মালদ্বীপের কাছে হারের পর বাংলাদেশের টিম হোটেলে সালাউদ্দিন
বাফুফে ও সাফ সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের মালে থেকে ঢাকার ফিরতি ফ্লাইট ছিল ৫ অক্টোবর। সাফে বাংলাদেশের আরেকটি ম্যাচ দেখতে তার ফ্লাইট সূচি পরিবর্তন করেন। স্বাগতিক মালদ্বীপের ম্যাচও মালে স্টেডিয়ামে বসে দেখেছেন।
স্বাগতিকদের কাছে জামালরা সেই ম্যাচে ০-২ গোলে হেরেছে। ম্যাচ হারের পর বাংলাদেশ দলকে সান্ত্বনা ও উজ্জ্বীবিত করতে টিম হোটেলে গিয়েছিলেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। এই হার ভুলে গিয়ে সামনে নেপাল ম্যাচে জয়ের জন্য শতভাগ চেষ্টা করতে বলেছেন জামালদের। নিজের খেলোয়াড়ী জীবনের অভিজ্ঞতাও জামাল-সোহেলদের সঙ্গে ভাগাভাগি করেছেন সালাউদ্দিন, ‘ম্যাচ হারার পর কোনো বন্ধু পাওয়া যায় না। নেপাল ম্যাচ জিতলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।’
ফেডারেশনের সভাপতির বক্তব্য কিছুটা চাঙা হয়েছে বাংলাদেশ দল। আজ বিকেলে জাতীয় দলের ডিফেন্ডার রহমত মিয়ার বক্তব্যে এমনটাই বোঝা গেল, ‘মাঠে যাওয়ার সময় আমাদের সবার লক্ষ্য ছিল পয়েন্ট নিয়ে ফিরব। সেটা হয়নি এরপরও আমরা ভেঙে পড়িনি। এখনো সুযোগ আছে। ১৩ তারিখ নেপালের বিরুদ্ধে জিততে পারলে আমরা ফাইনাল খেলতে পারব। আমরা এখন সেই চেষ্টায় আছি।’
আগের দুই ম্যাচ দুর্দান্ত খেলার পর মালদ্বীপ ম্যাচে হারের জন্য সালাউদ্দিনও ক্লান্তিকে কারণ হিসেবে মনে করেন। কোচের পর সেই সুরেই ডিফেন্ডার রহমত বলেছেন, ‘আমরা কেউই চাপ নেইনি। সাত দিনে তিন ম্যাচ ছিল। এজন্য অনেক ক্লান্ত ছিল। ফলে এজন্য পারফরম্যান্স নিম্নমুখী ছিল। আমাদের পরিকল্পনা ছিল মিড জোন ব্লক করে অ্যাটাকে যাব। সেটা হয়নি।’
রহমত ঘরোয়া লিগে ডিফেন্ডার হিসেবে খেলেন। আন্তর্জাতিক ম্যাচেও খেলেন এই পজিশনে। তবে কাল অস্কার তাকে খেলিয়েছেন মিডফিল্ডে। নিজের নতুন পজিশন সম্পর্কে বলেন, ‘অন্য পজিশনে খেলছি দলের স্বার্থে। অনেকের কার্ড, কারো ইনজুরি ফলে নতুন পজিশনে আমাকে কোচ খেলিয়েছে। আমি চেষ্টা করছি বাকিটা যারা খেলা দেখেছে তারা বলবে।’ আজ ও আগামীকাল অনুশীলন নেই বাংলাদেশ দলের। আজ সকালে দুই ভাগে জিম ও সুইমিং হয়েছে। নেপাল ম্যাচের আগে পাঁচ দিন বিশ্রাম বাংলাদেশকে খানিকটা স্বস্তিতে রাখবে বলে ধারণা রহমতের।
কাল রাতে টিম হোটেলে সালাউদ্দিনের সঙ্গে ছিলেন বাফুফে নির্বাহী সদস্য মাহফুজা আক্তার কিরণ ও সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা কাতার এয়ারওয়েজের মাধ্যমে ঢাকার উদ্দেশ্যে মালে ছাড়বেন।
এজেড/এনইউ