ক্লান্তি ও শক্তিতে পার্থক্য দেখছেন বাংলাদেশ কোচ
যে বাংলাদেশ ভারতের বিরুদ্ধে দশ জন নিয়ে খেলে ড্র করল, সেই বাংলাদেশই আজ মালদ্বীপের গোলমুখে নিতে পারল না বলার মতো কোনো শট। খেললো অনেকটা ছন্নছাড়া ফুটবল। ফলাফল মালদ্বীপ ২-বাংলাদেশ ০। বাংলাদেশের কোচ অস্কার ব্রুজন এই হারের জন্য প্রধানত নিজেদের ক্লান্তিকে দায়ী করছেন। পাশাপাশি মালদ্বীপের শক্তিকেও দেখলেন কারণ হিসেবে।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি বললেন, ‘আমরা ভারতের সাথে খেলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মালদ্বীপের বিরুদ্ধে খেলতে হয়েছে। অন্য দিকে তারা পাঁচ দিন একদম সতেজ এবং শক্তিশালী মেজাজে ছিল।’
দ্বিতীয়ার্ধে এই ক্লান্তি ও শক্তির পার্থক্যটা আরো ফুটে উঠে বলে মনে করেন অস্কার, ‘প্রথমার্ধে আমরা ম্যাচেই ছিলাম। প্রথমার্ধ ফিফটি ফিফটি ভারসাম্যপূর্ণ ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা শক্তিতে পিছিয়ে পড়ি।’
ক্লান্তি ও শক্তির পাশাপাশি রেফারিংকেও কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন তিনি, ‘খুবই পক্ষপাতী রেফারিং হয়েছে। আমাদের পাঁচটি কার্ড দেখানো হয়েছে। রেফারিং নিয়ে অনেক কিছু বলার আছে। আমি কিছু বলব না। ম্যাচ হারে রেফারিংকে আমি দায়ী করছি না। আমরা হেরেছি মূলত ক্লান্তি ও শক্তির তারতম্যে।’
এই ম্যাচ হারায় বাংলাদেশের ফাইনাল পড়ে গেল শঙ্কায়। ১৩ অক্টোবর নেপালের বিপক্ষে শেষ ম্যাচ। সেই ম্যাচে নেপালকে হারালে ফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। সেই ম্যাচ নিয়ে অস্কারের ভাবনা, ‘আমরা পাঁচ দিন সময় পাব। আমরা এখানে এসেছি ভালো খেলার লক্ষ্যে নয়, ফাইনাল খেলার জন্য। ফাইনাল খেলতে হলে নেপালকে হারাতে হবে। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করব পাঁচ দিন ধরে।’
এজেড/এনইউ/এমএইচএস