অতিরিক্ত অনুশীলন শেষে জামালরা হোটেলে ফিরলেন হেঁটে হেঁটে
হ্যানভিরু অনুশীলন মাঠে অনুশীলন শেষ করে হেঁটে হোটেলে পৌঁছেছেন জামালরা। বাংলাদেশ দলের জন্য নির্ধারিত গাড়ি অনুশীলন শেষে ছিল না। সেই গাড়ি স্টেডিয়ামে গিয়েছিল মালদ্বীপ দলকে আনতে। অনুশীলন শেষে বাস না পেয়ে ক্লান্ত ফুটবলাররা হেঁটে হেঁটেই অনুশীলন মাঠ থেকে টিম হোটেল জেনে পৌঁছান।
দলের সিনিয়র ফুটবলার তপু বর্মণ হতাশ কণ্ঠে বলেন, ‘টিম বাস নেই, সিকিউরিটি নেই। হেঁটেই হোটেলে ফিরলাম।’ বাংলাদেশ দলের অনুশীলন সূচি ছিল স্থানীয় সময় বিকেল চারটা থেকে সাড়ে পাঁচটা। কোচ অস্কার ব্রুজন সন্ধ্যা ছয়টার পরও অনুশীলন করিয়েছেন।
হ্যানভিরু অনুশীলন মাঠে ফ্লাডলাইট নেই। সূর্যাস্ত যাওয়ার পরও চলছিল অস্কার ব্রুজনের অনুশীলন। দলের সঙ্গে থাকা লিয়াজোঁ অফিসারকে মাঠের পাশে লাইট জ্বালানোর অনুরোধ করেছিলেন বাংলাদেশের কোচিং স্টাফরা। অনুশীলন মাঠের পাশে রাস্তার ল্যাম্পপোস্টের আলোতে অনুশীলন চলে আরো কিছুক্ষণ। নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ৩০-৪০ মিনিট বেশি অনুশীলন করিয়েছেন অস্কার।
অনুশীলনের পর মিডিয়া সেশনে গেছে আরো কিছুক্ষণ। বাংলাদেশ দলের এই বিলম্বের জন্য টিমের গাড়ি মালদ্বীপ শ্রীলঙ্কা ম্যাচ শেষে মালদ্বীপ দলকে আনতে যায়। বাংলাদেশ দল সূত্রে জানা যায়, মালদ্বীপ দলকে স্টেডিয়াম থেকে টিম হোটেলে নামিয়ে সেই বাস আবার বাংলাদেশের অনুশীলন ভেন্যুতে আসতে আধ ঘন্টা সময় লাগবে। অনুশীলনের পর ক্লান্ত ফুটবলাররা ততক্ষণ অপেক্ষা না করে হেঁটেই হোটেলে পৌঁছান।
স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন চলছে। তবে আজকের এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠে গেছে তা নিয়েও। একই বাস যদি দুই দল ব্যবহার করে, সেক্ষেত্রে ‘স্বাস্থ্যবিধি মানা’র মানটাই বা কতটুকু থাকে?
এজেড/এনইউ