধনের ও কুমার সাঙ্গাকারার ‘শেষ’। শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট ইতিহাসের গুরত্বপূর্ণ দুই ক্রিকেটার এই বিশ্বকাপ দিয়ে বিদায় বলেছিলেন টি-টোয়েন্টিকে। শেষটা অবশ্য বেশ রঙিন হয়েছে তাদের। ভারতকে হারিয়ে ১৮ বছর পর শ্রীলঙ্কাকে বিশ্বকাপের স্বাদ এনে দিয়েছিলেন তারা।
আগের আসরে ঘরের মাঠে ফাইনাল হারের ক্ষতে তাতে কিছুটা হলেও প্রলেপ লাগার কথা। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে এর আগের দশকে পাঁচটি বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলেছিল তারা।
এবারই এককভাবে কোনো বিশ্বকাপ আয়োজন করে বাংলাদেশ। এখন অবধি সেটিই শেষ। তবে এই বিশ্বকাপে মাঠের পারফরম্যান্স ছিল বাংলাদেশের জন্য একেবারেই হতাশাজনক। প্রথম পর্বে হংকংয়ের কাছে হেরে রচিত হয়েছিল দেশের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম কালো অধ্যায়ের। নেপালের কাছে হেরে গিয়েছিল ততদিনে বেশ শক্ত দল হয়ে যাওয়া আফগানিস্তানও। এই বিশ্বকাপে চমকে দিয়েছিল নেদারল্যান্ডও।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে তাদের লক্ষ্য ছিল ১৯০ রানের। সেটা টপকাতে তাদের লেগেছিল কেবল ১৩ ওভার ৫ বল। ২৩ বলে ৬৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন স্টিফেন মাইবার্গ। তারাই আবার শ্রীলঙ্কার কাছে গুঁটিয়ে গিয়েছিল কেবল ৩৯ রানে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এটিই কোনো দলের সর্বনিম্ন সংগ্রহ।
এই বিশ্বকাপটা যেন ছিল স্পিনারদের নতুন করে খুঁজে পাওয়ার। অমিত মিশ্র, ইমরান তাহির, রবীচন্দ্রন অশ্বিন ধারাবাহিকতা দেখিয়েছেন পুরো টুর্নামেন্টজুড়ে। তাদের সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন রঙ্গনা হেরাথ। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ ওভার ৩ বলে কেবল ৩ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।
এই বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে আলো ছড়ান বিরাট কোহলি। ফাইনালে উঠা তার দলের হয়ে ওই টুর্নামেন্টে ১৩৬.৫০ গড়ে ২৭৩ রান করেছিলেন তিনি। হয়েছিলেন ওই আসরের সেরা খেলোয়াড়ও।
এমএইচ