মালদ্বীপে তপুদের অন্য রকম পূজা
আজ (শুক্রবার) সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার বিজয় দশমী। বাংলাদেশ ফুটবল দলের সনাতন ধর্মের দুই ফুটবলার অবশ্য ওই আমেজ পাচ্ছেন না। দুই ডিফেন্ডার তপু বর্মন ও বিশ্বনাথ ঘোষ দুই জনই বিশেষ দিনটি কাটাচ্ছেন অন্য দিনগুলোতর মতোই।
টাঙ্গাইলের সন্তোষের সন্তান বিশ্বনাথ ঘোষ। তার বাড়ির কয়েক গজ সামনেই মন্দির। জাতীয় দলের ব্যস্ত সূচিতে পূজার উৎসবের সুযোগ নেই তাদের, ‘বন্ধুদের সঙ্গে ভিডিও কলে যা একটু পূজার আনন্দ পাচ্ছি। দল ফাইনালে না যাওয়ায় মন খারাপ। একে তো দেশে থেকে দূরে। এর ওপর দল ফাইনালে নেই। ফলে পূজার কোনো মজাই নেই।’
অক্টোবরের এই সময় ফিফা উইন্ডো থাকায় জাতীয় দলের ম্যাচ থাকে। মালদ্বীপ সাফের ভেন্যু হওয়ায় তপু, বিশ্বনাথ পূজার কোনো আবহই পাচ্ছেন না। মালদ্বীপ প্রায় শতভাগ মুসলিম দেশ। সনাতন ধর্মাবলম্বীর জন্য মন্দির নেই বললেই চলে। ফলে পূজার সুযোগ নেই বিশ্বনাথ-তপুর।
জাতীয় দলের ম্যানেজার সত্যজিত দাশ রুপুও সনাতন ধর্মাবলম্বী। তিনি অবশ্য পূজার এই কয়েক দিন উপোস করছেন। দল ফাইনালে না উঠায় বাংলাদেশ দলের অনুশীলন নেই। ফলে হোটেলে অলস সময় কাটছে। নিজের বাড়ি চট্টগ্রামের পটিয়ায় পূজার কর্মকাণ্ড ভিডিও কলে দেখে সময় কাটছে সাবেক তারকা ফুটবলারের।
তিনি বলছিলেন, ‘আমার পরিবার ঢাকায় থাকলেও পূজার সময় সবাই চট্টগ্রামের পটিয়ায় যায়। পরিবার ও আত্মীয় স্বজন পূজা উদযাপন করছে। আমি দেশের দায়িত্ব পালনে বাইরে। যখন সময় পাই তখন তাদের সঙ্গে ভিডিও কলে সময় কাটাই।’
নেপালের বিপক্ষে জিতে তপু বিশ্বনাথ পূজার আনন্দ উপভোগ করতে চেয়েছিলেন। নেপালের বিপক্ষে ড্রতে বাংলাদেশ টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়ে তাদের পূজার সময় নিয়েছে আরেও বিষাদ রূপে। তপু-বিশ্বনাথ ও রুপুর জন্য অতীতে এমন পুজোর মুহূর্ত আর আসেনি।
এজেড/এমএইচ